ঢাকা ০২:৪৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০৪ জুন ২০২৫, ২০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
আইপিএলের ফাইনালে মুখোমুখি বেঙ্গালুরু ও পাঞ্জাব, জয়ের খোঁজে দুই দলই প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা করলেন জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী পরিবহনে ডাকাতি এড়াতে স্টপেজ থেকেই যাত্রীদের ছবি তুলতে হবে- স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা সচিবালয়ের সংকট সমাধানে উপদেষ্টা পর্যায়ের উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন হচ্ছে: আইন উপদেষ্টা পুশ-ইন ইস্যুতে ভারতকে আবারও চিঠি দেবে বাংলাদেশ: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা ১২০০ বস্তা চাল “গুজব”: প্রতিক্রিয়া জানালেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সেপ্টেম্বরে মূল্যস্ফীতি ৭ শতাংশে নামবে: গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর কর্ণফুলী নদীতে ফিশিং ভেসেল থেকে পড়ে ২ নাবিকের মর্মান্তিক মৃত্যু জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের ২০০ একর জমি হস্তান্তর সম্পন্ন হত্যাসহ ৫ মামলায় চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের জামিন আবেদন আবারও নামঞ্জুর

বাংলাদেশের দৃষ্টিভঙ্গি সাম্প্রদায়িক সহিংসতা প্রতিরোধে এ অঞ্চলের জন্য একটি আদর্শ মডেল হতে পারে: মাহফুজ আলম

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০২:৪৭:১৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ ২০২৫
  • / 26

ছবি: সংগৃহীত

 

সাম্প্রদায়িক সহিংসতা প্রতিরোধে বাংলাদেশ যে দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণ করেছে, তা দক্ষিণ এশিয়ার জন্য একটি অনুসরণীয় মডেল হতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো. মাহফুজ আলম। সোমবার দিবাগত রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পোস্টে তিনি এ মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, ‘এ অঞ্চলে সাম্প্রতিক সময়ে সাম্প্রদায়িক সহিংসতা, ধর্মীয় অসহিষ্ণুতা ও ইসলামবিদ্বেষ বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিশেষত মুসলিম নারী ও শিশুদের প্রতি ঘৃণাসূচক মনোভাব সামগ্রিকভাবে দক্ষিণ এশিয়ার শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য উদ্বেগজনক। রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে এ ধরনের মনোভাব বা মিডিয়ার মাধ্যমে উসকানি এ অঞ্চলের স্থিতিশীলতাকে গভীর সংকটে ফেলতে পারে।’

জুলাই-পরবর্তী বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক সহিংসতার বিরুদ্ধে নেওয়া পদক্ষেপ সম্পর্কে মাহফুজ আলম বলেন, ‘আমরা কঠোর ও কার্যকর ব্যবস্থা নিয়েছি। প্রতিটি ঘটনার সত্যতা যাচাইয়ের মাধ্যমে অপরাধীদের শনাক্ত এবং গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এতে দেখা গেছে, অধিকাংশ সহিংসতা মূলত সাম্প্রদায়িক নয়, বরং রাজনৈতিক উদ্দেশ্য বা ব্যক্তিগত বিদ্বেষপ্রসূত।’

মাহফুজ আলম মনে করেন, বাংলাদেশের এখন প্রয়োজন একটি নতুন দৃষ্টিভঙ্গি। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশকে শুধু উত্তর-পশ্চিমের সীমান্ত অঞ্চলের দিকে তাকালে চলবে না, আমাদের দৃষ্টি আরও প্রসারিত করতে হবে বঙ্গোপসাগরের দিকে। একটি সমুদ্রকেন্দ্রিক আঞ্চলিক সহযোগিতা ও সমঝোতা গড়ে তুলতে হবে, যেখানে দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চল ও বঙ্গোপসাগর অঞ্চল বিশেষ গুরুত্ব পাবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘দারা শিকো, রাজা রামমোহন রায় ও কাজী নজরুল ইসলামের মতো মহান মনীষীরা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও সহাবস্থানের যে স্বপ্ন দেখেছিলেন, তা অবশ্যই বাস্তবায়ন সম্ভব। ধর্মের নামে চরমপন্থা ও ইসলামবিদ্বেষকে আমাদের প্রত্যাখ্যান করতে হবে। কোনো রাষ্ট্রই তার নাগরিকদের অন্যের চোখে দেখতে পারে না, বরং স্বীয় মূল্যবোধের ভিত্তিতে পথ নির্ধারণ করতে হয়।’

সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির মধ্যেই দক্ষিণ এশিয়ার দীর্ঘমেয়াদি স্থিতিশীলতা নিহিত রয়েছে এই বাস্তবতাকে সামনে রেখে পারস্পরিক বোঝাপড়া ও সহযোগিতার ওপর জোর দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

নিউজটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশের দৃষ্টিভঙ্গি সাম্প্রদায়িক সহিংসতা প্রতিরোধে এ অঞ্চলের জন্য একটি আদর্শ মডেল হতে পারে: মাহফুজ আলম

আপডেট সময় ০২:৪৭:১৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ ২০২৫

 

সাম্প্রদায়িক সহিংসতা প্রতিরোধে বাংলাদেশ যে দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণ করেছে, তা দক্ষিণ এশিয়ার জন্য একটি অনুসরণীয় মডেল হতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো. মাহফুজ আলম। সোমবার দিবাগত রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পোস্টে তিনি এ মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, ‘এ অঞ্চলে সাম্প্রতিক সময়ে সাম্প্রদায়িক সহিংসতা, ধর্মীয় অসহিষ্ণুতা ও ইসলামবিদ্বেষ বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিশেষত মুসলিম নারী ও শিশুদের প্রতি ঘৃণাসূচক মনোভাব সামগ্রিকভাবে দক্ষিণ এশিয়ার শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য উদ্বেগজনক। রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে এ ধরনের মনোভাব বা মিডিয়ার মাধ্যমে উসকানি এ অঞ্চলের স্থিতিশীলতাকে গভীর সংকটে ফেলতে পারে।’

জুলাই-পরবর্তী বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক সহিংসতার বিরুদ্ধে নেওয়া পদক্ষেপ সম্পর্কে মাহফুজ আলম বলেন, ‘আমরা কঠোর ও কার্যকর ব্যবস্থা নিয়েছি। প্রতিটি ঘটনার সত্যতা যাচাইয়ের মাধ্যমে অপরাধীদের শনাক্ত এবং গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এতে দেখা গেছে, অধিকাংশ সহিংসতা মূলত সাম্প্রদায়িক নয়, বরং রাজনৈতিক উদ্দেশ্য বা ব্যক্তিগত বিদ্বেষপ্রসূত।’

মাহফুজ আলম মনে করেন, বাংলাদেশের এখন প্রয়োজন একটি নতুন দৃষ্টিভঙ্গি। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশকে শুধু উত্তর-পশ্চিমের সীমান্ত অঞ্চলের দিকে তাকালে চলবে না, আমাদের দৃষ্টি আরও প্রসারিত করতে হবে বঙ্গোপসাগরের দিকে। একটি সমুদ্রকেন্দ্রিক আঞ্চলিক সহযোগিতা ও সমঝোতা গড়ে তুলতে হবে, যেখানে দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চল ও বঙ্গোপসাগর অঞ্চল বিশেষ গুরুত্ব পাবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘দারা শিকো, রাজা রামমোহন রায় ও কাজী নজরুল ইসলামের মতো মহান মনীষীরা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও সহাবস্থানের যে স্বপ্ন দেখেছিলেন, তা অবশ্যই বাস্তবায়ন সম্ভব। ধর্মের নামে চরমপন্থা ও ইসলামবিদ্বেষকে আমাদের প্রত্যাখ্যান করতে হবে। কোনো রাষ্ট্রই তার নাগরিকদের অন্যের চোখে দেখতে পারে না, বরং স্বীয় মূল্যবোধের ভিত্তিতে পথ নির্ধারণ করতে হয়।’

সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির মধ্যেই দক্ষিণ এশিয়ার দীর্ঘমেয়াদি স্থিতিশীলতা নিহিত রয়েছে এই বাস্তবতাকে সামনে রেখে পারস্পরিক বোঝাপড়া ও সহযোগিতার ওপর জোর দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।