ঢাকা ০৬:৫৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৫ মে ২০২৫, ১১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
আজ বিশ্ব থাইরয়েড দিবস: দ্রুত শনাক্ত করুন, সুস্থ থাকুন ঈদের ছুটিতেও সীমিত পরিসরে ব্যাংক খোলা রাখতে নতুন নির্দেশনা বিএনপি রাজপথে নামলে এই সরকার টিকবে না: গয়েশ্বর বন্দরে অচলাবস্থা: কলম বিরতিতে থেমে গেছে চট্টগ্রাম কাস্টমসের কার্যক্রম আন্তর্জাতিক অঙ্গনে প্রথমবারের মতো পুরস্কার জয় করল বাংলাদেশি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘আলী’ আলোচনার আশ্বাসে পেট্রোল পাম্প ধর্মঘট প্রত্যাহার বাড়ানো হয়েছে কোরবানির পশুর চামড়ার দাম বর্ণাঢ্য কুচকাওয়াজের সাথে নৌবাহিনীতে যোগ দিল ৪৬৩ তরুণ নাবিক কেরানীগঞ্জে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে ৬ জন আটক, অস্ত্র ও সরঞ্জাম উদ্ধার ৪ বছরের কারাদণ্ড পাপিয়ার

“আমরা চট্টগ্রাম বন্দর কাউকে দিচ্ছি না: প্রেস সচিবের সাফ বক্তব্য

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১২:৪৬:৩৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৫ মে ২০২৫
  • / 3

ছবি সংগৃহীত

 

চট্টগ্রাম বন্দরের আধুনিকায়ন ও দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে আন্তর্জাতিক বিনিয়োগ আহ্বান করা হলেও এটি কোনো দেশের হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে না বলে স্পষ্ট জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।

রোববার রাজধানীতে আয়োজিত ‘সিএমজেএফ টক’ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। ক্যাপিটাল মার্কেট সাংবাদিক ফোরাম (সিএমজেএফ) এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

প্রেস সচিব বলেন, “বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় কোম্পানিগুলো যাতে বন্দরের নির্দিষ্ট টার্মিনালগুলোর উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনায় অংশ নিতে পারে, সেই পরিবেশ তৈরি করতে চাই আমরা। এতে দক্ষতা বাড়বে, আধুনিকায়নের গতি আসবে। তবে এটা পরিষ্কার করে বলছি, চট্টগ্রাম বন্দর আমরা কাউকে দিচ্ছি না।”

তিনি আরও জানান, এরই মধ্যে কিছু বিদেশি বিনিয়োগকারী প্রায় তিন বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। তবে সব কিছু হবে দেশের স্বার্থ ও নিয়ন্ত্রণ বজায় রেখে।

সম্প্রতি বন্দরের ব্যবস্থাপনায় বিদেশি কোম্পানির সম্পৃক্ততা নিয়ে জনমনে নানা প্রশ্ন ও উদ্বেগ দেখা দেয়। বিশেষ করে একটি নির্দিষ্ট দেশের প্রভাব বিস্তার নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা হয়। এই প্রেক্ষাপটে প্রেস সচিবের বক্তব্যকে অনেকে স্বস্তিদায়ক এবং স্পষ্ট বার্তা হিসেবে দেখছেন।

শফিকুল আলম বলেন, “আমরা এমন একটি মডেল খুঁজছি যেখানে দেশের নিয়ন্ত্রণে থেকেই বিদেশি প্রযুক্তি ও দক্ষতা কাজে লাগিয়ে বন্দরের উন্নয়ন সম্ভব। এই কাজটি যেন বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক বিনিয়োগকারীদের জন্য ‘উইন-উইন’ পরিস্থিতি তৈরি করে।”

বিশ্লেষকদের মতে, সরকারের এই অবস্থান বন্দরের ভবিষ্যৎ উন্নয়নকে গতি দেবে এবং একই সঙ্গে জাতীয় স্বার্থ সংরক্ষণের বিষয়টি নিশ্চিত করবে।

চট্টগ্রাম বন্দর বাংলাদেশের অর্থনীতির প্রাণকেন্দ্র। দেশের আমদানি-রপ্তানির প্রায় ৯০ শতাংশই এই বন্দরের মাধ্যমে পরিচালিত হয়। তাই এর উন্নয়ন নিয়ে কোনো রকম গুজব বা বিভ্রান্তি যেন না ছড়ায়, সেজন্য সরকারের এমন স্পষ্ট অবস্থান সময়োপযোগী বলেই মনে করছেন সংশ্লিষ্ট মহল।

নিউজটি শেয়ার করুন

“আমরা চট্টগ্রাম বন্দর কাউকে দিচ্ছি না: প্রেস সচিবের সাফ বক্তব্য

আপডেট সময় ১২:৪৬:৩৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৫ মে ২০২৫

 

চট্টগ্রাম বন্দরের আধুনিকায়ন ও দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে আন্তর্জাতিক বিনিয়োগ আহ্বান করা হলেও এটি কোনো দেশের হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে না বলে স্পষ্ট জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।

রোববার রাজধানীতে আয়োজিত ‘সিএমজেএফ টক’ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। ক্যাপিটাল মার্কেট সাংবাদিক ফোরাম (সিএমজেএফ) এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

প্রেস সচিব বলেন, “বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় কোম্পানিগুলো যাতে বন্দরের নির্দিষ্ট টার্মিনালগুলোর উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনায় অংশ নিতে পারে, সেই পরিবেশ তৈরি করতে চাই আমরা। এতে দক্ষতা বাড়বে, আধুনিকায়নের গতি আসবে। তবে এটা পরিষ্কার করে বলছি, চট্টগ্রাম বন্দর আমরা কাউকে দিচ্ছি না।”

তিনি আরও জানান, এরই মধ্যে কিছু বিদেশি বিনিয়োগকারী প্রায় তিন বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। তবে সব কিছু হবে দেশের স্বার্থ ও নিয়ন্ত্রণ বজায় রেখে।

সম্প্রতি বন্দরের ব্যবস্থাপনায় বিদেশি কোম্পানির সম্পৃক্ততা নিয়ে জনমনে নানা প্রশ্ন ও উদ্বেগ দেখা দেয়। বিশেষ করে একটি নির্দিষ্ট দেশের প্রভাব বিস্তার নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা হয়। এই প্রেক্ষাপটে প্রেস সচিবের বক্তব্যকে অনেকে স্বস্তিদায়ক এবং স্পষ্ট বার্তা হিসেবে দেখছেন।

শফিকুল আলম বলেন, “আমরা এমন একটি মডেল খুঁজছি যেখানে দেশের নিয়ন্ত্রণে থেকেই বিদেশি প্রযুক্তি ও দক্ষতা কাজে লাগিয়ে বন্দরের উন্নয়ন সম্ভব। এই কাজটি যেন বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক বিনিয়োগকারীদের জন্য ‘উইন-উইন’ পরিস্থিতি তৈরি করে।”

বিশ্লেষকদের মতে, সরকারের এই অবস্থান বন্দরের ভবিষ্যৎ উন্নয়নকে গতি দেবে এবং একই সঙ্গে জাতীয় স্বার্থ সংরক্ষণের বিষয়টি নিশ্চিত করবে।

চট্টগ্রাম বন্দর বাংলাদেশের অর্থনীতির প্রাণকেন্দ্র। দেশের আমদানি-রপ্তানির প্রায় ৯০ শতাংশই এই বন্দরের মাধ্যমে পরিচালিত হয়। তাই এর উন্নয়ন নিয়ে কোনো রকম গুজব বা বিভ্রান্তি যেন না ছড়ায়, সেজন্য সরকারের এমন স্পষ্ট অবস্থান সময়োপযোগী বলেই মনে করছেন সংশ্লিষ্ট মহল।