ঢাকা ০১:৫৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৪ মে ২০২৫, ৩১ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
দুর্নীতির মামলায় হাইকোর্ট থেকে জামিন পেলেন ডা. জুবাইদা রহমান তারেক রহমানের ৩১ দফা কর্মসূচি নিয়ে মালয়েশিয়ায় বিএনপির কর্মশালা ঢাবি ভিসিকে দোষী দেখিয়ে মূল সত্য আড়াল করার পাঁয়তারা: সারজিসের অভিযোগ চট্টগ্রাম বন্দর ছাড়া অর্থনীতির নতুন দিগন্ত সম্ভব নয়: ড. ইউনূস শাহরিয়ার সাম্য হত্যাকাণ্ড: সোহরাওয়ার্দী উদ্যান এখন ‘অপরাধের স্বর্গরাজ্য’: হাসনাত আব্দুল্লাহ সাবেক স্বরাষ্ট্র সচিব জাহাঙ্গীর আলমের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধবিরতির মধ্যস্থতা ট্রাম্প করেনি: ভারতের স্পষ্ট বার্তা টাইগারদের আরব আমিরাত সফর শুরু, পাকিস্তান সিরিজ নিয়ে শঙ্কা চট্টগ্রাম বন্দর ঘুরে দেখলেন প্রধান উপদেষ্টা ইরানের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন নিষেধাজ্ঞা, আলোচনার মাঝেই উত্তেজনা বৃদ্ধি

ঐতিহাসিক নিষেধাজ্ঞার পরে সিসাঢালা প্রাচীরের মতো ঐক্যবদ্ধ থাকা জরুরি: সারজিস আলম

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১০:৫৬:৫৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৪ মে ২০২৫
  • / 3

ছবি সংগৃহীত

 

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেছেন, খুনি সন্ত্রাসী লীগ নিষিদ্ধ হওয়া জাতির ইতিহাসে এক যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত। এই মুহূর্তে আমাদের সকল মতভেদ ভুলে সিসাঢালা প্রাচীরের মতো ঐক্যবদ্ধ থাকা জরুরি, নইলে সাময়িক বিভেদ আমাদের জন্য চরম বিপর্যয় ডেকে আনবে।

মঙ্গলবার (১৩ মে) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।

সারজিস আলম বলেন, “আমরা যখন রাজপথে ঐক্যবদ্ধ ছিলাম, তখন ছদ্মবেশী আওয়ামী প্রেমীরা বাধা দেওয়ার সাহস করেনি। কিন্তু তাদের ষড়যন্ত্র থেমে নেই। আমাদের দাবির কিছুটা বাস্তবায়ন হয়েছে, কিন্তু পূর্ণ বাস্তবায়ন এখনো বাকি। এই অবস্থায় যেকোনো ভেতরের দ্বন্দ্ব আমাদের আন্দোলনের অগ্রযাত্রাকে বাধাগ্রস্ত করবে।”

তিনি বলেন, এখন জাতির সামনে একটি গুরত্বপূর্ণ সময়। আগামী জুলাইয়ে যে ঐক্যের ডাক দেওয়া হয়েছে, সেটি যেন কোনো রাজনৈতিক ইকুয়েশনের বলি না হয়। অস্তিত্বের এই লড়াইয়ে ব্যক্তিগত বা গোষ্ঠীগত স্বার্থকে প্রাধান্য দিলে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম আমাদের ক্ষমা করবে না।

সারজিস আলম আরও বলেন, “এই ঐতিহাসিক সময়ে যদি আমরা বিভক্ত হই, তবে ইতিহাস ও জনতার আদালতে আমরা চিরকাল দোষী হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থাকব। তাই এখনই সময়, নিজেদের ভেদাভেদ ভুলে জাতির বৃহত্তর স্বার্থে এক কণ্ঠে উচ্চারণ করতে হবে—বিচার চাই, স্বাধীনতা চাই, খুনি-মাফিয়ামুক্ত বাংলাদেশ চাই।”

তিনি জাতীয় নাগরিক পার্টির সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান, যাতে তারা ব্যক্তিগত মতপার্থক্য পাশ কাটিয়ে ঐক্যের পতাকা আরও উচ্চ করে ধরেন এবং যে কোনও বিভাজনের প্রচেষ্টা শক্ত হাতে প্রতিহত করেন।

বিবৃতির শেষে সারজিস আলম আবারও স্মরণ করিয়ে দেন, “এই বিজয় হঠাৎ করে আসেনি। এটি আমাদের ত্যাগ, সাহস, ও দীর্ঘ আন্দোলনের ফসল। এখন এই বিজয়কে চূড়ান্ত করতে হলে আমাদেরকে আরও ধৈর্যশীল, দূরদর্শী ও ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।”

 

নিউজটি শেয়ার করুন

ঐতিহাসিক নিষেধাজ্ঞার পরে সিসাঢালা প্রাচীরের মতো ঐক্যবদ্ধ থাকা জরুরি: সারজিস আলম

আপডেট সময় ১০:৫৬:৫৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৪ মে ২০২৫

 

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেছেন, খুনি সন্ত্রাসী লীগ নিষিদ্ধ হওয়া জাতির ইতিহাসে এক যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত। এই মুহূর্তে আমাদের সকল মতভেদ ভুলে সিসাঢালা প্রাচীরের মতো ঐক্যবদ্ধ থাকা জরুরি, নইলে সাময়িক বিভেদ আমাদের জন্য চরম বিপর্যয় ডেকে আনবে।

মঙ্গলবার (১৩ মে) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।

সারজিস আলম বলেন, “আমরা যখন রাজপথে ঐক্যবদ্ধ ছিলাম, তখন ছদ্মবেশী আওয়ামী প্রেমীরা বাধা দেওয়ার সাহস করেনি। কিন্তু তাদের ষড়যন্ত্র থেমে নেই। আমাদের দাবির কিছুটা বাস্তবায়ন হয়েছে, কিন্তু পূর্ণ বাস্তবায়ন এখনো বাকি। এই অবস্থায় যেকোনো ভেতরের দ্বন্দ্ব আমাদের আন্দোলনের অগ্রযাত্রাকে বাধাগ্রস্ত করবে।”

তিনি বলেন, এখন জাতির সামনে একটি গুরত্বপূর্ণ সময়। আগামী জুলাইয়ে যে ঐক্যের ডাক দেওয়া হয়েছে, সেটি যেন কোনো রাজনৈতিক ইকুয়েশনের বলি না হয়। অস্তিত্বের এই লড়াইয়ে ব্যক্তিগত বা গোষ্ঠীগত স্বার্থকে প্রাধান্য দিলে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম আমাদের ক্ষমা করবে না।

সারজিস আলম আরও বলেন, “এই ঐতিহাসিক সময়ে যদি আমরা বিভক্ত হই, তবে ইতিহাস ও জনতার আদালতে আমরা চিরকাল দোষী হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থাকব। তাই এখনই সময়, নিজেদের ভেদাভেদ ভুলে জাতির বৃহত্তর স্বার্থে এক কণ্ঠে উচ্চারণ করতে হবে—বিচার চাই, স্বাধীনতা চাই, খুনি-মাফিয়ামুক্ত বাংলাদেশ চাই।”

তিনি জাতীয় নাগরিক পার্টির সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান, যাতে তারা ব্যক্তিগত মতপার্থক্য পাশ কাটিয়ে ঐক্যের পতাকা আরও উচ্চ করে ধরেন এবং যে কোনও বিভাজনের প্রচেষ্টা শক্ত হাতে প্রতিহত করেন।

বিবৃতির শেষে সারজিস আলম আবারও স্মরণ করিয়ে দেন, “এই বিজয় হঠাৎ করে আসেনি। এটি আমাদের ত্যাগ, সাহস, ও দীর্ঘ আন্দোলনের ফসল। এখন এই বিজয়কে চূড়ান্ত করতে হলে আমাদেরকে আরও ধৈর্যশীল, দূরদর্শী ও ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।”