০২:৩৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৫
শিরোনাম :
নিজামী-মীর কাসেম-সালাউদ্দিন কাদেরকে মিথ্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে: মির্জা ফখরুল ২০২৩ সাল থেকে ইসরায়েলের যুদ্ধের খরচ দাঁড়িয়েছে প্রায় ৫৯ থেকে ৬৭ বিলিয়ন ডলার। মার্কিন সেনা ও সিআইএ এজেন্টদের বহিষ্কারের চিন্তা কলম্বিয়া প্রেসিডেন্ট পেত্রোর পেন্টাগনের বড় চুক্তি পেল ট্রাম্পের ছেলের ড্রোন কোম্পানি কেন ট্রাম্প-পুতিনের বুদাপেস্ট বৈঠক বাতিল হলো? হুমকিতে বিশ্বব্যাপী পোলিও টিকাদান কর্মসূচি যুক্তরাষ্ট্রকে ভেনেজুয়েলার হুঁশিয়ারি: “আমাদের হাতে ৫ হাজার রুশ ক্ষেপণাস্ত্র” সিইসির সঙ্গে বিএনপির বৈঠক বঙ্গোপসাগরে সুস্পষ্ট লঘুচাপ, গভীর সমুদ্রে যাত্রা নিষেধ আতলেতিকোর জালে ১৪ মিনিটে ৪ গোল, দাপুটে জয়ে আর্সেনাল

শিক্ষার্থীদের জন্য সরকারি দপ্তরে পার্টটাইম চাকরির উদ্যোগ

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৬:১৫:১৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ জুন ২০২৫
  • / 47

ছবি: সংগৃহীত

 

সরকারি বিভিন্ন দপ্তরে শিক্ষার্থীদের পার্টটাইম চাকরির সুযোগ দেওয়ার পরিকল্পনা করছে সরকার। যেসব পদে পূর্ণকালীন স্থায়ী কর্মী প্রয়োজন হয় না, সেসব পদে শিক্ষার্থীদের দিয়ে কাজ করানো হবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।

রোববার (২৯ জুন) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এ তথ্য জানান।

বিজ্ঞাপন

পোস্টে আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া উল্লেখ করেন, “আমরা সরকারের বিভিন্ন অফিসে পার্টটাইম চাকরিতে শিক্ষার্থীদের নিয়োগ দিতে চাই। এতে যেমন সরকারের ব্যয় সাশ্রয় হবে, তেমনি শিক্ষার্থীদের আর্থিক স্বচ্ছলতা আসবে।”

তিনি আরও বলেন, “অনেক দপ্তরে এমন কিছু পদ থাকে যেখানে ফুল টাইমে স্থায়ী নিয়োগের প্রয়োজন হয় না। সেই পদগুলোতে পার্টটাইম ভিত্তিতে শিক্ষার্থীদের দায়িত্ব দেওয়া সম্ভব।”

এর আগে গত শনিবার রাজধানীর নগর ভবনে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি জানান, উন্নত দেশের উদাহরণ অনুসরণ করে আগামী ৫ আগস্টের পর ট্রাফিক পুলিশের সহায়ক হিসেবে প্রায় এক হাজার শিক্ষার্থীকে পার্টটাইম নিয়োগ দেওয়া হবে। এ ছাড়া অন্যান্য সরকারি অফিসেও শিক্ষার্থীদের পার্টটাইম ভিত্তিতে যুক্ত করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।

উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেন, “বিভিন্ন দপ্তরে কিছু পদে স্থায়ী ও পূর্ণকালীন নিয়োগের প্রয়োজন নেই। সেক্ষেত্রে পার্টটাইম ভিত্তিতে নিয়োগ দিলে সরকারের ব্যয় কমবে এবং শিক্ষার্থীরাও পড়াশোনার পাশাপাশি আয় করার সুযোগ পাবে।”

তিনি আরও জানান, বিষয়টি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ইতোমধ্যেই প্রাথমিক আলোচনা শুরু হয়েছে। কীভাবে এই প্রক্রিয়া কার্যকরভাবে চালু করা যায় এবং শিক্ষার্থীদের সঠিকভাবে বাছাই ও প্রশিক্ষণ দেওয়া যায়, তা নিয়েও ভাবা হচ্ছে।

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই উদ্যোগ বাস্তবায়িত হলে একদিকে যেমন শিক্ষার্থীদের আর্থিক সচ্ছলতা আসবে, তেমনি সরকারি দপ্তরে জনবল সংকটও অনেকাংশে কমবে। পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের বাস্তবমুখী কাজের অভিজ্ঞতাও হবে, যা তাদের ভবিষ্যৎ ক্যারিয়ার গঠনে সহায়ক হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

শিক্ষার্থীদের জন্য সরকারি দপ্তরে পার্টটাইম চাকরির উদ্যোগ

আপডেট সময় ০৬:১৫:১৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ জুন ২০২৫

 

সরকারি বিভিন্ন দপ্তরে শিক্ষার্থীদের পার্টটাইম চাকরির সুযোগ দেওয়ার পরিকল্পনা করছে সরকার। যেসব পদে পূর্ণকালীন স্থায়ী কর্মী প্রয়োজন হয় না, সেসব পদে শিক্ষার্থীদের দিয়ে কাজ করানো হবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।

রোববার (২৯ জুন) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এ তথ্য জানান।

বিজ্ঞাপন

পোস্টে আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া উল্লেখ করেন, “আমরা সরকারের বিভিন্ন অফিসে পার্টটাইম চাকরিতে শিক্ষার্থীদের নিয়োগ দিতে চাই। এতে যেমন সরকারের ব্যয় সাশ্রয় হবে, তেমনি শিক্ষার্থীদের আর্থিক স্বচ্ছলতা আসবে।”

তিনি আরও বলেন, “অনেক দপ্তরে এমন কিছু পদ থাকে যেখানে ফুল টাইমে স্থায়ী নিয়োগের প্রয়োজন হয় না। সেই পদগুলোতে পার্টটাইম ভিত্তিতে শিক্ষার্থীদের দায়িত্ব দেওয়া সম্ভব।”

এর আগে গত শনিবার রাজধানীর নগর ভবনে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি জানান, উন্নত দেশের উদাহরণ অনুসরণ করে আগামী ৫ আগস্টের পর ট্রাফিক পুলিশের সহায়ক হিসেবে প্রায় এক হাজার শিক্ষার্থীকে পার্টটাইম নিয়োগ দেওয়া হবে। এ ছাড়া অন্যান্য সরকারি অফিসেও শিক্ষার্থীদের পার্টটাইম ভিত্তিতে যুক্ত করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।

উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেন, “বিভিন্ন দপ্তরে কিছু পদে স্থায়ী ও পূর্ণকালীন নিয়োগের প্রয়োজন নেই। সেক্ষেত্রে পার্টটাইম ভিত্তিতে নিয়োগ দিলে সরকারের ব্যয় কমবে এবং শিক্ষার্থীরাও পড়াশোনার পাশাপাশি আয় করার সুযোগ পাবে।”

তিনি আরও জানান, বিষয়টি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ইতোমধ্যেই প্রাথমিক আলোচনা শুরু হয়েছে। কীভাবে এই প্রক্রিয়া কার্যকরভাবে চালু করা যায় এবং শিক্ষার্থীদের সঠিকভাবে বাছাই ও প্রশিক্ষণ দেওয়া যায়, তা নিয়েও ভাবা হচ্ছে।

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই উদ্যোগ বাস্তবায়িত হলে একদিকে যেমন শিক্ষার্থীদের আর্থিক সচ্ছলতা আসবে, তেমনি সরকারি দপ্তরে জনবল সংকটও অনেকাংশে কমবে। পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের বাস্তবমুখী কাজের অভিজ্ঞতাও হবে, যা তাদের ভবিষ্যৎ ক্যারিয়ার গঠনে সহায়ক হবে।