ঢাকা ০৬:৪৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ জুলাই ২০২৫, ৪ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
সাজিদের মৃত্যুতে ইবিতে বিক্ষোভ, তদন্তের দাবিতে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন ও গায়েবানা জানাজা গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় দ্রুত নির্বাচন চায় বিএনপি: প্রেসক্লাবে মির্জা ফখরুল বাংলার মাটিতে ভারতীয় আধিপত্যবাদ ও আগ্রাসন চলবে না: জাগপা সহ-সভাপতি জুলাই মাসের মধ্যেই “জুলাই ঘোষণাপত্র” প্রকাশ করতে হবে: ছাত্রশিবির সভাপতি ‘দিল্লি নয়, পিণ্ডি নয়, এই দেশ আমার বাংলাদেশ’: নাটোরে দুলু রংপুরে এলপিজি স্টেশনে ভয়াবহ বিস্ফোরণ, নিহত ১ আহত অন্তত ২০ কিশোরগঞ্জে ট্রাকের ধাক্কায় ২ কিশোর নিহত, গুরুতর আহত আরও এক বন্ধু কাশ্মীরে ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনায় ভূপাতিত হয়েছিল ৫টি যুদ্ধবিমান: দাবি ট্রাম্পের মোহাম্মদপুরে আল-আমিন হত্যা: ২৪ ঘণ্টায় প্রধান দুই আসামি গ্রেফতার পিরোজপুরে শতবর্ষী হাট পরিদর্শনে আলজেরিয়ার রাষ্ট্রদূত, ভবিষ্যতে বিনিয়োগের আশ্বাস

মসজিদ কমিটি নিয়ে আমার বক্তব্য ভুলভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে: ধর্ম উপদেষ্টা

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০১:৪৮:৪৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ জুলাই ২০২৫
  • / 6

ছবি সংগৃহীত

 

ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন জানিয়েছেন, মসজিদ কমিটির সভাপতি ও সেক্রেটারি নির্ধারণ সংক্রান্ত তাঁর বক্তব্য কিছু গণমাধ্যমে ভুলভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে।

শুক্রবার (১৮ জুলাই) রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এ মন্তব্য করেন।

তিনি জানান, খুলনায় আয়োজিত এক ইমাম সমাবেশে তাঁর বক্তব্য কিছু মিডিয়ায় বিকৃতভাবে উপস্থাপিত হয়েছে, যা জনমনে বিভ্রান্তির সৃষ্টি করতে পারে।

ধর্ম উপদেষ্টা পোস্টে বলেন, “সারাদেশে মডেল মসজিদগুলোর সভাপতি থাকবেন সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। যদি তারা ভিন্ন ধর্মের অনুসারী হন, তাহলে সেখানে দায়িত্ব পালন করবেন সংশ্লিষ্ট মুসলিম অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (এডিসি) বা সহকারী কমিশনার (ভূমি)। নারী কর্মকর্তার ক্ষেত্রেও একই নিয়ম প্রযোজ্য।”

তিনি স্পষ্ট করেন, মডেল মসজিদগুলোর নির্মাণ ও পরিচালনা সম্পূর্ণ সরকারি অর্থায়নে হয়ে থাকে। ফলে, এসব মসজিদের নিয়ন্ত্রণও সরকারের অধীনেই থাকবে।

অন্যদিকে দেশের তিন লাখেরও বেশি বেসরকারি মসজিদ সম্পর্কে তিনি বলেন, “এসব মসজিদের কমিটি, সভাপতি বা সেক্রেটারি নির্ধারণ করবেন স্থানীয় মুসল্লি, মোতাওয়াল্লি ও ধর্মপ্রাণ মুসলমানেরা। এসব মসজিদের জন্য ডিসি বা ইউএনও সভাপতি হওয়ার কোনো প্রশ্নই আসে না। কারণ, এসব মসজিদ সরকারের অর্থায়নে পরিচালিত নয়।”

ধর্ম উপদেষ্টা আরও বলেন, “যদি কোনো মসজিদ কমিটির সঙ্গে ইমাম, খতিব বা মুয়াজ্জিনের মধ্যে দ্বন্দ্ব বা সংকট তৈরি হয়, তাহলে বিষয়টি নিরসনে সংশ্লিষ্ট পক্ষ প্রশাসনের সহযোগিতা চাইতে পারবেন। এটাই ছিল আমার মূল বক্তব্য।”

তিনি অনুরোধ জানান, এ ধরনের সংবেদনশীল বিষয়ে সংবাদ পরিবেশনের ক্ষেত্রে যেন যথাযথ সতর্কতা ও বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখা হয়। জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ধর্মীয় বিষয়ে বিভ্রান্তিকর তথ্য না ছড়ানোর দিকেও বিশেষ গুরুত্বারোপ করেন তিনি।

এই ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নানা প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। অনেকেই বিষয়টি স্পষ্ট করার জন্য ধর্ম উপদেষ্টার এই ব্যাখ্যাকে স্বাগত জানিয়েছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

মসজিদ কমিটি নিয়ে আমার বক্তব্য ভুলভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে: ধর্ম উপদেষ্টা

আপডেট সময় ০১:৪৮:৪৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ জুলাই ২০২৫

 

ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন জানিয়েছেন, মসজিদ কমিটির সভাপতি ও সেক্রেটারি নির্ধারণ সংক্রান্ত তাঁর বক্তব্য কিছু গণমাধ্যমে ভুলভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে।

শুক্রবার (১৮ জুলাই) রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এ মন্তব্য করেন।

তিনি জানান, খুলনায় আয়োজিত এক ইমাম সমাবেশে তাঁর বক্তব্য কিছু মিডিয়ায় বিকৃতভাবে উপস্থাপিত হয়েছে, যা জনমনে বিভ্রান্তির সৃষ্টি করতে পারে।

ধর্ম উপদেষ্টা পোস্টে বলেন, “সারাদেশে মডেল মসজিদগুলোর সভাপতি থাকবেন সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। যদি তারা ভিন্ন ধর্মের অনুসারী হন, তাহলে সেখানে দায়িত্ব পালন করবেন সংশ্লিষ্ট মুসলিম অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (এডিসি) বা সহকারী কমিশনার (ভূমি)। নারী কর্মকর্তার ক্ষেত্রেও একই নিয়ম প্রযোজ্য।”

তিনি স্পষ্ট করেন, মডেল মসজিদগুলোর নির্মাণ ও পরিচালনা সম্পূর্ণ সরকারি অর্থায়নে হয়ে থাকে। ফলে, এসব মসজিদের নিয়ন্ত্রণও সরকারের অধীনেই থাকবে।

অন্যদিকে দেশের তিন লাখেরও বেশি বেসরকারি মসজিদ সম্পর্কে তিনি বলেন, “এসব মসজিদের কমিটি, সভাপতি বা সেক্রেটারি নির্ধারণ করবেন স্থানীয় মুসল্লি, মোতাওয়াল্লি ও ধর্মপ্রাণ মুসলমানেরা। এসব মসজিদের জন্য ডিসি বা ইউএনও সভাপতি হওয়ার কোনো প্রশ্নই আসে না। কারণ, এসব মসজিদ সরকারের অর্থায়নে পরিচালিত নয়।”

ধর্ম উপদেষ্টা আরও বলেন, “যদি কোনো মসজিদ কমিটির সঙ্গে ইমাম, খতিব বা মুয়াজ্জিনের মধ্যে দ্বন্দ্ব বা সংকট তৈরি হয়, তাহলে বিষয়টি নিরসনে সংশ্লিষ্ট পক্ষ প্রশাসনের সহযোগিতা চাইতে পারবেন। এটাই ছিল আমার মূল বক্তব্য।”

তিনি অনুরোধ জানান, এ ধরনের সংবেদনশীল বিষয়ে সংবাদ পরিবেশনের ক্ষেত্রে যেন যথাযথ সতর্কতা ও বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখা হয়। জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ধর্মীয় বিষয়ে বিভ্রান্তিকর তথ্য না ছড়ানোর দিকেও বিশেষ গুরুত্বারোপ করেন তিনি।

এই ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নানা প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। অনেকেই বিষয়টি স্পষ্ট করার জন্য ধর্ম উপদেষ্টার এই ব্যাখ্যাকে স্বাগত জানিয়েছেন।