১০:১৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫

পাঁচ বছরের সাজা বাতিল চেয়ে আপিল সাবেক আইজিপি মামুনের

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৩:১৯:৩৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৫
  • / 84

ছবি সংগৃহীত

 

চব্বিশের জুলাই–আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় দেওয়া পাঁচ বছরের কারাদণ্ড থেকে অব্যাহতি চেয়ে আপিল করেছেন পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। তিনি ওই মামলায় রাজসাক্ষী ছিলেন।

সুপ্রিম কোর্ট সূত্র জানায়, গত ১৭ ডিসেম্বর আপিল বিভাগে এই আপিল দায়ের করা হয়। বিষয়টি সোমবার (২২ ডিসেম্বর) নিশ্চিত করা হয়েছে।
এর আগে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ গত ১৭ নভেম্বর এ মামলার রায় ঘোষণা করেন। বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল রায়ে ক্ষমতাচ্যুত ও পলাতক সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানকে মৃত্যুদণ্ড দেন। একই সঙ্গে রাজসাক্ষী হিসেবে স্বীকৃত সাবেক আইজিপি মামুনকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

বিজ্ঞাপন

রায়ে শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খানের সম্পদ বাজেয়াপ্তের নির্দেশ দেওয়া হয়। পাশাপাশি গণঅভ্যুত্থানে নিহতদের পরিবার এবং আহতদের যথাযথ ক্ষতিপূরণ দেওয়ারও নির্দেশ দেন ট্রাইব্যুনাল। এছাড়া পৃথক একটি অভিযোগে শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালকে আমৃত্যু কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এই আমৃত্যু কারাদণ্ডের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ গত ১৫ ডিসেম্বর আপিল করে।

মামলার শুনানিতে মোট ৫৪ জন সাক্ষ্য দেন। তাঁদের মধ্যে ছিলেন গণঅভ্যুত্থানের প্রথম শহীদ আবু সাঈদের পরিবারের সদস্যরা, জাতীয় নাগরিক পার্টির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম এবং দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমান।
উল্লেখ্য, গত ১০ জুলাই ট্রাইব্যুনাল এ মামলায় আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠনের আদেশ দেন। একই সঙ্গে সাবেক আইজিপি মামুনের রাজসাক্ষী হওয়ার আবেদন অনুমোদন করা হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

পাঁচ বছরের সাজা বাতিল চেয়ে আপিল সাবেক আইজিপি মামুনের

আপডেট সময় ০৩:১৯:৩৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৫

 

চব্বিশের জুলাই–আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় দেওয়া পাঁচ বছরের কারাদণ্ড থেকে অব্যাহতি চেয়ে আপিল করেছেন পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। তিনি ওই মামলায় রাজসাক্ষী ছিলেন।

সুপ্রিম কোর্ট সূত্র জানায়, গত ১৭ ডিসেম্বর আপিল বিভাগে এই আপিল দায়ের করা হয়। বিষয়টি সোমবার (২২ ডিসেম্বর) নিশ্চিত করা হয়েছে।
এর আগে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ গত ১৭ নভেম্বর এ মামলার রায় ঘোষণা করেন। বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল রায়ে ক্ষমতাচ্যুত ও পলাতক সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানকে মৃত্যুদণ্ড দেন। একই সঙ্গে রাজসাক্ষী হিসেবে স্বীকৃত সাবেক আইজিপি মামুনকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

বিজ্ঞাপন

রায়ে শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খানের সম্পদ বাজেয়াপ্তের নির্দেশ দেওয়া হয়। পাশাপাশি গণঅভ্যুত্থানে নিহতদের পরিবার এবং আহতদের যথাযথ ক্ষতিপূরণ দেওয়ারও নির্দেশ দেন ট্রাইব্যুনাল। এছাড়া পৃথক একটি অভিযোগে শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালকে আমৃত্যু কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এই আমৃত্যু কারাদণ্ডের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ গত ১৫ ডিসেম্বর আপিল করে।

মামলার শুনানিতে মোট ৫৪ জন সাক্ষ্য দেন। তাঁদের মধ্যে ছিলেন গণঅভ্যুত্থানের প্রথম শহীদ আবু সাঈদের পরিবারের সদস্যরা, জাতীয় নাগরিক পার্টির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম এবং দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমান।
উল্লেখ্য, গত ১০ জুলাই ট্রাইব্যুনাল এ মামলায় আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠনের আদেশ দেন। একই সঙ্গে সাবেক আইজিপি মামুনের রাজসাক্ষী হওয়ার আবেদন অনুমোদন করা হয়।