ঢাকা ১১:২৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ জুলাই ২০২৫, ৩০ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
হানিফ ও স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদকের দুর্নীতির মামলা, সম্পদ বিবরণী চেয়ে আইনি নোটিশ বঙ্গোপসাগরে ভারতীয় দুই ট্রলারসহ ৩৪ জেলে আটক শুধু বাহক নয়, মাদকের গডফাদারদেরও আইনের আওতায় আনা হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা পরমাণু সংস্থার পরিদর্শকদের জুতার ভেতরে গুপ্তচর চিপ! দাবি ইরানের। ইউক্রেনে সেনা খসড়ায় স্বয়ংক্রিয় প্রযুক্তি: ১৭-২৫ বছরের তরুণদের জন্য পালানোর আর পথ নেই। রাশিয়ার “মেগা-অফেনসিভ” পরিকল্পনা, সঙ্গে থাকছে ৩০,০০০ উত্তর কোরিয়ান সেনা অপরাধ সিন্ডিকেটের সঙ্গে জড়িত থাকায় দক্ষিণ আফ্রিকার পুলিশমন্ত্রী বরখাস্ত আমাদের উজানের দেশ, তথ্য না দিলে বন্যার প্রস্তুতি নেওয়া কঠিন: পরিবেশ উপদেষ্টা সর্দি কাশি নিরাময়ে লবঙ্গের ৭টি স্বাস্থ্য উপকারিতা যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক নিয়ে অর্থনীতিবিদ ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠকে বাণিজ্য উপদেষ্টা

ছত্তিশগড়ে নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযান, নিহত ২৬ মাওবাদী

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৪:৩০:২৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২১ মে ২০২৫
  • / 20

ছবি সংগৃহীত

 

ভারতের ছত্তিশগড় রাজ্যের নারায়ণপুর ও দান্তেওয়াড়া সীমান্তবর্তী পুর জেলার দুর্গম পাহাড়-জঙ্গলে নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানে অন্তত ২৬ জন মাওবাদী নিহত হয়েছে। এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে বুধবার (২১ মে) এ তথ্য জানানো হয়েছে।

নিহতদের মধ্যে ভারতের নিষিদ্ধ ঘোষিত কমিউনিস্ট পার্টি (মাওবাদী)-এর শীর্ষ নেতা নাম্বালা কেশবরাও ওরফে বাসভরাজুর নাম থাকতে পারে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। একই অভিযানে নিহত হয়েছেন দণ্ডকারণ্য স্পেশাল জোনাল কমিটির নেতা মধু। নারায়ণপুর-বিজাপুর সীমান্তে প্রায় ৫০ ঘণ্টাব্যাপী চলা সংঘর্ষে এই হতাহতের ঘটনা ঘটে।

গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে জানা যায়, ওই এলাকায় মাওবাদীদের মাদ বিভাগের শীর্ষ নেতারা অবস্থান করছেন। এরপর নারায়ণপুর, দান্তেওয়াড়া, বিজাপুর ও কোন্ডাগাঁও জেলার জেলা রিজার্ভ গার্ডের (ডিআরজি) সদস্যরা আবুঝামাদ এলাকায় যৌথ অভিযান শুরু করে। অভিযান চলাকালীনই নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে শুরু হয় মাওবাদীদের তীব্র সংঘর্ষ।

প্রতিবেদনে বলা হয়, বাসভরাজু একসময় সিপিআই (মাওবাদী)-এর সেন্ট্রাল মিলিটারি কমিশনের প্রধান ছিলেন। পরে তাকে সাধারণ সম্পাদক পদে উন্নীত করা হয়। তেলেঙ্গানা ও অন্ধ্রপ্রদেশ রাজ্যের পুলিশ ও জাতীয় তদন্ত সংস্থা (এনআইএ) বহুদিন ধরে তাকে খুঁজছিল এবং তার মাথার দাম ঘোষণা করা হয়েছিল ১.৫ কোটি রুপি।

কর্মকর্তাদের মতে, যদি বাসভরাজু নিহত হয়ে থাকেন, তবে এটি মাওবাদী বিদ্রোহীদের জন্য একটি বড় ধাক্কা। এতে তাদের নেতৃত্ব ও সংগঠন পুনর্গঠনের পরিকল্পনা ভেঙে পড়তে পারে।

ছত্তিশগড়ের উপ-মুখ্যমন্ত্রী অরুণ সাও বলেন, “২০২৬ সালের মার্চের মধ্যে ছত্তিশগড়কে মাওবাদীমুক্ত করতে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বিজয় শর্মা এবং অভিযানে অংশ নেওয়া সব সদস্যদের ধন্যবাদ জানাই যারা ৪০-৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার মধ্যেও সাহসিকতার সঙ্গে অভিযান চালাচ্ছেন।”

এই সংঘর্ষের ঘটনার মাত্র এক মাস আগে ছত্তিশগড়-তেলেঙ্গানা সীমান্তের কারেগুট্টালু পাহাড়ে মাওবাদীদের দমন করতে শুরু হয় ‘অপারেশন ব্ল্যাক ফরেস্ট’। ২১ দিনব্যাপী অভিযানে ৩১ জন মাওবাদী নিহত হয়, যাদের বিরুদ্ধে ১.৭২ কোটি রুপির পুরস্কার ঘোষণা ছিল। একই সঙ্গে ধ্বংস করা হয় ২১৪টি মাওবাদী আস্তানা ও বাঙ্কার। উদ্ধার করা হয় বিপুল পরিমাণ অস্ত্র, বিস্ফোরক এবং ১২ হাজার কেজি খাদ্যসামগ্রী।

ছত্তিশগড়ের এই অভিযানে মাওবাদীদের কার্যক্রমে বড় ধাক্কা লাগার পাশাপাশি পাহাড়ি অঞ্চলে শান্তি ও উন্নয়নের পথ সুগম হতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

নিউজটি শেয়ার করুন

ছত্তিশগড়ে নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযান, নিহত ২৬ মাওবাদী

আপডেট সময় ০৪:৩০:২৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২১ মে ২০২৫

 

ভারতের ছত্তিশগড় রাজ্যের নারায়ণপুর ও দান্তেওয়াড়া সীমান্তবর্তী পুর জেলার দুর্গম পাহাড়-জঙ্গলে নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানে অন্তত ২৬ জন মাওবাদী নিহত হয়েছে। এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে বুধবার (২১ মে) এ তথ্য জানানো হয়েছে।

নিহতদের মধ্যে ভারতের নিষিদ্ধ ঘোষিত কমিউনিস্ট পার্টি (মাওবাদী)-এর শীর্ষ নেতা নাম্বালা কেশবরাও ওরফে বাসভরাজুর নাম থাকতে পারে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। একই অভিযানে নিহত হয়েছেন দণ্ডকারণ্য স্পেশাল জোনাল কমিটির নেতা মধু। নারায়ণপুর-বিজাপুর সীমান্তে প্রায় ৫০ ঘণ্টাব্যাপী চলা সংঘর্ষে এই হতাহতের ঘটনা ঘটে।

গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে জানা যায়, ওই এলাকায় মাওবাদীদের মাদ বিভাগের শীর্ষ নেতারা অবস্থান করছেন। এরপর নারায়ণপুর, দান্তেওয়াড়া, বিজাপুর ও কোন্ডাগাঁও জেলার জেলা রিজার্ভ গার্ডের (ডিআরজি) সদস্যরা আবুঝামাদ এলাকায় যৌথ অভিযান শুরু করে। অভিযান চলাকালীনই নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে শুরু হয় মাওবাদীদের তীব্র সংঘর্ষ।

প্রতিবেদনে বলা হয়, বাসভরাজু একসময় সিপিআই (মাওবাদী)-এর সেন্ট্রাল মিলিটারি কমিশনের প্রধান ছিলেন। পরে তাকে সাধারণ সম্পাদক পদে উন্নীত করা হয়। তেলেঙ্গানা ও অন্ধ্রপ্রদেশ রাজ্যের পুলিশ ও জাতীয় তদন্ত সংস্থা (এনআইএ) বহুদিন ধরে তাকে খুঁজছিল এবং তার মাথার দাম ঘোষণা করা হয়েছিল ১.৫ কোটি রুপি।

কর্মকর্তাদের মতে, যদি বাসভরাজু নিহত হয়ে থাকেন, তবে এটি মাওবাদী বিদ্রোহীদের জন্য একটি বড় ধাক্কা। এতে তাদের নেতৃত্ব ও সংগঠন পুনর্গঠনের পরিকল্পনা ভেঙে পড়তে পারে।

ছত্তিশগড়ের উপ-মুখ্যমন্ত্রী অরুণ সাও বলেন, “২০২৬ সালের মার্চের মধ্যে ছত্তিশগড়কে মাওবাদীমুক্ত করতে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বিজয় শর্মা এবং অভিযানে অংশ নেওয়া সব সদস্যদের ধন্যবাদ জানাই যারা ৪০-৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার মধ্যেও সাহসিকতার সঙ্গে অভিযান চালাচ্ছেন।”

এই সংঘর্ষের ঘটনার মাত্র এক মাস আগে ছত্তিশগড়-তেলেঙ্গানা সীমান্তের কারেগুট্টালু পাহাড়ে মাওবাদীদের দমন করতে শুরু হয় ‘অপারেশন ব্ল্যাক ফরেস্ট’। ২১ দিনব্যাপী অভিযানে ৩১ জন মাওবাদী নিহত হয়, যাদের বিরুদ্ধে ১.৭২ কোটি রুপির পুরস্কার ঘোষণা ছিল। একই সঙ্গে ধ্বংস করা হয় ২১৪টি মাওবাদী আস্তানা ও বাঙ্কার। উদ্ধার করা হয় বিপুল পরিমাণ অস্ত্র, বিস্ফোরক এবং ১২ হাজার কেজি খাদ্যসামগ্রী।

ছত্তিশগড়ের এই অভিযানে মাওবাদীদের কার্যক্রমে বড় ধাক্কা লাগার পাশাপাশি পাহাড়ি অঞ্চলে শান্তি ও উন্নয়নের পথ সুগম হতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।