০২:৪৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৯ ডিসেম্বর ২০২৫
শিরোনাম :
থাই–কাম্বোডিয়া সীমান্তে পুনরায় উত্তেজনা: অস্ত্রবিরতি ভেঙে বিমান হামলা, নিহত ১ সৈন্য ইসির সঙ্গে বৈঠকে জামায়াতের প্রতিনিধি দল জার্মান সেনাবাহিনী বাড়ছে: ২০৩৫ সালের মধ্যে ২,৬০,০০০ সক্রিয় সদস্যের লক্ষ্য অনুমোদন মধ্যপ্রাচ্যের কঠিনতম পানি প্রকল্প সম্পন্ন করল ইরান ফিনল্যান্ডে ডাটা সেন্টারের নির্গত  তাপে গরম হচ্ছে পুরো শহর চীন কোয়ান্টাম কম্পিউটারে সফলতা পেলে যুক্তরাষ্ট্রকে এক নিমেষে প্রস্তরযুগে পাঠিয়ে দেবে যুক্তরাষ্ট্রের F-35 যুদ্ধবিমান প্রকল্পে ফিরে আসার বিষয়ে আরো একধাপ এগিয়ে গেল তুরস্ক: এমনটাই জানিয়েছেন তুরস্কে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত টম ব্যারাক। ফিফার শান্তি পুরস্কারে ভূষিত হলেন ট্রাম্প ব্রাজিলে অবতরণের পর আগুনে পুড়ল এয়ারবাস এ-৩২০, অল্পের জন্য রক্ষা পেল যাত্রীরা পাক-আফগান সীমান্তে তীব্র গোলাগুলি, উত্তেজনা চরমে

এনবিআরের নাম পরিবর্তন হচ্ছে, থাকবে দুটি নতুন বিভাগ: জ্বালানি উপদেষ্টা

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১১:৪৫:৪৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫
  • / 65

ছবি সংগৃহীত

 

 

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান জানিয়েছেন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) নামটি আর থাকছে না। এর পরিবর্তে গঠিত হচ্ছে ‘রাজস্ব নীতি’ ও ‘রাজস্ব বাস্তবায়ন’ নামে দুটি পৃথক বিভাগ। প্রতিটি বিভাগের জন্য আলাদা সচিব নিয়োগ দেওয়া হবে।

বিজ্ঞাপন

রোববার (১৩ জুলাই) সকালে সচিবালয়ে এক সভা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব তথ্য জানান তিনি। দেশের সার্বিক রাজস্ব আহরণ, শিল্প-বাণিজ্য ও ব্যবসা কার্যক্রম উন্নয়নে গঠিত উপদেষ্টা কমিটির সভাপতিও তিনি।

ফাওজুল কবির খান বলেন, “এনবিআর নামটির প্রতি সাধারণ মানুষের মধ্যে একটি নেতিবাচক ধারণা তৈরি হয়েছে। সেই ভাবমূর্তি থেকে বেরিয়ে আসতে সরকার নতুন কাঠামোতে রূপান্তরের উদ্যোগ নিয়েছে। এখন থেকে ‘রাজস্ব নীতি’ ও ‘রাজস্ব বাস্তবায়ন’ নামে দুটি স্বাধীন বিভাগ কার্যক্রম পরিচালনা করবে। এতে করে নীতিনির্ধারণ এবং বাস্তবায়ন আলাদা হওয়ার ফলে কাজের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা আরও বাড়বে।”

তিনি আরও জানান, এনবিআর সংস্কার নিয়ে যে অধ্যাদেশ করা হয়েছে, সেখানে কিছু সমস্যা ও শব্দ গঠনে অসঙ্গতি রয়েছে। উপদেষ্টা কমিটি এসব ত্রুটি চিহ্নিত করে সংশোধনের সুপারিশ করবে।

উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন ধরে এনবিআর একটি সংস্থার অধীনেই নীতিনির্ধারণ এবং বাস্তবায়নের কাজ করে আসছিল। এতে করে মাঝে মাঝে সিদ্ধান্ত গ্রহণে ধীরগতি ও দ্বন্দ্ব দেখা দিত। নতুন এই কাঠামো বাস্তবায়নের মাধ্যমে সরকার রাজস্ব খাতে গতি ও দক্ষতা আনতে চায়।

অর্থনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই পরিবর্তন কার্যকরভাবে বাস্তবায়ন হলে রাজস্ব আদায়ে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। একইসঙ্গে করদাতাদের আস্থা ফিরবে এবং বিনিয়োগ পরিবেশ আরও সহনশীল হবে।

সরকারের এই উদ্যোগকে যুগোপযোগী ও কাঠামোগত সংস্কারের অংশ হিসেবে বিবেচনা করছেন সংশ্লিষ্টরা। তবে বাস্তবে এই কাঠামো কতটা সফল হয়, তা সময়ই বলে দেবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এনবিআরের নাম পরিবর্তন হচ্ছে, থাকবে দুটি নতুন বিভাগ: জ্বালানি উপদেষ্টা

আপডেট সময় ১১:৪৫:৪৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫

 

 

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান জানিয়েছেন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) নামটি আর থাকছে না। এর পরিবর্তে গঠিত হচ্ছে ‘রাজস্ব নীতি’ ও ‘রাজস্ব বাস্তবায়ন’ নামে দুটি পৃথক বিভাগ। প্রতিটি বিভাগের জন্য আলাদা সচিব নিয়োগ দেওয়া হবে।

বিজ্ঞাপন

রোববার (১৩ জুলাই) সকালে সচিবালয়ে এক সভা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব তথ্য জানান তিনি। দেশের সার্বিক রাজস্ব আহরণ, শিল্প-বাণিজ্য ও ব্যবসা কার্যক্রম উন্নয়নে গঠিত উপদেষ্টা কমিটির সভাপতিও তিনি।

ফাওজুল কবির খান বলেন, “এনবিআর নামটির প্রতি সাধারণ মানুষের মধ্যে একটি নেতিবাচক ধারণা তৈরি হয়েছে। সেই ভাবমূর্তি থেকে বেরিয়ে আসতে সরকার নতুন কাঠামোতে রূপান্তরের উদ্যোগ নিয়েছে। এখন থেকে ‘রাজস্ব নীতি’ ও ‘রাজস্ব বাস্তবায়ন’ নামে দুটি স্বাধীন বিভাগ কার্যক্রম পরিচালনা করবে। এতে করে নীতিনির্ধারণ এবং বাস্তবায়ন আলাদা হওয়ার ফলে কাজের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা আরও বাড়বে।”

তিনি আরও জানান, এনবিআর সংস্কার নিয়ে যে অধ্যাদেশ করা হয়েছে, সেখানে কিছু সমস্যা ও শব্দ গঠনে অসঙ্গতি রয়েছে। উপদেষ্টা কমিটি এসব ত্রুটি চিহ্নিত করে সংশোধনের সুপারিশ করবে।

উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন ধরে এনবিআর একটি সংস্থার অধীনেই নীতিনির্ধারণ এবং বাস্তবায়নের কাজ করে আসছিল। এতে করে মাঝে মাঝে সিদ্ধান্ত গ্রহণে ধীরগতি ও দ্বন্দ্ব দেখা দিত। নতুন এই কাঠামো বাস্তবায়নের মাধ্যমে সরকার রাজস্ব খাতে গতি ও দক্ষতা আনতে চায়।

অর্থনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই পরিবর্তন কার্যকরভাবে বাস্তবায়ন হলে রাজস্ব আদায়ে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। একইসঙ্গে করদাতাদের আস্থা ফিরবে এবং বিনিয়োগ পরিবেশ আরও সহনশীল হবে।

সরকারের এই উদ্যোগকে যুগোপযোগী ও কাঠামোগত সংস্কারের অংশ হিসেবে বিবেচনা করছেন সংশ্লিষ্টরা। তবে বাস্তবে এই কাঠামো কতটা সফল হয়, তা সময়ই বলে দেবে।