দুদক চেয়ারম্যান: “সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান হলে আরও স্বাধীনভাবে কাজ করা সম্ভব”
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ড. আব্দুল মোমেন বলেছেন, বর্তমান অবস্থায় দুদক সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান না হওয়ায় তার স্বাধীনতা সীমিত রয়েছে। তবে সাংবিধানিক মর্যাদা পেলে কমিশনের কার্যক্রম আরও স্বাধীনভাবে পরিচালিত হতে পারে। তিনি বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) পাবনা জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে দুদকের গণশুনানি শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
এসময় ড. মোমেন বলেন, “সব ধরনের স্বাধীনতারই কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে। আমাদের বর্তমান স্বাধীনতা নিয়ে আমরা যতটা সম্ভব নিরপেক্ষ ও কার্যকরভাবে কাজ চালিয়ে যাবো।” তিনি রাজনৈতিক মামলার পরিণতির বিষয়ে মন্তব্য করে বলেন, “নিপীড়নমূলক মামলা নিয়ে নতুন করে কিছু বলার নেই। আমাদের কাজ হচ্ছে বিচারের জন্য প্রমাণ সংগ্রহ করা, বিচার করে আদালত।”
পাবনার মানুষকে দুর্নীতির বিরুদ্ধে আরও সচেতন হতে আহ্বান জানিয়ে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, “পাবনা প্রতিবাদী জেলা হিসেবে পরিচিত। তাই দুর্নীতির বিরুদ্ধে এই প্রতিবাদ আরও জোরালো হতে হবে, যাতে পাবনা প্রথম দুর্নীতিমুক্ত জেলা হতে পারে।”
দুদক-এর গণশুনানিতে মোট ১৫৭টি অভিযোগ জমা পড়লেও কমিশন তফসিলভুক্ত ৫৭টি অভিযোগ আমলে নেয়। সেবা প্রাপ্তিতে হয়রানির শিকার বা সেবা বঞ্চিত ব্যক্তিরা অভিযোগ তুলে ধরেন। জমি, ভূমি অফিসসহ সরকারি বিভিন্ন সেবা দানকারী প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অভিযোগ জমা পড়ে, যার মধ্যে ছিল হয়রানির শিকার হওয়ার নানা অভিযোগ।
তবে কমিশন তাৎক্ষণিকভাবে এসব অভিযোগের তদন্তের নির্দেশ দেয় এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন পাবনা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মফিজুল ইসলাম, দুদক কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) হাফিজ আহ্সান ফরিদ ও অন্যান্য কর্মকর্তা।