স্বাধীনতার রক্ষায় চব্বিশের অভ্যুত্থান, স্মৃতিসৌধে যুব উপদেষ্টার দৃপ্ত ঘোষণা
জাতির ৫৫তম স্বাধীনতা দিবসে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে এক আবেগঘন পরিবেশে শ্রদ্ধা জানানো হলো একাত্তরের শহীদ বীরদের প্রতি। সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ শাহাবুদ্দিন ও প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করেন।
তাঁদের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন প্রধান বিচারপতি, বীরশ্রেষ্ঠ পরিবার, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ও উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যরা। জাতীয় পতাকার প্রতি সম্মান জানিয়ে, ফুলে ফুলে ভরে ওঠে শহীদ বেদি।
এই সময় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেন, “৭১ আমাদের স্বাধীনতা এনে দিয়েছে। কিন্তু পরে সেই স্বাধীনতার মর্ম বারবার বিকৃত হয়েছে। আজ যেসব মানুষ ২৪-এর অভ্যুত্থান নিয়ে প্রশ্ন তোলে, তাদের বোঝা উচিত এটি ছিল একাত্তরের চেতনাকে রক্ষার একটি সময়োচিত প্রয়াস।”
তিনি বলেন, “স্বাধীনতার অর্থ শুধু একটি ভূখণ্ড নয়, বরং একটি আদর্শ, একটি বিশ্বাস যা জনগণের অধিকার ও সার্বভৌমত্বে নিহিত। সেই আদর্শ রক্ষায় যখন ব্যর্থতা দেখা দেয়, তখনই জনগণের ভিতরে জাগে প্রতিরোধের শক্তি।”
সজীব ভূঁইয়া আরও জানান, স্বাধীনতার এই দিনে শুধু ফুল নয়, প্রতিজ্ঞাও প্রয়োজন যাতে আগামী প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধের সত্যিকারের ইতিহাস জানতে পারে, গর্ব করতে পারে।
জাতীয় স্মৃতিসৌধজুড়ে সকাল থেকে ছিল হাজারো মানুষের ভিড়। সবাই এসেছিলেন প্রিয় শহীদদের স্মরণ করতে, শ্রদ্ধা জানাতে। বাচ্চাদের হাতে ছিল জাতীয় পতাকা, যুবকদের মুখে ছিল দেশপ্রেমের গান।
স্বাধীনতার দিবস শুধু একটি স্মরণ নয়, এটি আত্মজিজ্ঞাসারও দিন আমরা কতটা ধরে রাখতে পেরেছি সেই ত্যাগের মূল্য? এমন প্রশ্নই যেন উঁকি দিচ্ছিল উপস্থিত প্রতিটি মানুষের চোখে মুখে।
এই দিনে জাতি প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হোক একাত্তরের বাংলাদেশ যেন বিভ্রান্তির কোনো অন্ধকারে না হারায়, ইতিহাস যেন সত্যের আলোকেই এগিয়ে চলে।