০৯:২৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৫
শিরোনাম :
হুমকিতে বিশ্বব্যাপী পোলিও টিকাদান কর্মসূচি যুক্তরাষ্ট্রকে ভেনেজুয়েলার হুঁশিয়ারি: “আমাদের হাতে ৫ হাজার রুশ ক্ষেপণাস্ত্র” সিইসির সঙ্গে বিএনপির বৈঠক বঙ্গোপসাগরে সুস্পষ্ট লঘুচাপ, গভীর সমুদ্রে যাত্রা নিষেধ আতলেতিকোর জালে ১৪ মিনিটে ৪ গোল, দাপুটে জয়ে আর্সেনাল ১৫ সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালের কড়া পদক্ষেপ, পাঠানো হলো কারাগারে অগ্নি দুর্ঘটনা রোধে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে সতর্কতা নির্দেশনা দিল মাউশি ইয়েমেনে জাতিসংঘ কার্যালয়ে হুথি বাহিনীর অভিযান, আটক ২০ কর্মী হংকং বিমানবন্দরে বড় দুর্ঘটনা: সাগরে পড়ল কার্গো প্লেন, নিহত ২ কর্মী ১ নভেম্বর থেকে সেন্টমার্টিন যেতে পারবেন পর্যটকরা: পরিবেশ উপদেষ্টা

সুবিধাবঞ্চিতদের আর্থিক সমৃদ্ধির জন্য ইসলামী ব্যাংকিং কার্যকর পদক্ষেপ নিচ্ছে : ধর্ম উপদেষ্টা

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৪:৫২:৫৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৫ মার্চ ২০২৫
  • / 48

ছবি: সংগৃহীত

 

ইসলামী ব্যাংকিং দারিদ্র্য দূরীকরণ ও আয়বৈষম্য হ্রাসে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে বলে মন্তব্য করেছেন ধর্মবিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন। তিনি বলেন, ইসলামী ব্যাংকিং শুধু একটি আর্থিক ব্যবস্থা নয়, বরং এটি জাকাত, সাদাকাহ ও ওয়াকফের মতো কল্যাণমূলক ব্যবস্থার মাধ্যমে সমাজের সুবিধাবঞ্চিত মানুষের পাশে দাঁড়ায়।

শনিবার রাজধানীর বাড্ডায় ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে ইনস্টিটিউট অব ইসলামিক ব্যাংকিং, ফিন্যান্স অ্যান্ড ইকোনমিকস-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

বিজ্ঞাপন

তিনি আরও বলেন, ইসলামী ব্যাংকিং বর্তমানে শুধু মুসলিম বিশ্বেই সীমাবদ্ধ নেই, বরং যুক্তরাজ্য, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, মালয়েশিয়া ও সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ বিভিন্ন দেশে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এটি শুধু ধর্মীয় বিশ্বাসের ভিত্তিতে পরিচালিত নয়; বরং ন্যায়সংগত, স্বচ্ছ এবং সুদবিহীন অর্থনৈতিক কাঠামোর কারণে বৈশ্বিক বাজারেও এটি নির্ভরযোগ্য ও লাভজনক ব্যাংকিং ব্যবস্থা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। বর্তমানে সারা বিশ্বে ইসলামী ব্যাংকিংয়ের অধীনে প্রায় ১.৮ ট্রিলিয়ন ডলার ব্যবস্থাপিত হচ্ছে।

ড. খালিদ হোসেন আরও বলেন, ইসলামিক ফিন্যান্স একটি নৈতিক ও ভারসাম্যপূর্ণ অর্থনৈতিক ব্যবস্থা, যেখানে সুদের পরিবর্তে লাভ-ক্ষতির ভিত্তিতে লেনদেন পরিচালিত হয়। এটি মুসলমানদের জন্য সীমাবদ্ধ নয়, বরং যে কেউ এই ন্যায়সংগত ও স্বচ্ছ অর্থনৈতিক ব্যবস্থার অংশ হতে পারে।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির উপাচার্য প্রফেসর ড. আবুল কাশেম মিয়া। স্বাগত বক্তব্য দেন ইনস্টিটিউটের পরিচালক প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ওমর ফারুক। এছাড়া বক্তব্য দেন প্রফেসর ড. গিয়াস উদ্দীন তালুকদার, সেন্ট্রাল শরিয়াহ বোর্ড ফেলোস ফোরামের সভাপতি মুহাম্মদ আব্দুল্লাহ শরীফসহ বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ও গবেষকরা।

এর আগে ধর্মবিষয়ক উপদেষ্টা ইনস্টিটিউট অব ফিন্যান্স, ব্যাংকিং অ্যান্ড ইকোনমিকস ভবনের ফলক উন্মোচন করেন। ইসলামী অর্থনীতির প্রসারে এই ইনস্টিটিউট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

সুবিধাবঞ্চিতদের আর্থিক সমৃদ্ধির জন্য ইসলামী ব্যাংকিং কার্যকর পদক্ষেপ নিচ্ছে : ধর্ম উপদেষ্টা

আপডেট সময় ০৪:৫২:৫৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৫ মার্চ ২০২৫

 

ইসলামী ব্যাংকিং দারিদ্র্য দূরীকরণ ও আয়বৈষম্য হ্রাসে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে বলে মন্তব্য করেছেন ধর্মবিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন। তিনি বলেন, ইসলামী ব্যাংকিং শুধু একটি আর্থিক ব্যবস্থা নয়, বরং এটি জাকাত, সাদাকাহ ও ওয়াকফের মতো কল্যাণমূলক ব্যবস্থার মাধ্যমে সমাজের সুবিধাবঞ্চিত মানুষের পাশে দাঁড়ায়।

শনিবার রাজধানীর বাড্ডায় ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে ইনস্টিটিউট অব ইসলামিক ব্যাংকিং, ফিন্যান্স অ্যান্ড ইকোনমিকস-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

বিজ্ঞাপন

তিনি আরও বলেন, ইসলামী ব্যাংকিং বর্তমানে শুধু মুসলিম বিশ্বেই সীমাবদ্ধ নেই, বরং যুক্তরাজ্য, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, মালয়েশিয়া ও সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ বিভিন্ন দেশে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এটি শুধু ধর্মীয় বিশ্বাসের ভিত্তিতে পরিচালিত নয়; বরং ন্যায়সংগত, স্বচ্ছ এবং সুদবিহীন অর্থনৈতিক কাঠামোর কারণে বৈশ্বিক বাজারেও এটি নির্ভরযোগ্য ও লাভজনক ব্যাংকিং ব্যবস্থা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। বর্তমানে সারা বিশ্বে ইসলামী ব্যাংকিংয়ের অধীনে প্রায় ১.৮ ট্রিলিয়ন ডলার ব্যবস্থাপিত হচ্ছে।

ড. খালিদ হোসেন আরও বলেন, ইসলামিক ফিন্যান্স একটি নৈতিক ও ভারসাম্যপূর্ণ অর্থনৈতিক ব্যবস্থা, যেখানে সুদের পরিবর্তে লাভ-ক্ষতির ভিত্তিতে লেনদেন পরিচালিত হয়। এটি মুসলমানদের জন্য সীমাবদ্ধ নয়, বরং যে কেউ এই ন্যায়সংগত ও স্বচ্ছ অর্থনৈতিক ব্যবস্থার অংশ হতে পারে।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির উপাচার্য প্রফেসর ড. আবুল কাশেম মিয়া। স্বাগত বক্তব্য দেন ইনস্টিটিউটের পরিচালক প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ওমর ফারুক। এছাড়া বক্তব্য দেন প্রফেসর ড. গিয়াস উদ্দীন তালুকদার, সেন্ট্রাল শরিয়াহ বোর্ড ফেলোস ফোরামের সভাপতি মুহাম্মদ আব্দুল্লাহ শরীফসহ বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ও গবেষকরা।

এর আগে ধর্মবিষয়ক উপদেষ্টা ইনস্টিটিউট অব ফিন্যান্স, ব্যাংকিং অ্যান্ড ইকোনমিকস ভবনের ফলক উন্মোচন করেন। ইসলামী অর্থনীতির প্রসারে এই ইনস্টিটিউট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।