ঢাকা ১০:০৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৫ অগাস্ট ২০২৫, ২১ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
ব্রিটেন পরিকল্পিতভাবে সামুদ্রিক দুর্ঘটনা ঘটাতে চায়: দাবি রুশ গোয়েন্দা সংস্থার জুলাই ঘোষণাপত্র পাঠ করলেন প্রধান উপদেষ্টা, শহীদদের ‘জাতীয় বীর’ ঘোষণা ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনের বর্ষপূর্তিতে তিনদিনব্যাপী আয়োজন ছাত্রশিবিরের খাগড়াছড়িতে কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ, আহত ১ ৫ আগস্ট ইতিহাস কথা বলে জুলাই শহীদদের আত্মত্যাগই হবে আগামীর বাংলাদেশ রুপরেখা : ড. ইউনূস ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ পাঠ অনুষ্ঠানে বিএনপির শীর্ষ নেতাদের অংশগ্রহণ কাপ্তাই বাঁধের ১৬টি জলকপাট খুলবে মঙ্গলবার, বন্দর কর্তৃপক্ষের সতর্কবার্তা ৩৬ জুলাই স্মরণে টেলিটকের বিশেষ অফার সাজিদ হত্যার ইস্যুতে পরিবারের মামলা

জোরপূর্বক গুম নিয়ে জাতিসংঘ প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকে আইন উপদেষ্টা

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১২:৩১:০৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫
  • / 23

ছবি সংগৃহীত

 

 

জোরপূর্বক কিংবা অনিচ্ছাকৃত গুম নিয়ে জাতিসংঘের কর্মপর্যায়ের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বাংলাদেশ সরকারের আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল। সোমবার সকাল ৯টায় সচিবালয়ে নিজ কার্যালয়ে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়

বৈঠকে জাতিসংঘের গুমবিষয়ক ওয়ার্কিং গ্রুপ অন এনফোর্সড অর ইনভলান্টারি ডিজঅ্যাপিয়ারেন্স (WGEID)-এর তিন সদস্য উপস্থিত ছিলেন। তারা হলেন গ্রাজিনা বারানোউস্কা, আনা লোরেনা ডেলগাদিলো পেরেজ এবং মো. জাহিদুল ইসলাম। এছাড়াও বৈঠকে আইন মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও অংশগ্রহণ করেন।

সকাল সাড়ে ১০টায় বৈঠক শেষ হয়। পরে আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল সকাল ১১টায় সচিবালয়ে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করার কথা জানিয়েছেন।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশে বিভিন্ন সময়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিরুদ্ধে জোরপূর্বক গুমের অভিযোগ ওঠে। এসব ঘটনার তদন্তে দীর্ঘদিন ধরেই বাংলাদেশ সফরের আগ্রহ প্রকাশ করে আসছিল জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদের আওতাধীন এই ওয়ার্কিং গ্রুপ। যদিও তারা একাধিকবার বাংলাদেশ সরকারকে সফরের অনুমতির জন্য অনুরোধ জানিয়েছিল, এবারই প্রথম প্রায় এক দশক পর তাদের প্রতিনিধিদের ঢাকা সফরের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

এই সফর উপলক্ষে জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের গুমবিষয়ক ওয়ার্কিং গ্রুপের দুই সদস্য রবিবার (১৫ জুন) ঢাকায় পৌঁছান। এটি জাতিসংঘের গুমবিষয়ক গ্রুপের সদস্যদের প্রথম বাংলাদেশ সফর।

চার দিনের এই সফরে জাতিসংঘের প্রতিনিধি দল বাংলাদেশের বিভিন্ন সরকারি সংস্থা, মানবাধিকার সংগঠন ও ভুক্তভোগী পরিবারের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন বলে জানা গেছে। সফরের উদ্দেশ্য হলো জোরপূর্বক গুম সংক্রান্ত অভিযোগগুলো পর্যালোচনা ও ভবিষ্যৎ করণীয় নিয়ে একটি সুস্পষ্ট চিত্র পাওয়া।

বিষয়টি নিয়ে সচেতন মহলের মতে, এই সফর বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি সম্পর্কে আন্তর্জাতিক মহলে একটি গুরুত্বপূর্ণ বার্তা দেবে। একই সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে গুমের ঘটনায় বিচার ও জবাবদিহির যে দাবি উঠছে, তা নতুন করে গুরুত্ব পাবে বলে আশা করা হচ্ছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

জোরপূর্বক গুম নিয়ে জাতিসংঘ প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকে আইন উপদেষ্টা

আপডেট সময় ১২:৩১:০৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫

 

 

জোরপূর্বক কিংবা অনিচ্ছাকৃত গুম নিয়ে জাতিসংঘের কর্মপর্যায়ের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বাংলাদেশ সরকারের আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল। সোমবার সকাল ৯টায় সচিবালয়ে নিজ কার্যালয়ে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়

বৈঠকে জাতিসংঘের গুমবিষয়ক ওয়ার্কিং গ্রুপ অন এনফোর্সড অর ইনভলান্টারি ডিজঅ্যাপিয়ারেন্স (WGEID)-এর তিন সদস্য উপস্থিত ছিলেন। তারা হলেন গ্রাজিনা বারানোউস্কা, আনা লোরেনা ডেলগাদিলো পেরেজ এবং মো. জাহিদুল ইসলাম। এছাড়াও বৈঠকে আইন মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও অংশগ্রহণ করেন।

সকাল সাড়ে ১০টায় বৈঠক শেষ হয়। পরে আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল সকাল ১১টায় সচিবালয়ে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করার কথা জানিয়েছেন।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশে বিভিন্ন সময়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিরুদ্ধে জোরপূর্বক গুমের অভিযোগ ওঠে। এসব ঘটনার তদন্তে দীর্ঘদিন ধরেই বাংলাদেশ সফরের আগ্রহ প্রকাশ করে আসছিল জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদের আওতাধীন এই ওয়ার্কিং গ্রুপ। যদিও তারা একাধিকবার বাংলাদেশ সরকারকে সফরের অনুমতির জন্য অনুরোধ জানিয়েছিল, এবারই প্রথম প্রায় এক দশক পর তাদের প্রতিনিধিদের ঢাকা সফরের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

এই সফর উপলক্ষে জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের গুমবিষয়ক ওয়ার্কিং গ্রুপের দুই সদস্য রবিবার (১৫ জুন) ঢাকায় পৌঁছান। এটি জাতিসংঘের গুমবিষয়ক গ্রুপের সদস্যদের প্রথম বাংলাদেশ সফর।

চার দিনের এই সফরে জাতিসংঘের প্রতিনিধি দল বাংলাদেশের বিভিন্ন সরকারি সংস্থা, মানবাধিকার সংগঠন ও ভুক্তভোগী পরিবারের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন বলে জানা গেছে। সফরের উদ্দেশ্য হলো জোরপূর্বক গুম সংক্রান্ত অভিযোগগুলো পর্যালোচনা ও ভবিষ্যৎ করণীয় নিয়ে একটি সুস্পষ্ট চিত্র পাওয়া।

বিষয়টি নিয়ে সচেতন মহলের মতে, এই সফর বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি সম্পর্কে আন্তর্জাতিক মহলে একটি গুরুত্বপূর্ণ বার্তা দেবে। একই সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে গুমের ঘটনায় বিচার ও জবাবদিহির যে দাবি উঠছে, তা নতুন করে গুরুত্ব পাবে বলে আশা করা হচ্ছে।