০২:০২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৫
শিরোনাম :
থাই–কাম্বোডিয়া সীমান্তে পুনরায় উত্তেজনা: অস্ত্রবিরতি ভেঙে বিমান হামলা, নিহত ১ সৈন্য ইসির সঙ্গে বৈঠকে জামায়াতের প্রতিনিধি দল জার্মান সেনাবাহিনী বাড়ছে: ২০৩৫ সালের মধ্যে ২,৬০,০০০ সক্রিয় সদস্যের লক্ষ্য অনুমোদন মধ্যপ্রাচ্যের কঠিনতম পানি প্রকল্প সম্পন্ন করল ইরান ফিনল্যান্ডে ডাটা সেন্টারের নির্গত  তাপে গরম হচ্ছে পুরো শহর চীন কোয়ান্টাম কম্পিউটারে সফলতা পেলে যুক্তরাষ্ট্রকে এক নিমেষে প্রস্তরযুগে পাঠিয়ে দেবে যুক্তরাষ্ট্রের F-35 যুদ্ধবিমান প্রকল্পে ফিরে আসার বিষয়ে আরো একধাপ এগিয়ে গেল তুরস্ক: এমনটাই জানিয়েছেন তুরস্কে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত টম ব্যারাক। ফিফার শান্তি পুরস্কারে ভূষিত হলেন ট্রাম্প ব্রাজিলে অবতরণের পর আগুনে পুড়ল এয়ারবাস এ-৩২০, অল্পের জন্য রক্ষা পেল যাত্রীরা পাক-আফগান সীমান্তে তীব্র গোলাগুলি, উত্তেজনা চরমে

ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে জাতীয় সংস্কারক ঘোষণা কেন নয়, জানতে চেয়ে হাইকোর্টের রুল জারি

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৬:৩১:৩৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ জুলাই ২০২৫
  • / 57

ছবি সংগৃহীত

 

 

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে ‘জাতীয় সংস্কারক’ ঘোষণা না করার কারণ জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।

বিজ্ঞাপন

সোমবার (১৪ জুলাই) বিচারপতি ফাহমিদা কাদেরের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চে এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি শেষে এ আদেশ দেওয়া হয়।

একইসঙ্গে ১৯৯২ সালের ‘জুলাই আন্দোলনে’ শহিদ হওয়া আবু সাঈদ, মীর মুগ্ধ, ওয়াসিম আকরামসহ অন্যান্যদের ‘জাতীয় বীর’ ঘোষণা না করার কারণ জানতে চেয়ে পৃথক রুল জারি করেছেন আদালত।

রুলে প্রশ্ন তোলা হয়েছে, কেন তাদের ‘জাতীয় বীর’ ঘোষণা করা হবে না এবং কেন জুলাই আন্দোলনে নিহতদের নিয়ে পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করা হবে না।

এই তিনটি বিষয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও দপ্তরকে চার সপ্তাহের মধ্যে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে। রুলে বিবাদী করা হয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিব, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব, মন্ত্রিপরিষদ সচিব, আইন মন্ত্রণালয়ের সচিব, তথ্য সচিব এবং অর্থ সচিবকে।

রিট আবেদনে বলা হয়, অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস ২০০৬ সালে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার দায়িত্ব পালনকালে দেশে গুরুত্বপূর্ণ সংস্কারমূলক কার্যক্রম গ্রহণ করেন, যা রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক অঙ্গনে ব্যাপক প্রভাব ফেলেছিল। তার অবদানকে ‘জাতীয় সংস্কারক’ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার মতো বলিষ্ঠ ভিত্তি রয়েছে।

অন্যদিকে, ‘জুলাই আন্দোলন’ ছিল স্বৈরাচারবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। সেই আন্দোলনে প্রাণ উৎসর্গকারী ছাত্রদের ‘জাতীয় বীর’ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া তাদের আত্মত্যাগের প্রতি ন্যায্য সম্মান প্রদর্শনের বিষয় বলে দাবি করেন রিট আবেদনকারী।

আইনজীবীরা বলেন, দেশের গণতন্ত্র ও ন্যায়ের প্রশ্নে যাঁরা আত্মত্যাগ করেছেন কিংবা সংস্কারমূলক নেতৃত্ব দিয়েছেন, তাঁদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দেওয়া সংবিধান ও ইতিহাসের দাবিও বটে।

আদালতের এই রুল নতুন করে আলোচনা তৈরি করেছে সমাজ ও রাজনৈতিক অঙ্গনে। অনেকেই মনে করছেন, দেশের ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখা ব্যক্তিদের যথাযথ স্বীকৃতি দেওয়ার মাধ্যমে ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করা সম্ভব।

নিউজটি শেয়ার করুন

ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে জাতীয় সংস্কারক ঘোষণা কেন নয়, জানতে চেয়ে হাইকোর্টের রুল জারি

আপডেট সময় ০৬:৩১:৩৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ জুলাই ২০২৫

 

 

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে ‘জাতীয় সংস্কারক’ ঘোষণা না করার কারণ জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।

বিজ্ঞাপন

সোমবার (১৪ জুলাই) বিচারপতি ফাহমিদা কাদেরের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চে এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি শেষে এ আদেশ দেওয়া হয়।

একইসঙ্গে ১৯৯২ সালের ‘জুলাই আন্দোলনে’ শহিদ হওয়া আবু সাঈদ, মীর মুগ্ধ, ওয়াসিম আকরামসহ অন্যান্যদের ‘জাতীয় বীর’ ঘোষণা না করার কারণ জানতে চেয়ে পৃথক রুল জারি করেছেন আদালত।

রুলে প্রশ্ন তোলা হয়েছে, কেন তাদের ‘জাতীয় বীর’ ঘোষণা করা হবে না এবং কেন জুলাই আন্দোলনে নিহতদের নিয়ে পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করা হবে না।

এই তিনটি বিষয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও দপ্তরকে চার সপ্তাহের মধ্যে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে। রুলে বিবাদী করা হয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিব, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব, মন্ত্রিপরিষদ সচিব, আইন মন্ত্রণালয়ের সচিব, তথ্য সচিব এবং অর্থ সচিবকে।

রিট আবেদনে বলা হয়, অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস ২০০৬ সালে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার দায়িত্ব পালনকালে দেশে গুরুত্বপূর্ণ সংস্কারমূলক কার্যক্রম গ্রহণ করেন, যা রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক অঙ্গনে ব্যাপক প্রভাব ফেলেছিল। তার অবদানকে ‘জাতীয় সংস্কারক’ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার মতো বলিষ্ঠ ভিত্তি রয়েছে।

অন্যদিকে, ‘জুলাই আন্দোলন’ ছিল স্বৈরাচারবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। সেই আন্দোলনে প্রাণ উৎসর্গকারী ছাত্রদের ‘জাতীয় বীর’ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া তাদের আত্মত্যাগের প্রতি ন্যায্য সম্মান প্রদর্শনের বিষয় বলে দাবি করেন রিট আবেদনকারী।

আইনজীবীরা বলেন, দেশের গণতন্ত্র ও ন্যায়ের প্রশ্নে যাঁরা আত্মত্যাগ করেছেন কিংবা সংস্কারমূলক নেতৃত্ব দিয়েছেন, তাঁদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দেওয়া সংবিধান ও ইতিহাসের দাবিও বটে।

আদালতের এই রুল নতুন করে আলোচনা তৈরি করেছে সমাজ ও রাজনৈতিক অঙ্গনে। অনেকেই মনে করছেন, দেশের ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখা ব্যক্তিদের যথাযথ স্বীকৃতি দেওয়ার মাধ্যমে ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করা সম্ভব।