নতুন দেশ গঠনের দ্বার খুলেছে, আমরা এই সুযোগ হাতছাড়া করতে চাই না: ড. মুহাম্মদ ইউনূস

- আপডেট সময় ০১:৫৫:৩৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ মার্চ ২০২৫
- / 33
দীর্ঘদিনের দুঃশাসন, ভোটাধিকার হরণ, গুম-খুন ও দুর্নীতির কালো অধ্যায়ের পর দেশে একটি ফ্যাসিবাদী শাসনব্যবস্থা গড়ে উঠেছিল এ কথা উল্লেখ করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, “ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে নতুন বাংলাদেশ গড়ার সুযোগ এসেছে। আমরা এই ঐতিহাসিক সুযোগ হারাতে চাই না।”
মঙ্গলবার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আয়োজিত স্বাধীনতা পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ড. ইউনূস বলেন, “দেশ আজ একটি মোড় ঘুরিয়েছে। দীর্ঘ অন্ধকারের পরে নতুন প্রভাতের আলোর মুখ দেখছে জাতি। মানুষের আশা ও স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়ার জন্য এখনই উপযুক্ত সময়।”
এ সময় তিনি রাজনৈতিক কর্মী ও বুদ্ধিজীবী বদরুদ্দীন উমরের প্রসঙ্গ টেনে বলেন, “যেহেতু তিনি স্বাধীনতা পুরস্কার গ্রহণ করতে অনিচ্ছুক, তাই তাঁর পদকটি জাতীয় যাদুঘরে সংরক্ষণ করা হবে। আগামীতে যেন জীবিতদেরই যথাসময়ে এই সম্মাননা প্রদান করা যায়, সে বিষয়েও গুরুত্ব দিয়ে ভাবা হচ্ছে।”
২৫ মার্চের ভয়াল রাত প্রসঙ্গে ড. ইউনূস বলেন, “এই দিনটি মানব ইতিহাসে একটি কলঙ্কচিহ্ন। বর্বর পাকিস্তানি বাহিনী নিরীহ বাঙালির ওপর যে হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছিল, তা চিরকাল স্মরণীয় হয়ে থাকবে।”
এবারের স্বাধীনতা পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন সাতজন বিশিষ্ট ব্যক্তি। তাঁদের মধ্যে ছয়জনই মরণোত্তর। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে অধ্যাপক জামাল নজরুল ইসলাম, সাহিত্যে মীর আবদুস শুকুর আল মাহমুদ, সংস্কৃতিতে নভেরা আহমেদ, সমাজসেবায় স্যার ফজলে হাসান আবেদ, মুক্তিযুদ্ধ ও সংস্কৃতিতে মোহাম্মদ মাহবুবুল হক খান ওরফে আজম খান এবং প্রতিবাদী তারুণ্যের প্রতীক আবরার ফাহাদকে মরণোত্তর পুরস্কার প্রদান করা হয়। শিক্ষা ও গবেষণায় জীবিত অবস্থায় পুরস্কার পেয়েছেন বদরুদ্দীন মোহাম্মদ উমর।
অন্তিমে ড. ইউনূস জানান, “এই পুরস্কার শুধু কৃতজ্ঞতা নয়, ভবিষ্যতের প্রেরণাও। বাংলাদেশ যেন আবার গর্জে ওঠে সত্য, ন্যায় ও গণতন্ত্রের পথে।”