ঢাকা ১০:২৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৯ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :

জাতিসংঘ মানবাধিকার মিশন চালু, প্রাথমিক মেয়াদকাল তিন বছর

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১১:৪৯:২৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৯ জুলাই ২০২৫
  • / 56

ছবি সংগৃহীত

 

 

বাংলাদেশের ঢাকায় জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদের মিশন চালু হতে যাচ্ছে। এ নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই সম্পন্ন হয়েছে । জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার তুর্ক এবং বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে পররাষ্ট্র সচিব আসাদ আলম সিয়াম চুক্তিতে সই করেছেন।
জেনেভা থেকে জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনারের দপ্তর গতকাল শুক্রবার সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়।বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত বছরের আগস্ট থেকে বাংলাদেশের সঙ্গে জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদের সম্পৃক্ততা উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। পরিষদটি মানবাধিকার সংস্কারে বিভিন্ন অংশীজনের সঙ্গে কাজ করছে এবং গণবিক্ষোভ দমনের নামে সংঘটিত প্রাণঘাতী দমনপীড়নের বিষয়ে একটি বিস্তৃত তথ্য-অনুসন্ধান কার্যক্রম পরিচালনা করছে।

জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার তুর্ক বলেন, ‘এই সমঝোতা স্মারক দেশটির মানবাধিকারের প্রতি অঙ্গীকারের বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ বার্তা দেয়, যা একটি রূপান্তরের ভিত্তি হিসেবে কাজ করবে। এটি আমার দপ্তরকে আমাদের তথ্যানুসন্ধান প্রতিবেদনে প্রদত্ত সুপারিশগুলো বাস্তবায়নে আরও কার্যকরভাবে সহায়তায় সক্ষম হবে। পাশাপাশি বাংলাদেশের চলমান মৌলিক সংস্কারগুলোতে সরকার, সুশীল সমাজ এবং অন্যান্য অংশীজনের সঙ্গে সরাসরি মাঠ পর্যায়ে যুক্ত হয়ে আমাদের দক্ষতা ও সহায়তা প্রদানের সুযোগ দেবে।’
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, নতুন এই মিশন বাংলাদেশের জাতীয় ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার প্রতিশ্রুতি পূরণের লক্ষ্যে কর্তৃপক্ষকে বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রশিক্ষণ ও প্রযুক্তিগত সহায়তা দেবে। পাশাপাশি সরকারি প্রতিষ্ঠান ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের সক্ষমতা বাড়াতেও কাজ করবে। আপাতত তিন বছরের জন্য এ চুক্তি করা হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

জাতিসংঘ মানবাধিকার মিশন চালু, প্রাথমিক মেয়াদকাল তিন বছর

আপডেট সময় ১১:৪৯:২৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৯ জুলাই ২০২৫

 

 

বাংলাদেশের ঢাকায় জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদের মিশন চালু হতে যাচ্ছে। এ নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই সম্পন্ন হয়েছে । জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার তুর্ক এবং বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে পররাষ্ট্র সচিব আসাদ আলম সিয়াম চুক্তিতে সই করেছেন।
জেনেভা থেকে জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনারের দপ্তর গতকাল শুক্রবার সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়।বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত বছরের আগস্ট থেকে বাংলাদেশের সঙ্গে জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদের সম্পৃক্ততা উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। পরিষদটি মানবাধিকার সংস্কারে বিভিন্ন অংশীজনের সঙ্গে কাজ করছে এবং গণবিক্ষোভ দমনের নামে সংঘটিত প্রাণঘাতী দমনপীড়নের বিষয়ে একটি বিস্তৃত তথ্য-অনুসন্ধান কার্যক্রম পরিচালনা করছে।

জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার তুর্ক বলেন, ‘এই সমঝোতা স্মারক দেশটির মানবাধিকারের প্রতি অঙ্গীকারের বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ বার্তা দেয়, যা একটি রূপান্তরের ভিত্তি হিসেবে কাজ করবে। এটি আমার দপ্তরকে আমাদের তথ্যানুসন্ধান প্রতিবেদনে প্রদত্ত সুপারিশগুলো বাস্তবায়নে আরও কার্যকরভাবে সহায়তায় সক্ষম হবে। পাশাপাশি বাংলাদেশের চলমান মৌলিক সংস্কারগুলোতে সরকার, সুশীল সমাজ এবং অন্যান্য অংশীজনের সঙ্গে সরাসরি মাঠ পর্যায়ে যুক্ত হয়ে আমাদের দক্ষতা ও সহায়তা প্রদানের সুযোগ দেবে।’
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, নতুন এই মিশন বাংলাদেশের জাতীয় ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার প্রতিশ্রুতি পূরণের লক্ষ্যে কর্তৃপক্ষকে বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রশিক্ষণ ও প্রযুক্তিগত সহায়তা দেবে। পাশাপাশি সরকারি প্রতিষ্ঠান ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের সক্ষমতা বাড়াতেও কাজ করবে। আপাতত তিন বছরের জন্য এ চুক্তি করা হয়েছে।