ঢাকা ১২:২৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৪ জুন ২০২৫, ২১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
গাজার ত্রাণকেন্দ্রের কাছে ইসরায়েলি হামলায় নিহত ২৭ মৌলভীবাজারে পৈতৃক জমি নিয়ে বিরোধে ২ বোনকে কুপিয়ে হত্যা ইউক্রেনের সামরিক বাহিনীতে বড় রদবদল আনলেন প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি ছুটির আমেজে শেষ কর্মদিবস আজ, কাল থেকে ১০ দিনের ছুটি দক্ষিণ কোরিয়ায় নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলেন লি জে-মিয়ং ঈদ ফিরতি যাত্রা: আজ বিক্রি হচ্ছে ১৪ জুনের ট্রেনের টিকিট জি৭ সম্মেলনে মোদির অনুপস্থিতি সম্ভাব্য, আমন্ত্রণ জানায়নি কানাডা ভাঙ্গায় বাস-মাহিন্দ্রার মুখোমুখি সংঘর্ষে ৫ জন নিহত, আহত আরও ৪ কুমিল্লায় অস্ত্র ও মাদকসহ কিশোর গ্যাংয়ের ৪ সদস্য আটক আইপিএলের শিরোপা হাতে কোহলির কান্না: বেঙ্গালুরুর ১৮ বছরের অপেক্ষার অবসান

জুলাই সনদ করব এটাই আমাদের প্রধান লক্ষ্য : প্রধান উপদেষ্টা

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৭:৪২:২৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২ জুন ২০২৫
  • / 3

ছবি সংগৃহীত

 

জাতীয় ঐকমত্য প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আগামী জুলাই মাসেই একটি জাতীয় সনদ প্রকাশ করা হবে এই ঘোষণা দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। সোমবার বিকেলে রাজধানীর বেইলি রোডে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে অনুষ্ঠিত জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের প্রথম পর্বের বৈঠকে এই মন্তব্য করেন তিনি।

বিকেল সাড়ে ৪টায় শুরু হওয়া এই বৈঠকে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি ও বিশিষ্টজনেরা অংশ নেন। বৈঠকের সূচনা বক্তব্যে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “দিনভর অসংখ্য মিটিং করলেও, এমন একটি আলোচনায় অংশ নিতে পারাটাই সবচেয়ে আনন্দের। কারণ এখানে দেশের ভবিষ্যৎ নিয়ে সম্মিলিতভাবে চিন্তা করা হচ্ছে। এতে যুক্ত হতে পারাটা এক অসাধারণ অনুভূতি।”

ড. ইউনূস জানান, রাজনৈতিক সংস্কার ও ঐকমত্য গঠনের উদ্দেশ্যে গঠিত পূর্ববর্তী কমিশনগুলোর কাজ সফলভাবে শেষ হয়েছে। তিনি বলেন, “প্রথমে বুঝতে পারছিলাম না কীভাবে শুরু করব। পরে সিদ্ধান্ত হয়, কয়েকটি কমিশন গঠন করা হবে। তাদের ৯০ দিনের সময়সীমা নির্ধারণ করা হয় এবং তারা তা সফলভাবে সম্পন্ন করেছে।”

এই কমিশনগুলোর সুপারিশের ভিত্তিতে আলাদাভাবে ‘ঐকমত্য কমিশন’ গঠনের পেছনের পটভূমিও তুলে ধরেন তিনি। বলেন, “কমিশন থেকে রিপোর্ট আসার পর আমরা বুঝতে পারি যে, দেশের ভবিষ্যৎ গঠনে একটি ঐকমত্য দরকার। তখনই এই কমিশনের প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়, যা এখন ফলপ্রসূ প্রক্রিয়ায় রূপ নিয়েছে।”

দ্বিতীয় পর্ব নিয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করে ড. ইউনূস বলেন, “অনেক বিষয়েই এখন ঐকমত্যের কাছাকাছি পৌঁছেছি। তালিকায় যদি আরও একটি সুপারিশ যোগ হয়, সেটি হবে ঐকমত্যের সুপারিশ। জুলাই সনদে যদি আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় যুক্ত করা যায়, তবে তা জাতির জন্য গর্বের বিষয় হয়ে থাকবে।”

তিনি আরও বলেন, “আমরা একটি জাতি হিসেবে গর্ব করতে পারি, কারণ আমরা বিভক্তির রাজনীতি নয়, বরং ঐক্যের পথে এগিয়ে চলেছি। এটাই আমাদের সবচেয়ে বড় অর্জন।”

অনেকেই মনে করছেন, এই জাতীয় ঐকমত্য প্রক্রিয়া বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে একটি নতুন যুগের সূচনা করতে যাচ্ছে। ইতোমধ্যেই রাজনৈতিক অঙ্গনে ‘জুলাই সনদ’ নিয়ে প্রবল আগ্রহ ও কৌতূহল দেখা দিয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

জুলাই সনদ করব এটাই আমাদের প্রধান লক্ষ্য : প্রধান উপদেষ্টা

আপডেট সময় ০৭:৪২:২৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২ জুন ২০২৫

 

জাতীয় ঐকমত্য প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আগামী জুলাই মাসেই একটি জাতীয় সনদ প্রকাশ করা হবে এই ঘোষণা দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। সোমবার বিকেলে রাজধানীর বেইলি রোডে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে অনুষ্ঠিত জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের প্রথম পর্বের বৈঠকে এই মন্তব্য করেন তিনি।

বিকেল সাড়ে ৪টায় শুরু হওয়া এই বৈঠকে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি ও বিশিষ্টজনেরা অংশ নেন। বৈঠকের সূচনা বক্তব্যে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “দিনভর অসংখ্য মিটিং করলেও, এমন একটি আলোচনায় অংশ নিতে পারাটাই সবচেয়ে আনন্দের। কারণ এখানে দেশের ভবিষ্যৎ নিয়ে সম্মিলিতভাবে চিন্তা করা হচ্ছে। এতে যুক্ত হতে পারাটা এক অসাধারণ অনুভূতি।”

ড. ইউনূস জানান, রাজনৈতিক সংস্কার ও ঐকমত্য গঠনের উদ্দেশ্যে গঠিত পূর্ববর্তী কমিশনগুলোর কাজ সফলভাবে শেষ হয়েছে। তিনি বলেন, “প্রথমে বুঝতে পারছিলাম না কীভাবে শুরু করব। পরে সিদ্ধান্ত হয়, কয়েকটি কমিশন গঠন করা হবে। তাদের ৯০ দিনের সময়সীমা নির্ধারণ করা হয় এবং তারা তা সফলভাবে সম্পন্ন করেছে।”

এই কমিশনগুলোর সুপারিশের ভিত্তিতে আলাদাভাবে ‘ঐকমত্য কমিশন’ গঠনের পেছনের পটভূমিও তুলে ধরেন তিনি। বলেন, “কমিশন থেকে রিপোর্ট আসার পর আমরা বুঝতে পারি যে, দেশের ভবিষ্যৎ গঠনে একটি ঐকমত্য দরকার। তখনই এই কমিশনের প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়, যা এখন ফলপ্রসূ প্রক্রিয়ায় রূপ নিয়েছে।”

দ্বিতীয় পর্ব নিয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করে ড. ইউনূস বলেন, “অনেক বিষয়েই এখন ঐকমত্যের কাছাকাছি পৌঁছেছি। তালিকায় যদি আরও একটি সুপারিশ যোগ হয়, সেটি হবে ঐকমত্যের সুপারিশ। জুলাই সনদে যদি আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় যুক্ত করা যায়, তবে তা জাতির জন্য গর্বের বিষয় হয়ে থাকবে।”

তিনি আরও বলেন, “আমরা একটি জাতি হিসেবে গর্ব করতে পারি, কারণ আমরা বিভক্তির রাজনীতি নয়, বরং ঐক্যের পথে এগিয়ে চলেছি। এটাই আমাদের সবচেয়ে বড় অর্জন।”

অনেকেই মনে করছেন, এই জাতীয় ঐকমত্য প্রক্রিয়া বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে একটি নতুন যুগের সূচনা করতে যাচ্ছে। ইতোমধ্যেই রাজনৈতিক অঙ্গনে ‘জুলাই সনদ’ নিয়ে প্রবল আগ্রহ ও কৌতূহল দেখা দিয়েছে।