ঢাকা ০৪:৩৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ জুন ২০২৫, ৪ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
পেশাদারিত্ব ও প্রযুক্তির সমন্বয়ে আধুনিক এসএসএফ গড়ে তোলার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার ভারত-কানাডা সম্পর্কে বরফ গলছে, ২ বছর পরে কূটনৈতিক সমঝোতা হোয়াইট হাউজে ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধ নিয়ে বৈঠকে ফোর্ডো স্থাপনায় হামলার পরিকল্পনা মশার উপদ্রব থেকে বাঁচার কিছু সহজ ও ঘরোয়া উপায় শেখ হাসিনার বিএনপি ভাঙার সব চক্রান্ত ব্যর্থ হয়েছে: রুহুল কবির রিজভী ১৪তম দিনে অধ্যাদেশ বাতিলের দাবিতে সচিবালয়ে কর্মচারীদের বিক্ষোভ অব্যাহত সেলিনা হায়াৎ আইভীর দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর, জামিন নামঞ্জুর ঢাবিতে নিরাপত্তা জোরদারে কড়া ব্যবস্থা, ডাকসু নির্বাচন ঘিরে বাড়তি নজরদারি সৈয়দপুরে বাস-মোটরসাইকেল সংঘর্ষ, নিহত ২ শ্রমিক জাতীয় ঐকমত্য আলোচনায় দ্বিতীয় দিনে জামায়াতের অংশগ্রহণ

আশুলিয়ায় গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণ, ভবন ধসে দগ্ধ ৪ সহ আহত ৬

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১২:৩২:০৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ জুন ২০২৫
  • / 4

ছবি সংগৃহীত

 

সাভারের আশুলিয়ায় গ্যাস লিকেজ থেকে ভয়াবহ বিস্ফোরণে একটি ভবনের দেয়াল ধসে পড়েছে। এতে চারজন দগ্ধসহ ছয়জন আহত হয়েছেন।

বুধবার (১৮ জুন) সকালে আশুলিয়ার নিশ্চিন্তপুর এলাকায় মণ্ডল মার্কেটসংলগ্ন বাধিয়ারপাড়ে জুয়েল আহমেদের নির্মিত বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। দগ্ধ চারজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে পাঠানো হয়েছে। বাকি দুজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, একটি পুরনো দ্বিতল ভবনের নিচতলার একটি কক্ষে গ্যাস লিকেজ থেকে গ্যাস জমে ছিল। সকালে রান্নার চুলা জ্বালানোর সময় হঠাৎ বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে। এতে ভবনের নিচতলার দেয়াল ধসে পড়ে এবং ঘরে আগুন ধরে যায়। মুহূর্তেই ছয়জন আহত হন।

আহতদের মধ্যে রয়েছেন—জাহানারা (৪০), জুয়েল (২৪), শান্ত (২১), হাওয়া আক্তার (২৩), জহুরুল ইসলাম (২৬) ও নাসির (৩৮)।

স্থানীয়দের অভিযোগ, বাড়িটি নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী দিয়ে তৈরি করা হয়েছিল এবং মালিক জুয়েল মিয়া বাড়িটি অপরিকল্পিতভাবে নির্মাণ করে ভাড়া দিয়েছিলেন। ফলে এমন দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে তারা দাবি করেন।

স্থানীয়রা আরও জানান, নিচতলার ভাড়াটিয়া জহুরুল ইসলামের কক্ষের গ্যাস লাইনের রাইজারে লিকেজ ছিল। দরজা-জানালা বন্ধ থাকার কারণে সারারাত গ্যাস ঘরে জমে থাকে। সকাল ৭টা ১৫ মিনিটের দিকে রান্না শুরু করলে আগুন জ্বালানোর সঙ্গে সঙ্গেই বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে। এতে দেয়াল ভেঙে পড়ে এবং দরজা-জানালাও উড়ে যায়।

দুর্ঘটনার পর স্থানীয়রা আহতদের দ্রুত উদ্ধার করে নারী ও শিশু হাসপাতালে নিয়ে যান। হাসপাতালের ম্যানেজার হারুন রশিদ জানান, প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে দুজনকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে এবং দগ্ধ চারজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বার্ন ইউনিটে পাঠানো হয়েছে।

ডিইপিজেড ফায়ার সার্ভিসের ডিউটি অফিসার আল রিফাত তালুকদার বলেন, এখানে কোনো গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ ঘটেনি। রান্নাঘরের লিকেজ থেকে গ্যাস জমে বিস্ফোরণ হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে এবং দুর্ঘটনাকবলিত ভবনটি বর্তমানে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আশুলিয়ায় গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণ, ভবন ধসে দগ্ধ ৪ সহ আহত ৬

আপডেট সময় ১২:৩২:০৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ জুন ২০২৫

 

সাভারের আশুলিয়ায় গ্যাস লিকেজ থেকে ভয়াবহ বিস্ফোরণে একটি ভবনের দেয়াল ধসে পড়েছে। এতে চারজন দগ্ধসহ ছয়জন আহত হয়েছেন।

বুধবার (১৮ জুন) সকালে আশুলিয়ার নিশ্চিন্তপুর এলাকায় মণ্ডল মার্কেটসংলগ্ন বাধিয়ারপাড়ে জুয়েল আহমেদের নির্মিত বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। দগ্ধ চারজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে পাঠানো হয়েছে। বাকি দুজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, একটি পুরনো দ্বিতল ভবনের নিচতলার একটি কক্ষে গ্যাস লিকেজ থেকে গ্যাস জমে ছিল। সকালে রান্নার চুলা জ্বালানোর সময় হঠাৎ বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে। এতে ভবনের নিচতলার দেয়াল ধসে পড়ে এবং ঘরে আগুন ধরে যায়। মুহূর্তেই ছয়জন আহত হন।

আহতদের মধ্যে রয়েছেন—জাহানারা (৪০), জুয়েল (২৪), শান্ত (২১), হাওয়া আক্তার (২৩), জহুরুল ইসলাম (২৬) ও নাসির (৩৮)।

স্থানীয়দের অভিযোগ, বাড়িটি নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী দিয়ে তৈরি করা হয়েছিল এবং মালিক জুয়েল মিয়া বাড়িটি অপরিকল্পিতভাবে নির্মাণ করে ভাড়া দিয়েছিলেন। ফলে এমন দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে তারা দাবি করেন।

স্থানীয়রা আরও জানান, নিচতলার ভাড়াটিয়া জহুরুল ইসলামের কক্ষের গ্যাস লাইনের রাইজারে লিকেজ ছিল। দরজা-জানালা বন্ধ থাকার কারণে সারারাত গ্যাস ঘরে জমে থাকে। সকাল ৭টা ১৫ মিনিটের দিকে রান্না শুরু করলে আগুন জ্বালানোর সঙ্গে সঙ্গেই বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে। এতে দেয়াল ভেঙে পড়ে এবং দরজা-জানালাও উড়ে যায়।

দুর্ঘটনার পর স্থানীয়রা আহতদের দ্রুত উদ্ধার করে নারী ও শিশু হাসপাতালে নিয়ে যান। হাসপাতালের ম্যানেজার হারুন রশিদ জানান, প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে দুজনকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে এবং দগ্ধ চারজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বার্ন ইউনিটে পাঠানো হয়েছে।

ডিইপিজেড ফায়ার সার্ভিসের ডিউটি অফিসার আল রিফাত তালুকদার বলেন, এখানে কোনো গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ ঘটেনি। রান্নাঘরের লিকেজ থেকে গ্যাস জমে বিস্ফোরণ হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে এবং দুর্ঘটনাকবলিত ভবনটি বর্তমানে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।