১১:০১ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৩ নভেম্বর ২০২৫
শিরোনাম :
গণভোট নিয়ে দলগুলো ‘ঐকমত্যে’ পৌঁছাতে না পারলে সিদ্ধান্ত দেবে সরকার পানি ব্যবস্থাপনা নিয়ে ইরাক–তুরস্ক সমঝোতা স্মারক সই হতে যাচ্ছে আফগানিস্তানে ভূমিকম্পে নিহত বেড়ে ২০ অবিশ্বাস্য উড়ন্ত গাড়ি আনছে টেসলা, জানালেন ইলন মাস্ক এমবাপ্পের পেনাল্টি মিস দেখেই হার্ট অ্যাটাকে রিয়াল সমর্থকের মৃত্যু জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোটের কোনো সুযোগ নেই: মির্জা ফখরুল যারা আগে গণভোট চায় না তারা গণতন্ত্রে বিশ্বাসী না: মুজিবুর রহমান আজ থেকে শুরু জাটকা শিকারে ৮ মাসের নিষেধাজ্ঞা ঘরোয়া সাজে স্নিগ্ধ জয়া আহসান, নতুন লুকে মুগ্ধ ভক্তরা নতুন ফাঁস হওয়া নথিতে ইসরায়েলের সঙ্গে অ্যামাজন ও গুগলের গোপন চুক্তি উন্মোচিত

একটি বড় অংশের ভোটার আগামী নির্বাচনে ভোট দিতে যেতে আগ্রহী নন: মাসুদ কামাল

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১০:৩২:০৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৯ জুলাই ২০২৫
  • / 89

ছবি সংগৃহীত

 

সাংবাদিক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক মাসুদ কামাল বলেছেন, বর্তমান নির্বাচন ব্যবস্থার ওপর জনগণের আস্থা ক্রমেই হারিয়ে যাচ্ছে। ফলে দেশের একটি বড় অংশের ভোটার আগামী নির্বাচনে ভোট দিতে যেতে আগ্রহী নন, যা সরকারের জন্য অত্যন্ত উদ্বেগজনক।

মঙ্গলবার (৮ জুলাই) নিজের ইউটিউব চ্যানেল ‘কথা’-তে প্রচারিত এক আলোচনায় তিনি এসব কথা বলেন। তিনি জানান, সাম্প্রতিক এক অনলাইন জরিপে দেখা গেছে, ৭১ শতাংশ ভোটারই মনে করছেন তারা আগামী জাতীয় নির্বাচনে ভোট দেবেন না।

বিজ্ঞাপন

মাসুদ কামালের ভাষ্য অনুযায়ী, “ভোট যেভাবে হচ্ছে, তাতে জনগণের ভোটের প্রতি আগ্রহ কমে গেছে। কেউ কেউ হয়তো আওয়ামী লীগের প্রার্থী না থাকায় ভোট দিতে যাচ্ছেন না, আবার অনেকে মনে করছেন তাদের পছন্দের প্রার্থী খুঁজে পাচ্ছেন না।” তিনি বলেন, “যারা ভোটের আয়োজন করছেন, তাদের জন্য এটি একটি স্পষ্ট সতর্কবার্তা।”

জরিপের নিরপেক্ষতা নিয়ে তিনি বলেন, “অনেকে ভাবতে পারেন, এই চ্যানেলে শুধু আওয়ামী লীগের সমর্থকরাই অংশ নিয়েছেন। কিন্তু আমি তা মানি না। আমি বিএনপি, জামায়াত বা অন্য দলীয় সমর্থকদের অংশ নিতে মানা করিনি। জরিপটি ছিল উন্মুক্ত, যে কেউ ভোট দিতে পেরেছেন। কেউ মুখে কিছু বলতে দ্বিধাবোধ করলেও এখানে গোপন ব্যালটের মতো ক্লিক করেই মতামত জানানো সম্ভব হয়েছে। তাই আমি এই জরিপকে একটি নির্ভেজাল জরিপ মনে করি।”

তিনি আরও বলেন, “সরকারকে এখন ভাবতে হবে—মানুষ কেন ভোট দিতে চাইছে না? সাধারণ জনগণের আস্থার অভাবের জায়গাটা কোথায়? সামনে একটি বড় নির্বাচন আসছে। প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, তিনি দেশের জনগণকে ইতিহাসের শ্রেষ্ঠ নির্বাচন উপহার দেবেন। কিন্তু যেখানে ৭১ শতাংশ মানুষই ভোট দিতে যাবে না বলে মনে করে, সেখানে সেই নির্বাচন কীভাবে ইতিহাসের সেরা হবে?”

মাসুদ কামাল আশা প্রকাশ করে বলেন, “সরকার যেন এই বিষয়গুলো গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করে এবং ভবিষ্যতের নির্বাচন ব্যবস্থাকে আরও গ্রহণযোগ্য ও বিশ্বাসযোগ্য করার পদক্ষেপ নেয়।”

 

নিউজটি শেয়ার করুন

একটি বড় অংশের ভোটার আগামী নির্বাচনে ভোট দিতে যেতে আগ্রহী নন: মাসুদ কামাল

আপডেট সময় ১০:৩২:০৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৯ জুলাই ২০২৫

 

সাংবাদিক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক মাসুদ কামাল বলেছেন, বর্তমান নির্বাচন ব্যবস্থার ওপর জনগণের আস্থা ক্রমেই হারিয়ে যাচ্ছে। ফলে দেশের একটি বড় অংশের ভোটার আগামী নির্বাচনে ভোট দিতে যেতে আগ্রহী নন, যা সরকারের জন্য অত্যন্ত উদ্বেগজনক।

মঙ্গলবার (৮ জুলাই) নিজের ইউটিউব চ্যানেল ‘কথা’-তে প্রচারিত এক আলোচনায় তিনি এসব কথা বলেন। তিনি জানান, সাম্প্রতিক এক অনলাইন জরিপে দেখা গেছে, ৭১ শতাংশ ভোটারই মনে করছেন তারা আগামী জাতীয় নির্বাচনে ভোট দেবেন না।

বিজ্ঞাপন

মাসুদ কামালের ভাষ্য অনুযায়ী, “ভোট যেভাবে হচ্ছে, তাতে জনগণের ভোটের প্রতি আগ্রহ কমে গেছে। কেউ কেউ হয়তো আওয়ামী লীগের প্রার্থী না থাকায় ভোট দিতে যাচ্ছেন না, আবার অনেকে মনে করছেন তাদের পছন্দের প্রার্থী খুঁজে পাচ্ছেন না।” তিনি বলেন, “যারা ভোটের আয়োজন করছেন, তাদের জন্য এটি একটি স্পষ্ট সতর্কবার্তা।”

জরিপের নিরপেক্ষতা নিয়ে তিনি বলেন, “অনেকে ভাবতে পারেন, এই চ্যানেলে শুধু আওয়ামী লীগের সমর্থকরাই অংশ নিয়েছেন। কিন্তু আমি তা মানি না। আমি বিএনপি, জামায়াত বা অন্য দলীয় সমর্থকদের অংশ নিতে মানা করিনি। জরিপটি ছিল উন্মুক্ত, যে কেউ ভোট দিতে পেরেছেন। কেউ মুখে কিছু বলতে দ্বিধাবোধ করলেও এখানে গোপন ব্যালটের মতো ক্লিক করেই মতামত জানানো সম্ভব হয়েছে। তাই আমি এই জরিপকে একটি নির্ভেজাল জরিপ মনে করি।”

তিনি আরও বলেন, “সরকারকে এখন ভাবতে হবে—মানুষ কেন ভোট দিতে চাইছে না? সাধারণ জনগণের আস্থার অভাবের জায়গাটা কোথায়? সামনে একটি বড় নির্বাচন আসছে। প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, তিনি দেশের জনগণকে ইতিহাসের শ্রেষ্ঠ নির্বাচন উপহার দেবেন। কিন্তু যেখানে ৭১ শতাংশ মানুষই ভোট দিতে যাবে না বলে মনে করে, সেখানে সেই নির্বাচন কীভাবে ইতিহাসের সেরা হবে?”

মাসুদ কামাল আশা প্রকাশ করে বলেন, “সরকার যেন এই বিষয়গুলো গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করে এবং ভবিষ্যতের নির্বাচন ব্যবস্থাকে আরও গ্রহণযোগ্য ও বিশ্বাসযোগ্য করার পদক্ষেপ নেয়।”