সড়ক, নৌ, বিমান ও রেল এক মন্ত্রণালয়ের অধীনে আনা উচিত: প্রধান উপদেষ্টার সহকারী

- আপডেট সময় ০৪:২৬:৩৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন ২০২৫
- / 21
দেশের সড়ক, নৌ, বিমান ও রেল বিভাগকে এক মন্ত্রণালয়ের অধীনে এনে সমন্বিতভাবে পরিচালনার পরামর্শ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার সড়ক পরিবহন ও সেতুবিষয়ক বিশেষ সহকারী শেখ মইনউদ্দিন। তিনি বলেন, “আমাদের একটি সমন্বিত পরিকল্পনা এবং একটি অভিন্ন মন্ত্রণালয়ের প্রয়োজন, যা যোগাযোগ ব্যবস্থাকে কার্যকরভাবে পরিচালনা করবে।”
বৃহস্পতিবার দুপুরে পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) বাজেট পর্যালোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। সভায় সভাপতিত্ব করেন পিআরআইয়ের চেয়ারম্যান ড. জাইদি সাত্তার। উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠানটির প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. আশিকুর রহমান, ঢাকা চেম্বারের সাবেক সভাপতি রিজওয়ার রাহমান প্রমুখ।
শেখ মইনউদ্দিন বলেন, “বর্তমানে পরিকল্পনা, ডিজাইন, এবং ক্রয়—এই তিনটি ধাপ তিনটি আলাদা বিভাগে পরিচালিত হয়। এতে প্রকল্প অনুমোদন থেকে নির্মাণ শুরুর পর্যন্ত ৪-৫ বছর সময় লাগে। এই সময়ে বাজার পরিস্থিতি ও নির্মাণ সামগ্রীর দাম পরিবর্তিত হয়ে যায়, ফলে প্রকল্প ব্যয় বেড়ে যায়।” তিনি আরও বলেন, “সড়ক, রেল ও সেতু বিভাগ আলাদাভাবে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা করছে, অথচ কারও পরিকল্পনার সঙ্গে কারও কোনো মিল নেই। আমাদের দরকার একটি সমন্বিত মহাপরিকল্পনা।”
চারটি বিভাগ একত্র করার সরকারি পরিকল্পনা সম্পর্কে তিনি বলেন, “এটা হওয়া উচিত। যদিও বাস্তবায়নে সময় লাগবে, তবুও এমন পরিকল্পনা থাকা দরকার।” ঢাকার সড়কব্যবস্থার জটিলতা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “এখানে দুটি সিটি করপোরেশন, ওয়াসা, হাইওয়ে পুলিশ, বিদ্যুৎ বিভাগ, পরিবহন মালিক সমিতিসহ অনেক সংস্থা একযোগে কাজ করছে, যা ব্যবস্থাপনাকে জটিল করে তুলছে।”
তিনি বলেন, “খুলনায় গিয়ে দেখেছি, সেতু নির্মিত হয়েছে, কিন্তু সংযোগ সড়ক নেই। এ থেকেই বোঝা যায়, সমন্বয়ের অভাব কতটা প্রকট। যোগাযোগব্যবস্থার কৌশলপত্রগুলো অভিজ্ঞদের নেতৃত্বে হওয়া জরুরি।”
সভায় ব্যবসাবান্ধব বাজেট প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরেন ঢাকা চেম্বারের সাবেক সভাপতি রিজওয়ার রাহমান। তিনি বলেন, “জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত অনেক কারখানা বন্ধ হয়েছে। কর্মসংস্থান কমেছে। সুদের হার ৯ শতাংশ থেকে বেড়ে ১৫ শতাংশ হওয়ায় ব্যবসায়ীরা কঠিন সময় পার করছেন। অথচ সরকার রাজস্ব ব্যয় বাড়াচ্ছে। কর কর্মকর্তাদের কমিশন প্রস্তাব বৈষম্যমূলক।”