সংবিধান সংস্কার বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্য বিভ্রান্তিকর: রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন

- আপডেট সময় ০৮:৫৩:১২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ জুন ২০২৫
- / 15
সংবিধান সংস্কার নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে বিভ্রান্তিকর ও অসম্পূর্ণ বক্তব্য দিয়েছেন বলে মন্তব্য করেছে রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন। সংগঠনটি বলছে, প্রধান উপদেষ্টা যেভাবে সংবিধান সংস্কারের পদ্ধতি ব্যাখ্যা করেছেন, তা জুলাই অভ্যুত্থানের শহীদদের আকাঙ্ক্ষার পরিপন্থী।
আজ মঙ্গলবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন এই প্রতিক্রিয়া জানায়। গত ৬ জুন প্রধান উপদেষ্টা তার ভাষণে সংবিধান সংস্কারের জন্য রাজনৈতিক দলগুলোকে সংসদের প্রথম অধিবেশনে বিল উত্থাপনের অঙ্গীকার নেওয়ার পরামর্শ দেন। রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের মতে, এই পরামর্শ জনগণকে বিভ্রান্ত করেছে এবং শহীদদের আকাঙ্ক্ষার সঙ্গে সাংঘর্ষিক।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিদ্যমান সংবিধান অনুযায়ী সংশোধনের ক্ষমতা সংসদের হাতে থাকলেও ইতিহাস বলছে, এই পদ্ধতির অপব্যবহারই দেশে স্বৈরতন্ত্রের উত্থানে ভূমিকা রেখেছে। দলটির মতে, জনগণ যে অভ্যুত্থান ঘটিয়েছে তা ছিল সাংবিধানিক স্বৈরতন্ত্র উচ্ছেদের লক্ষ্যে, কিন্তু এখন আবারও সংসদীয় স্বৈরতন্ত্র প্রতিষ্ঠার চেষ্টা চলছে।
রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন মনে করে, প্রথমে সংবিধান সংস্কার করতে হবে এবং সেই নতুন সংবিধানের ভিত্তিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজন করতে হবে এই রূপরেখাই অন্তর্বর্তীকালীন সংকট থেকে উত্তরণের একমাত্র ন্যায্য পথ।
১৯৭০ সালের ধারাবাহিকতায় একযোগে সংবিধান সংস্কার সভা ও জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দাবি জানিয়েছে দলটি। তারা বলেছে, এই গুরুদায়িত্ব কোনোভাবেই সংসদের উপর ছেড়ে দেওয়া যাবে না। যারা একই সঙ্গে সংবিধান সংস্কার ও জাতীয় সংসদ নির্বাচন চান, তাদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন।
শুধু সংসদ নির্বাচন আয়োজনের সিদ্ধান্তকে আত্মঘাতী উল্লেখ করে তারা সরকারকে এই পথ থেকে সরে এসে সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে ঐকমত্য গঠনের পরামর্শ দিয়েছে।
তবে রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন স্বীকার করেছে, প্রধান উপদেষ্টা নির্বাচনের সময় ঘোষণা দেওয়ায় অনেকটাই অস্পষ্টতা কেটে গেছে। তবে এপ্রিল মাসের আবহাওয়া, রমজান ও এইচএসসি পরীক্ষার কারণে ওই সময়ে নির্বাচন আয়োজন কতটা যুক্তিযুক্ত হবে তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে।
রাখাইনে সহায়তা পাঠানোর বিষয়ে করিডর না দেওয়ার বিষয়ে সরকারের স্পষ্ট অবস্থান জনমনে স্বস্তি এনেছে বলে মনে করে দলটি। তবে বন্দরের ব্যবস্থাপনা নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার মন্তব্য রাজনৈতিক অঙ্গনে অস্বস্তির সৃষ্টি করেছে বলেও উল্লেখ করে তারা।