ঢাকা ০৪:১৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৯ জুলাই ২০২৫, ২৫ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
অডিট রিপোর্টে মানের ঘাটতি, বিনিয়োগে আস্থার বাধা: অর্থ উপদেষ্টা টেক্সাসে ভয়াবহ বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১০৯, নিখোঁজ দেড় শতাধিক শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের দলীয়ভাবে গণহত্যার বিচার হওয়া উচিত: মির্জা ফখরুল জলাবদ্ধতা ও পাহাড়ি এলাকায় ভূমিধসের আশঙ্কা নিয়ে আবহাওয়া অফিসের সতর্কবার্তা নাটোরের লালপুরে ইমো হ্যাকিং চক্র ও কিশোর গ্যাংয়ের ১২ সদস্য গ্রেপ্তার ইতিহাসের সবচেয়ে পরিবেশবিনাশী টুর্নামেন্ট হতে যাচ্ছে ২০২৬ ফুটবল বিশ্বকাপ: গবেষণা চীন সফরে যাচ্ছেন জামায়াতে ইসলামীর আমিরসহ উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদল গাজায় অবিলম্বে নিঃশর্ত যুদ্ধবিরতির আহ্বান ফরাসি প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁর শেখ হাসিনার ফোনালাপের আন্তর্জাতিক যাচাই, মামলার স্বচ্ছতা বাড়াবে: প্রসিকিউটর রাজশাহীতে জমি সংক্রান্ত বিরোধে ব্যবসায়ীকে হাতুড়িপেটা করে হত্যা, গ্রেফতার ৭

তরুণদের হাত ধরেই বদলে যাবে বাংলাদেশ: মির্জা ফখরুল

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১১:১৬:৪৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৯ জুলাই ২০২৫
  • / 6

ছবি সংগৃহীত

 

তরুণদের নেতৃত্বেই আগামী দিনের বাংলাদেশ বদলে যাবে বলে আশাবাদ প্রকাশ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, “বর্তমান প্রজন্ম আমাদের চেয়ে অনেক বেশি অগ্রসর। আমি অত্যন্ত আশাবাদী অনেক কিছু বদলাবে, আর বাংলাদেশ মাথা উঁচু করেই এগিয়ে যাবে।”

মঙ্গলবার (৮ জুলাই) বাংলা একাডেমিতে অনুষ্ঠিত ‘সিভিল ডিসকোর্স ন্যাশনালস–২০২৫’-এর সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। এ আয়োজনটি যৌথভাবে আয়োজন করে ঢাকা কলেজ ডিবেটিং সোসাইটি ও দ্য বাংলাদেশ ডায়ালগ।

গণতন্ত্র চর্চার ঘাটতির বিষয়টি তুলে ধরে মির্জা ফখরুল বলেন, “বাংলাদেশের মানুষের দুর্ভাগ্য, এখানে গণতন্ত্রের যথাযথ চর্চা হয়নি। পাকিস্তান আমল থেকেই আমরা গণতন্ত্র থেকে বঞ্চিত হয়ে এসেছি। কিছু সময়ের জন্য গণতন্ত্রের অনুশীলন হলেও তা স্থায়ী হয়নি।”

তিনি আরও বলেন, “আজ সকালে একটি জরিপে দেখলাম, মাত্র ১.৮৭ শতাংশ তরুণ রাজনীতিতে আগ্রহী এই তথ্য দেখে মন খারাপ হয়েছিল। কিন্তু এখানে এসে তরুণদের অংশগ্রহণ দেখে সেই হতাশা কেটে গেছে। আমি নিশ্চিত, তারা দেশ গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে সক্ষম।”

বাকস্বাধীনতা ও মত প্রকাশের স্বাধীনতার প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, “মতের অমিল থাকবে, তর্ক-বিতর্ক হবে এটাই গণতন্ত্রের সৌন্দর্য। আমি কথা বলব, তুমিও বলবে এই মনোভাবই একটি সুস্থ গণতান্ত্রিক সমাজের ভিত্তি।”

১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় ভারতের এক প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের স্মৃতিচারণা করে তিনি বলেন, “তিনি একজন দেহরক্ষী নিয়েই সবার সঙ্গে মিশতেন। অথচ আমাদের দেশে একজন মন্ত্রী হলেই গাড়ির বহর, নিরাপত্তা বলয় একেবারে আলাদা জগতে প্রবেশ করে। এই মানসিকতা থেকে আমাদের বেরিয়ে আসা প্রয়োজন।”

তরুণদের উদ্দেশ্যে মির্জা ফখরুল বলেন, “আমরা একটি প্রজন্ম, একটি শক্তি, একটি আর্মি তৈরি করতে চাই যারা বাংলাদেশকে বদলে দেবে। এই নবীনরাই দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নেবে।”

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বিশ্ব ব্যাংকের সাবেক সিনিয়র হেলথ স্পেশালিস্ট ড. জিয়াউদ্দিন হায়দার, ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর একেএম ইলিয়াস, বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির সদস্য ইসরাফিল খসরু এবং সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী রাশনা ইমাম।

নিউজটি শেয়ার করুন

তরুণদের হাত ধরেই বদলে যাবে বাংলাদেশ: মির্জা ফখরুল

আপডেট সময় ১১:১৬:৪৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৯ জুলাই ২০২৫

 

তরুণদের নেতৃত্বেই আগামী দিনের বাংলাদেশ বদলে যাবে বলে আশাবাদ প্রকাশ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, “বর্তমান প্রজন্ম আমাদের চেয়ে অনেক বেশি অগ্রসর। আমি অত্যন্ত আশাবাদী অনেক কিছু বদলাবে, আর বাংলাদেশ মাথা উঁচু করেই এগিয়ে যাবে।”

মঙ্গলবার (৮ জুলাই) বাংলা একাডেমিতে অনুষ্ঠিত ‘সিভিল ডিসকোর্স ন্যাশনালস–২০২৫’-এর সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। এ আয়োজনটি যৌথভাবে আয়োজন করে ঢাকা কলেজ ডিবেটিং সোসাইটি ও দ্য বাংলাদেশ ডায়ালগ।

গণতন্ত্র চর্চার ঘাটতির বিষয়টি তুলে ধরে মির্জা ফখরুল বলেন, “বাংলাদেশের মানুষের দুর্ভাগ্য, এখানে গণতন্ত্রের যথাযথ চর্চা হয়নি। পাকিস্তান আমল থেকেই আমরা গণতন্ত্র থেকে বঞ্চিত হয়ে এসেছি। কিছু সময়ের জন্য গণতন্ত্রের অনুশীলন হলেও তা স্থায়ী হয়নি।”

তিনি আরও বলেন, “আজ সকালে একটি জরিপে দেখলাম, মাত্র ১.৮৭ শতাংশ তরুণ রাজনীতিতে আগ্রহী এই তথ্য দেখে মন খারাপ হয়েছিল। কিন্তু এখানে এসে তরুণদের অংশগ্রহণ দেখে সেই হতাশা কেটে গেছে। আমি নিশ্চিত, তারা দেশ গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে সক্ষম।”

বাকস্বাধীনতা ও মত প্রকাশের স্বাধীনতার প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, “মতের অমিল থাকবে, তর্ক-বিতর্ক হবে এটাই গণতন্ত্রের সৌন্দর্য। আমি কথা বলব, তুমিও বলবে এই মনোভাবই একটি সুস্থ গণতান্ত্রিক সমাজের ভিত্তি।”

১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় ভারতের এক প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের স্মৃতিচারণা করে তিনি বলেন, “তিনি একজন দেহরক্ষী নিয়েই সবার সঙ্গে মিশতেন। অথচ আমাদের দেশে একজন মন্ত্রী হলেই গাড়ির বহর, নিরাপত্তা বলয় একেবারে আলাদা জগতে প্রবেশ করে। এই মানসিকতা থেকে আমাদের বেরিয়ে আসা প্রয়োজন।”

তরুণদের উদ্দেশ্যে মির্জা ফখরুল বলেন, “আমরা একটি প্রজন্ম, একটি শক্তি, একটি আর্মি তৈরি করতে চাই যারা বাংলাদেশকে বদলে দেবে। এই নবীনরাই দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নেবে।”

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বিশ্ব ব্যাংকের সাবেক সিনিয়র হেলথ স্পেশালিস্ট ড. জিয়াউদ্দিন হায়দার, ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর একেএম ইলিয়াস, বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির সদস্য ইসরাফিল খসরু এবং সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী রাশনা ইমাম।