বদরগঞ্জে দোকান ভাড়াকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই গ্রুপের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ, আহত ২৫

- আপডেট সময় ১০:৫৭:৩৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৬ এপ্রিল ২০২৫
- / 41
রংপুরের বদরগঞ্জে দোকান ভাড়াকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে ভয়াবহ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় নিউজ টোয়েন্টিফোরের ক্যামেরাপারসন ফারুকসহ অন্তত ২৫ জন আহত হয়েছেন। সংঘর্ষের পর পুরো এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। স্থানীয়রা আশঙ্কা করছেন, পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ রূপ নিতে পারে।
শনিবার (৫ এপ্রিল) দুপুর ১টার দিকে বদরগঞ্জ শহীদ মিনার চত্বরে এ সংঘর্ষ শুরু হয়। আহতদের মধ্যে শফিকুল ইসলাম, লাভলু হাজী ও ময়নাল উদ্দিনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাদের রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, বদরগঞ্জ বাজারে টিনের ব্যবসা করতেন জাহিদুল ইসলাম। তার সঙ্গে দোকান মালিক ইতিয়াক বাবুর ২০২৮ সাল পর্যন্ত চুক্তি ছিল। তবে গত মাসে হঠাৎ দোকান ছাড়ার জন্য চাপ দিতে থাকেন দোকান মালিক। জামানতের ৩৫ লাখ টাকা ফেরত ছাড়া দোকান ছাড়তে রাজি হননি জাহিদুল। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে ২ এপ্রিল সন্ধ্যায় দলবল নিয়ে দোকানঘরে হামলা চালান ইতিয়াক বাবু। দোকান ভাঙচুর ও লুটপাটের পাশাপাশি জাহিদুল ইসলামকেও মারধর করে গুরুতর আহত করেন। বর্তমানে তিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন।
এ ঘটনার প্রতিবাদে আজ মানববন্ধনের আয়োজন করেন উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ইউপি চেয়ারম্যান শহিদুল হক মানিক। শহীদ মিনারে মানববন্ধন চলাকালে হঠাৎ হামলা চালায় বিএনপির আরেক গ্রুপ, যার নেতৃত্বে ছিলেন সাবেক সংসদ সদস্য ও রংপুর জেলা বিএনপির সদস্য মোহাম্মদ আলী সরকার এবং উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক হুমায়ুন কবির মানিক। তারা মানববন্ধনের ব্যানার ছিঁড়ে ফেলে, মাইক ভাঙচুর করে। একপর্যায়ে উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেঁধে যায়।
সংঘর্ষে লাঠিসোঁটা, ইটপাটকেল ব্যবহার হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
বদরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম আতিকুর রহমান বলেন, “বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।”
স্থানীয়দের দাবি, দলে দলে বিভাজন ও ক্ষমতা দেখানোর এই অপসংস্কৃতি বিএনপির ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত বদরগঞ্জে রাজনৈতিক অস্থিরতা আরও বাড়িয়ে তুলছে।