ঢাকা ০৮:৩১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৬ জুন ২০২৫, ২৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সিগারেটের ব্যবহার কমানোর জন্য ট্যাক্স বাড়ানো যথেষ্ট নয়: শফিকুল আলম

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৩:৪২:৪৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ মার্চ ২০২৫
  • / 35

ছবি সংগৃহীত

 

আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট সম্পর্কিত কর্মশালায় প্রধান উপদেষ্টা শফিকুল আলম জানিয়েছেন, সিগারেটের ব্যবহার কমানোর জন্য ট্যাক্স বাড়ানোর ধারণাটি কার্যকর প্রমাণিত হয়নি। তিনি বলেন, “ট্যাক্স বৃদ্ধি করলে সিগারেটের ব্যবহার কমে যাবে—এ ধারণায় ২০ বছর ধরে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)কে চাপ দেওয়া হয়েছে। তবে এই পন্থা সফল হয়নি।”

বুধবার (১২ মার্চ) রাজধানীর পল্টনে ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ) কার্যালয়ে আয়োজিত কর্মশালায় শফিকুল আলম আরও বলেন, “হঠাৎ করে সিগারেটের ব্যবহার বন্ধ করা সম্ভব নয়। তামাকবিরোধী সংস্থাগুলি সামাজিক সচেতনতা বাড়ানোর পরিবর্তে শুধু ভ্যাট বাড়ানোর তাগিদ দিয়ে সিগারেটের ব্যবহার কমানোর চেষ্টা করেছে, যা সম্পূর্ণরূপে ব্যর্থ হয়েছে।”

এছাড়া, তিনি উল্লেখ করেন, “তামাকবিরোধী কার্যক্রমে অংশ নেওয়া সব সংস্থাই ব্যর্থ হয়েছে। তাই তামাকমুক্ত দেশ গড়তে নতুন এবং কার্যকর ধারণার প্রয়োজন। যদি সবাই সম্মিলিতভাবে সচেতন হয়ে দেশব্যাপী প্রচারণা চালায়, তবে সিগারেটের ব্যবহারকে কার্যকরভাবে কমানো সম্ভব হবে।”

শফিকুল আলম আরও বলেন, “তামাক চাষিদের তামাক উৎপাদন থেকে বিরত করতে হলে, তাদের জন্য ভাল বিকল্প ব্যবস্থা থাকতে হবে। শুধু নিষেধাজ্ঞা আর কর বৃদ্ধি দিয়ে কাজ হবে না, বরং তাদের আর্থিক সচ্ছলতা নিশ্চিত করার জন্য উপযুক্ত বিকল্প প্রয়োজন।”

তিনি উল্লেখ করেন, দেশকে তামাকমুক্ত করতে হলে, সামাজিক ও অর্থনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে একসাথে কাজ করা প্রয়োজন, এবং কেবল কর বাড়ানোই পর্যাপ্ত নয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

সিগারেটের ব্যবহার কমানোর জন্য ট্যাক্স বাড়ানো যথেষ্ট নয়: শফিকুল আলম

আপডেট সময় ০৩:৪২:৪৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ মার্চ ২০২৫

 

আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট সম্পর্কিত কর্মশালায় প্রধান উপদেষ্টা শফিকুল আলম জানিয়েছেন, সিগারেটের ব্যবহার কমানোর জন্য ট্যাক্স বাড়ানোর ধারণাটি কার্যকর প্রমাণিত হয়নি। তিনি বলেন, “ট্যাক্স বৃদ্ধি করলে সিগারেটের ব্যবহার কমে যাবে—এ ধারণায় ২০ বছর ধরে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)কে চাপ দেওয়া হয়েছে। তবে এই পন্থা সফল হয়নি।”

বুধবার (১২ মার্চ) রাজধানীর পল্টনে ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ) কার্যালয়ে আয়োজিত কর্মশালায় শফিকুল আলম আরও বলেন, “হঠাৎ করে সিগারেটের ব্যবহার বন্ধ করা সম্ভব নয়। তামাকবিরোধী সংস্থাগুলি সামাজিক সচেতনতা বাড়ানোর পরিবর্তে শুধু ভ্যাট বাড়ানোর তাগিদ দিয়ে সিগারেটের ব্যবহার কমানোর চেষ্টা করেছে, যা সম্পূর্ণরূপে ব্যর্থ হয়েছে।”

এছাড়া, তিনি উল্লেখ করেন, “তামাকবিরোধী কার্যক্রমে অংশ নেওয়া সব সংস্থাই ব্যর্থ হয়েছে। তাই তামাকমুক্ত দেশ গড়তে নতুন এবং কার্যকর ধারণার প্রয়োজন। যদি সবাই সম্মিলিতভাবে সচেতন হয়ে দেশব্যাপী প্রচারণা চালায়, তবে সিগারেটের ব্যবহারকে কার্যকরভাবে কমানো সম্ভব হবে।”

শফিকুল আলম আরও বলেন, “তামাক চাষিদের তামাক উৎপাদন থেকে বিরত করতে হলে, তাদের জন্য ভাল বিকল্প ব্যবস্থা থাকতে হবে। শুধু নিষেধাজ্ঞা আর কর বৃদ্ধি দিয়ে কাজ হবে না, বরং তাদের আর্থিক সচ্ছলতা নিশ্চিত করার জন্য উপযুক্ত বিকল্প প্রয়োজন।”

তিনি উল্লেখ করেন, দেশকে তামাকমুক্ত করতে হলে, সামাজিক ও অর্থনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে একসাথে কাজ করা প্রয়োজন, এবং কেবল কর বাড়ানোই পর্যাপ্ত নয়।