ঢাকা ০৪:৫৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫, ২ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানিসহ ৯ নেতাকর্মী বিস্ফোরক মামলায় খালাস যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার তালিকায় আরও ৩৬ দেশ, কঠোর অবস্থানে ট্রাম্প প্রশাসন ঈদযাত্রায় ১৫ দিনে সড়কে প্রাণ হারালেন ৩৯০ জন, আহত সহস্রাধিক লবণাক্ত জমিতে আনারস চাষে অভূতপূর্ব সাফল্য কৃষক সুলতানের ইউনূস-তারেক বৈঠকে জনগণের প্রত্যাশা পূরণ হয়েছে: আমীর খসরু করোনা নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই, প্রস্তুত রয়েছে সরকার: ডা. সায়েদুর রহমান সরকারি চাকরি সংশোধন অধ্যাদেশ বাতিলের দাবিতে সচিবালয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিক্ষোভ ইশরাককে মেয়রের দায়িত্ব দেওয়ার দাবিতে নগর ভবনের সামনে ফের অবস্থান সমর্থকদের বিএনপি নেতাদের সঙ্গে ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুকের বৈঠক জোরপূর্বক গুম নিয়ে জাতিসংঘ প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকে আইন উপদেষ্টা

সরকারি চাকরি সংশোধন অধ্যাদেশ বাতিলের দাবিতে সচিবালয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিক্ষোভ

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১২:৩৯:১১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫
  • / 1

ছবি সংগৃহীত

 

 

সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ-২০২৫ বাতিলের দাবিতে পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী সচিবালয়ে বিক্ষোভ করেছেন কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। সোমবার (১৬ জুন) সকাল থেকেই সচিবালয়ের ভেতরে এই কর্মসূচি পালন করছেন তারা।

গত ২৫ মে সরকারি চাকরি সংশোধন অধ্যাদেশ জারি হওয়ার পর থেকেই এর বিরুদ্ধে ধারাবাহিকভাবে আন্দোলনে রয়েছে সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য ফোরাম। ঈদের আগে তারা আন্দোলন স্থগিত রাখলেও, ঈদের পর দেশব্যাপী কঠোর কর্মসূচির ঘোষণা দেন ফোরামের কো-চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম ও বাদিউল কবীর। এরপর অধ্যাদেশ বাতিলের দাবিতে অর্থ উপদেষ্টাসহ বেশ কয়েকজন উপদেষ্টার কাছে স্মারকলিপি জমা দেন তারা।

উল্লেখ্য, ২২ মে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে সংশোধিত সরকারি চাকরি অধ্যাদেশের খসড়া অনুমোদন দেওয়া হয় এবং ২৫ মে সন্ধ্যায় এটি গেজেট আকারে প্রকাশ করা হয়। এই গেজেট প্রকাশের পর থেকেই তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে।

অন্তর্বর্তী সরকারের জারিকৃত ‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’-এ চারটি অপরাধের জন্য সরকারি চাকরিজীবীদের চাকরিচ্যুতির বিধান রাখা হয়েছে। ফোরাম এই অধ্যাদেশকে ‘নিবর্তনমূলক ও কালাকানুন’ বলে আখ্যায়িত করে তা অবিলম্বে প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে।

অধ্যাদেশে উল্লেখ করা চারটি অপরাধ হলো:
১. সরকারি কর্মচারী যদি এমন কোনো কর্মকাণ্ডে যুক্ত হন যা অনানুগত্য হিসেবে বিবেচিত হয় বা অন্যদের অনানুগত্যে প্ররোচিত করে,

২. এককভাবে বা সমবেতভাবে যুক্তিসংগত কারণ ছাড়া কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকা বা দায়িত্ব পালন থেকে বিরত থাকা,

৩. অন্যকে দায়িত্ব পালনে বাধা দেওয়া বা প্ররোচিত করা,

৪. কোনো কর্মচারীকে কাজে অংশগ্রহণে বাধা সৃষ্টি করা।

এই অপরাধগুলো সংঘটিত হলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে অসদাচরণের অভিযোগে দণ্ডিত করার বিধান রাখা হয়েছে। অভিযোগ গঠনের সাত দিনের মধ্যে কারণ দর্শানোর নোটিশ এবং দোষী প্রমাণিত হলে আরও সাত কর্মদিবসের মধ্যে শাস্তির কারণ জানতে চেয়ে দ্বিতীয় নোটিশ দেওয়ার প্রক্রিয়াও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

অধ্যাদেশ বাতিল না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন ঐক্য ফোরামের নেতারা।

নিউজটি শেয়ার করুন

সরকারি চাকরি সংশোধন অধ্যাদেশ বাতিলের দাবিতে সচিবালয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিক্ষোভ

আপডেট সময় ১২:৩৯:১১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫

 

 

সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ-২০২৫ বাতিলের দাবিতে পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী সচিবালয়ে বিক্ষোভ করেছেন কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। সোমবার (১৬ জুন) সকাল থেকেই সচিবালয়ের ভেতরে এই কর্মসূচি পালন করছেন তারা।

গত ২৫ মে সরকারি চাকরি সংশোধন অধ্যাদেশ জারি হওয়ার পর থেকেই এর বিরুদ্ধে ধারাবাহিকভাবে আন্দোলনে রয়েছে সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য ফোরাম। ঈদের আগে তারা আন্দোলন স্থগিত রাখলেও, ঈদের পর দেশব্যাপী কঠোর কর্মসূচির ঘোষণা দেন ফোরামের কো-চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম ও বাদিউল কবীর। এরপর অধ্যাদেশ বাতিলের দাবিতে অর্থ উপদেষ্টাসহ বেশ কয়েকজন উপদেষ্টার কাছে স্মারকলিপি জমা দেন তারা।

উল্লেখ্য, ২২ মে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে সংশোধিত সরকারি চাকরি অধ্যাদেশের খসড়া অনুমোদন দেওয়া হয় এবং ২৫ মে সন্ধ্যায় এটি গেজেট আকারে প্রকাশ করা হয়। এই গেজেট প্রকাশের পর থেকেই তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে।

অন্তর্বর্তী সরকারের জারিকৃত ‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’-এ চারটি অপরাধের জন্য সরকারি চাকরিজীবীদের চাকরিচ্যুতির বিধান রাখা হয়েছে। ফোরাম এই অধ্যাদেশকে ‘নিবর্তনমূলক ও কালাকানুন’ বলে আখ্যায়িত করে তা অবিলম্বে প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে।

অধ্যাদেশে উল্লেখ করা চারটি অপরাধ হলো:
১. সরকারি কর্মচারী যদি এমন কোনো কর্মকাণ্ডে যুক্ত হন যা অনানুগত্য হিসেবে বিবেচিত হয় বা অন্যদের অনানুগত্যে প্ররোচিত করে,

২. এককভাবে বা সমবেতভাবে যুক্তিসংগত কারণ ছাড়া কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকা বা দায়িত্ব পালন থেকে বিরত থাকা,

৩. অন্যকে দায়িত্ব পালনে বাধা দেওয়া বা প্ররোচিত করা,

৪. কোনো কর্মচারীকে কাজে অংশগ্রহণে বাধা সৃষ্টি করা।

এই অপরাধগুলো সংঘটিত হলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে অসদাচরণের অভিযোগে দণ্ডিত করার বিধান রাখা হয়েছে। অভিযোগ গঠনের সাত দিনের মধ্যে কারণ দর্শানোর নোটিশ এবং দোষী প্রমাণিত হলে আরও সাত কর্মদিবসের মধ্যে শাস্তির কারণ জানতে চেয়ে দ্বিতীয় নোটিশ দেওয়ার প্রক্রিয়াও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

অধ্যাদেশ বাতিল না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন ঐক্য ফোরামের নেতারা।