চাকরি সংশোধন অধ্যাদেশ বাতিলের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত উপদেষ্টার ফেরার পর: ভূমি সচিব

- আপডেট সময় ০১:১৬:৩৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৮ মে ২০২৫
- / 23
ভূমি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব এ এস এম সালেহ আহমেদ জানিয়েছেন, ‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ নিয়ে সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য ফোরামের দাবিদাওয়া মন্ত্রিপরিষদ সচিবের মাধ্যমে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টাকে জানানো হবে। তিনি দেশে ফিরলেই এ বিষয়ে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
বুধবার (২৮ মে) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন তিনি। একইসঙ্গে তিনি জানান, এ বিষয়ে গঠিত সাত সচিবের সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে এবং তারা মন্ত্রিপরিষদ সচিবের সঙ্গে বৈঠক করেছেন।
এদিকে, ঐক্য ফোরামের কো-চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম জানান, সচিবদের বৈঠকের বিষয়ে ভূমি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতেই পরবর্তী আন্দোলন বা কর্মসূচির সিদ্ধান্ত জানানো হবে।
এর প্রেক্ষিতে, পূর্বঘোষিত ২৮ মে’র বিক্ষোভ কর্মসূচি একদিন আগেই, মঙ্গলবার (২৭ মে) স্থগিত ঘোষণা করা হয়। সরকারের উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক শেষে কো-চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম গণমাধ্যমকে এই তথ্য জানান।
প্রসঙ্গত, ‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ গেজেট আকারে প্রকাশের পর সরকারি বিভিন্ন দফতরের কর্মচারীদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দেয়। তাদের অভিযোগ, এ অধ্যাদেশ সরকারি চাকরিজীবীদের নিরাপত্তা ও পদোন্নতি ব্যবস্থাকে ঝুঁকিপূর্ণ করে তুলবে।
অধ্যাদেশ অনুযায়ী, চারটি বিষয়ে শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে, যেগুলোকে কর্মচারীরা ‘নিবর্তনমূলক’ ও ‘কালাকানুন’ আখ্যা দিয়েছেন। উল্লেখযোগ্য অপরাধের মধ্যে রয়েছে অনানুগত্যমূলক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ, যুক্তিসংগত কারণ ছাড়া ছুটি ছাড়া কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকা, অন্যদের উসকানি দেওয়া এবং কর্তব্য পালনে বাধা দেওয়া। এসব অপরাধ প্রমাণিত হলে সংশ্লিষ্ট কর্মচারীর বিরুদ্ধে অসদাচরণের অভিযোগে চাকরিচ্যুতির ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে।
অভিযোগ গঠনের সাত দিনের মধ্যে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হবে এবং আরও সাত কর্মদিবসের মধ্যে চূড়ান্ত ব্যাখ্যা দিতে হবে কেন শাস্তি দেওয়া হবে না।
উল্লেখ্য, গত ২২ মে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে অধ্যাদেশটির খসড়া অনুমোদিত হয় এবং ২৫ মে (রবিবার) গেজেট আকারে প্রকাশ করা হয়।