০৬:০৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ০১ নভেম্বর ২০২৫
শিরোনাম :
জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোটের কোনো সুযোগ নেই: মির্জা ফখরুল যারা আগে গণভোট চায় না তারা গণতন্ত্রে বিশ্বাসী না: মুজিবুর রহমান আজ থেকে শুরু জাটকা শিকারে ৮ মাসের নিষেধাজ্ঞা ঘরোয়া সাজে স্নিগ্ধ জয়া আহসান, নতুন লুকে মুগ্ধ ভক্তরা নতুন ফাঁস হওয়া নথিতে ইসরায়েলের সঙ্গে অ্যামাজন ও গুগলের গোপন চুক্তি উন্মোচিত তাইওয়ানে প্রথমবারের মতো প্রো ইসরাইলি লবি AIPAC প্রতিনিধিদলের সফর প্রবল বর্ষণে নিউইয়র্ক ও নিউ জার্সির রাস্তাঘাট প্লাবিত, যানবাহন ডুবে গেছে পানিতে নিরাপত্তা হুমকিতে সামরিক ঘাঁটিতে আশ্রয় নিলেন ট্রাম্প প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তারা ‘পারমাণবিক অস্ত্রে সজ্জিত এক দখলদার দানব’ — যুক্তরাষ্ট্রকে কটাক্ষ ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর যুদ্ধবিরতি বজায় রাখতে সম্মত পাকিস্তান-আফগানিস্তান, তুরস্ক-কাতারের মধ্যস্থতায় সমঝোতা

তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিল রায়: চারটি রিভিউ আবেদনের শুনানি আজ আপিল বিভাগে

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৯:৪০:৫১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৭ অগাস্ট ২০২৫
  • / 79

ছবি সংগৃহীত

 

তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিলের রায় পুনর্বিবেচনার জন্য রাজনৈতিক দল ও কয়েকজন নাগরিকের করা চারটি আবেদন আজ বুধবার (২৭ আগস্ট) শুনানি হবে। প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন সাত সদস্যের আপিল বেঞ্চে এ শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।

গতকাল মঙ্গলবার আবেদনকারীদের পক্ষে আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির এবং রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান যুক্তি তুলে ধরেন। এরপর আদালত আজকের দিন শুনানির জন্য নির্ধারণ করেন।

বিজ্ঞাপন

২০১১ সালের ১০ মে আপিল বিভাগ সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনীকে অসাংবিধানিক ঘোষণা করে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করেছিলেন। তবে সেই রায়ে বলা হয়েছিল, দশম ও একাদশ জাতীয় নির্বাচন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে আয়োজন করা যেতে পারে। পাশাপাশি সংসদীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে প্রধান উপদেষ্টা নির্বাচনের সুযোগও খোলা রাখেন আদালত। তৎকালীন প্রধান বিচারপতি এবিএম খায়রুল হকের নেতৃত্বে দেওয়া এ রায় ছিল পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চের।

চলতি বছরের ২৫ আগস্ট সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদারসহ পাঁচজন ব্যক্তি এ রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ আবেদন করেন। তাদের মধ্যে আছেন তোফায়েল আহমেদ, এম হাফিজ উদ্দিন খান, জোবাইরুল হক ভূঁইয়া ও জাহরা রহমান। আবেদনগুলো করেন অ্যাডভোকেট শরীফ ভূঁইয়া ও ব্যারিস্টার তানিম হোসেন শাওন।

এরপর ১৬ অক্টোবর বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের পক্ষে আরেকটি আবেদন করেন আইনজীবী জয়নুল আবেদীন। সর্বশেষ ২৩ অক্টোবর বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামি একই রায়ের বিরুদ্ধে আবেদন জমা দেয়। দলের পক্ষ থেকে আবেদন করেন সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার।

তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা প্রথম যুক্ত হয় ১৯৯৬ সালে, সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনীর মাধ্যমে। তবে এর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে করা রিট ১৯৯৬ সালের ৪ আগস্ট হাইকোর্ট খারিজ করে দেয়। পরে ২০০৫ সালে এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল হয় এবং তখন সুপ্রিম কোর্ট বেশ কয়েকজন আইনজ্ঞকে ‘অ্যামিকাস কিউরি’ হিসেবে মত দেওয়ার সুযোগ দেন। এদের মধ্যে অধিকাংশ তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থার পক্ষে মত দেন, কয়েকজন এর সংস্কার বা বাতিলের পরামর্শ দেন।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিল রায়: চারটি রিভিউ আবেদনের শুনানি আজ আপিল বিভাগে

আপডেট সময় ০৯:৪০:৫১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৭ অগাস্ট ২০২৫

 

তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিলের রায় পুনর্বিবেচনার জন্য রাজনৈতিক দল ও কয়েকজন নাগরিকের করা চারটি আবেদন আজ বুধবার (২৭ আগস্ট) শুনানি হবে। প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন সাত সদস্যের আপিল বেঞ্চে এ শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।

গতকাল মঙ্গলবার আবেদনকারীদের পক্ষে আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির এবং রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান যুক্তি তুলে ধরেন। এরপর আদালত আজকের দিন শুনানির জন্য নির্ধারণ করেন।

বিজ্ঞাপন

২০১১ সালের ১০ মে আপিল বিভাগ সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনীকে অসাংবিধানিক ঘোষণা করে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করেছিলেন। তবে সেই রায়ে বলা হয়েছিল, দশম ও একাদশ জাতীয় নির্বাচন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে আয়োজন করা যেতে পারে। পাশাপাশি সংসদীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে প্রধান উপদেষ্টা নির্বাচনের সুযোগও খোলা রাখেন আদালত। তৎকালীন প্রধান বিচারপতি এবিএম খায়রুল হকের নেতৃত্বে দেওয়া এ রায় ছিল পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চের।

চলতি বছরের ২৫ আগস্ট সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদারসহ পাঁচজন ব্যক্তি এ রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ আবেদন করেন। তাদের মধ্যে আছেন তোফায়েল আহমেদ, এম হাফিজ উদ্দিন খান, জোবাইরুল হক ভূঁইয়া ও জাহরা রহমান। আবেদনগুলো করেন অ্যাডভোকেট শরীফ ভূঁইয়া ও ব্যারিস্টার তানিম হোসেন শাওন।

এরপর ১৬ অক্টোবর বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের পক্ষে আরেকটি আবেদন করেন আইনজীবী জয়নুল আবেদীন। সর্বশেষ ২৩ অক্টোবর বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামি একই রায়ের বিরুদ্ধে আবেদন জমা দেয়। দলের পক্ষ থেকে আবেদন করেন সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার।

তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা প্রথম যুক্ত হয় ১৯৯৬ সালে, সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনীর মাধ্যমে। তবে এর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে করা রিট ১৯৯৬ সালের ৪ আগস্ট হাইকোর্ট খারিজ করে দেয়। পরে ২০০৫ সালে এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল হয় এবং তখন সুপ্রিম কোর্ট বেশ কয়েকজন আইনজ্ঞকে ‘অ্যামিকাস কিউরি’ হিসেবে মত দেওয়ার সুযোগ দেন। এদের মধ্যে অধিকাংশ তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থার পক্ষে মত দেন, কয়েকজন এর সংস্কার বা বাতিলের পরামর্শ দেন।