ঢাকা ০৬:০৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫, ২ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানিসহ ৯ নেতাকর্মী বিস্ফোরক মামলায় খালাস যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার তালিকায় আরও ৩৬ দেশ, কঠোর অবস্থানে ট্রাম্প প্রশাসন ঈদযাত্রায় ১৫ দিনে সড়কে প্রাণ হারালেন ৩৯০ জন, আহত সহস্রাধিক লবণাক্ত জমিতে আনারস চাষে অভূতপূর্ব সাফল্য কৃষক সুলতানের ইউনূস-তারেক বৈঠকে জনগণের প্রত্যাশা পূরণ হয়েছে: আমীর খসরু করোনা নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই, প্রস্তুত রয়েছে সরকার: ডা. সায়েদুর রহমান সরকারি চাকরি সংশোধন অধ্যাদেশ বাতিলের দাবিতে সচিবালয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিক্ষোভ ইশরাককে মেয়রের দায়িত্ব দেওয়ার দাবিতে নগর ভবনের সামনে ফের অবস্থান সমর্থকদের বিএনপি নেতাদের সঙ্গে ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুকের বৈঠক জোরপূর্বক গুম নিয়ে জাতিসংঘ প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকে আইন উপদেষ্টা

হাসিনাও শেখ মুজিবের মতো একদলীয় ব্যবস্থার পুনর্প্রবর্তন করেছিল : তারেক রহমান

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১১:৩৪:৪৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫
  • / 7

ছবি সংগৃহীত

 

 

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান অভিযোগ করেছেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পদাঙ্ক অনুসরণ করেই তার কন্যা শেখ হাসিনাও একদলীয় শাসনব্যবস্থা পুনঃপ্রবর্তনের চেষ্টা করেছেন। সোমবার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এ মন্তব্য করেন।

তারেক রহমান বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৬ জুন বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি কালো অধ্যায়। এদিন তৎকালীন শাসকগোষ্ঠী সব রাজনৈতিক দল বিলুপ্ত করে একদলীয় বাকশাল কায়েম করেছিল। শুধুমাত্র চারটি সরকারপন্থী পত্রিকাকে টিকিয়ে রেখে বাকির সব সংবাদপত্র বন্ধ করে দেওয়া হয়, ফলে অসংখ্য সাংবাদিক চাকরি হারান এবং তাদের পরিবার চরম অনিশ্চয়তার মুখে পড়ে।

তিনি বলেন, আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম চেতনা ছিল ভৌগলিক স্বাধীনতার পাশাপাশি গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা। প্রকৃত গণতন্ত্রে বাকস্বাধীনতা, মতপ্রকাশ ও চিন্তার স্বাধীনতা অপরিহার্য। সংবাদপত্রের স্বাধীনতা নিশ্চিত হলে রাষ্ট্র ও সরকার জবাবদিহির আওতায় আসে, নাগরিক মতের প্রতিফলন ঘটে। কিন্তু স্বাধীনতার পর যারা রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন, তারা সেই চেতনাকে পদদলিত করে একদলীয় শাসন ব্যবস্থা চাপিয়ে দেন।

তারেক রহমান বলেন, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান সেই বাকশাল বিরোধী অবস্থান নিয়ে বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেন এবং সংবাদপত্রের স্বাধীনতা ফিরিয়ে দেন। কিন্তু শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকার আবারও কালাকানুন প্রণয়ন করে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা হরণ করেছে। সাংবাদিকদের ওপর নিপীড়ন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্টের মতো ‘ড্রাকোনিয়ান’ আইন পাস করে গণমাধ্যমকে বন্দী করে রাখা হয়েছে।

তিনি দাবি করেন, সত্য উচ্চারণ করলেই সাংবাদিকদের ওপর নেমে এসেছে নির্যাতন। সংবাদমাধ্যমের কর্মীরা সব সময় আতঙ্কে থাকেন, যা গণতন্ত্রের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর।

তারেক রহমান বলেন, ৫ আগস্ট ফ্যাসিবাদী সরকারের পতনের পর গণমাধ্যম আংশিক স্বাধীনতা ফিরে পেয়েছে, তবে এখনো পুরোপুরি মুক্ত নয়। তিনি দৃঢ়ভাবে বলেন, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা নিশ্চিত না হলে গণতন্ত্র নিরাপদ নয়। বহুদলীয় গণতন্ত্রকে স্থায়ী করতে হলে সংবাদমাধ্যমের পূর্ণ স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

হাসিনাও শেখ মুজিবের মতো একদলীয় ব্যবস্থার পুনর্প্রবর্তন করেছিল : তারেক রহমান

আপডেট সময় ১১:৩৪:৪৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫

 

 

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান অভিযোগ করেছেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পদাঙ্ক অনুসরণ করেই তার কন্যা শেখ হাসিনাও একদলীয় শাসনব্যবস্থা পুনঃপ্রবর্তনের চেষ্টা করেছেন। সোমবার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এ মন্তব্য করেন।

তারেক রহমান বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৬ জুন বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি কালো অধ্যায়। এদিন তৎকালীন শাসকগোষ্ঠী সব রাজনৈতিক দল বিলুপ্ত করে একদলীয় বাকশাল কায়েম করেছিল। শুধুমাত্র চারটি সরকারপন্থী পত্রিকাকে টিকিয়ে রেখে বাকির সব সংবাদপত্র বন্ধ করে দেওয়া হয়, ফলে অসংখ্য সাংবাদিক চাকরি হারান এবং তাদের পরিবার চরম অনিশ্চয়তার মুখে পড়ে।

তিনি বলেন, আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম চেতনা ছিল ভৌগলিক স্বাধীনতার পাশাপাশি গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা। প্রকৃত গণতন্ত্রে বাকস্বাধীনতা, মতপ্রকাশ ও চিন্তার স্বাধীনতা অপরিহার্য। সংবাদপত্রের স্বাধীনতা নিশ্চিত হলে রাষ্ট্র ও সরকার জবাবদিহির আওতায় আসে, নাগরিক মতের প্রতিফলন ঘটে। কিন্তু স্বাধীনতার পর যারা রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন, তারা সেই চেতনাকে পদদলিত করে একদলীয় শাসন ব্যবস্থা চাপিয়ে দেন।

তারেক রহমান বলেন, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান সেই বাকশাল বিরোধী অবস্থান নিয়ে বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেন এবং সংবাদপত্রের স্বাধীনতা ফিরিয়ে দেন। কিন্তু শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকার আবারও কালাকানুন প্রণয়ন করে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা হরণ করেছে। সাংবাদিকদের ওপর নিপীড়ন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্টের মতো ‘ড্রাকোনিয়ান’ আইন পাস করে গণমাধ্যমকে বন্দী করে রাখা হয়েছে।

তিনি দাবি করেন, সত্য উচ্চারণ করলেই সাংবাদিকদের ওপর নেমে এসেছে নির্যাতন। সংবাদমাধ্যমের কর্মীরা সব সময় আতঙ্কে থাকেন, যা গণতন্ত্রের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর।

তারেক রহমান বলেন, ৫ আগস্ট ফ্যাসিবাদী সরকারের পতনের পর গণমাধ্যম আংশিক স্বাধীনতা ফিরে পেয়েছে, তবে এখনো পুরোপুরি মুক্ত নয়। তিনি দৃঢ়ভাবে বলেন, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা নিশ্চিত না হলে গণতন্ত্র নিরাপদ নয়। বহুদলীয় গণতন্ত্রকে স্থায়ী করতে হলে সংবাদমাধ্যমের পূর্ণ স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে হবে।