পাচার হওয়া সম্পদ ফিরিয়ে আনতে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা আহ্বান বাংলাদেশের

- আপডেট সময় ১১:০৫:৫৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৮ মে ২০২৫
- / 15
জাতিসংঘের সাউথ-সাউথ কোঅপারেশনের উচ্চ পর্যায়ের কমিটির ২২তম অধিবেশনে উন্নয়নশীল দেশগুলো থেকে অবৈধভাবে পাচার হওয়া সম্পদ ফিরিয়ে আনতে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা আরও জোরদার করার আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ। জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত সালাহউদ্দিন নোমান চৌধুরী এই আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, “বিশ্বব্যাপী ন্যায়বিচার ও পারস্পরিক আস্থার ভিত্তিতে পাচার হওয়া সম্পদ ফিরিয়ে আনতে সম্মিলিত রাজনৈতিক সদিচ্ছা তৈরি করা সময়ের দাবি।” একইসঙ্গে তিনি স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে উত্তরণের পথে থাকা দেশগুলোর জন্য বর্তমান সুবিধাগুলো হঠাৎ বন্ধ না করে ধাপে ধাপে তুলে নেওয়ার আহ্বান জানান, যাতে উত্তরণ প্রক্রিয়া আরও টেকসই হয়।
রাষ্ট্রদূত চৌধুরী ‘সোশ্যাল বিজনেস’ বা সামাজিক উদ্যোগের গুরুত্বও তুলে ধরেন। তিনি বলেন, “স্বাস্থ্য, শিক্ষা, খাদ্য নিরাপত্তা এবং নবায়নযোগ্য শক্তির মতো খাতে সামাজিক উদ্যোগ উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য গুণগত ও ইতিবাচক পরিবর্তনের পথ প্রশস্ত করতে পারে।”
তিনি উন্নয়নের অন্যতম প্রধান চালিকাশক্তি হিসেবে তরুণদের অগ্রাধিকার দেওয়ার ওপর জোর দেন। “তরুণদের সম্ভাবনা কাজে লাগাতে হলে তাদের উন্নয়ন প্রক্রিয়ার কেন্দ্রে রাখতে হবে। বিশেষ করে শিক্ষা এবং উদীয়মান প্রযুক্তি, যেমন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা খাতে দক্ষতা অর্জনে বিনিয়োগ বাড়ানো প্রয়োজন,” বলেন রাষ্ট্রদূত।
এছাড়া, দারিদ্র্য, বৈষম্য ও কার্বন নিঃসরণমুক্ত একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক বিশ্ব গঠনের লক্ষ্যে উন্নয়নশীল দেশগুলোর মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা আরও গভীর করার ওপরও জোর দেন তিনি। “তিন শূন্যের” বিশ্ব—দারিদ্র্য শূন্য, কার্বন নিঃসরণ শূন্য এবং বৈষম্য শূন্য সমাজ গঠনের প্রতি বাংলাদেশের দৃঢ় অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন রাষ্ট্রদূত সালাহউদ্দিন নোমান চৌধুরী।
এই অধিবেশনে বাংলাদেশ আবারও প্রমাণ করলো যে, আন্তর্জাতিক মঞ্চে ন্যায়ভিত্তিক উন্নয়ন, পারস্পরিক সম্মান ও সহযোগিতার প্রশ্নে দেশটি তার দৃঢ় অবস্থান বজায় রেখেছে।