ঢাকা ০৯:০২ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ জুন ২০২৫, ১৬ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
সাবেক মন্ত্রী নুরুজ্জামান ও তার স্ত্রীর স্থাবর সম্পদ জব্দ, ৫৭টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ শিক্ষার্থীদের জন্য সরকারি দপ্তরে পার্টটাইম চাকরির উদ্যোগ ১ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত রাজনৈতিক কর্মসূচিতে শান্তি বজায় থাকবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা নোয়াখালীতে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে যাওয়া এক বিধবাকে গণধর্ষণ লক্ষ্মীপুরে ছেলের হাতে বৃদ্ধ পিতা খুন, ছেলে আটক পাকিস্তান-চীন উদ্যোগে নতুন আঞ্চলিক জোট গঠনের ইঙ্গিত, রয়েছে বাংলাদেশও শেখ হাসিনার মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার যথাসময়ে শেষ হবে: চিফ প্রসিকিউটর এখন সবাই সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করুন, আন্দোলন যা হওয়ার হয়েছে: অর্থ উপদেষ্টা তুরস্কে ভয়াবহ দাবানলের তাণ্ডব, হুমকির মুখে ঘরবাড়ি-শিল্পাঞ্চল নতুন নির্বাচিত সরকারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতে চায় চীন: মির্জা ফখরুল

কাঠামোগত সংস্কারে জোর, জবাবদিহিমূলক রাষ্ট্র গড়ার আহ্বান আলী রীয়াজের

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৩:৫১:৪২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ মে ২০২৫
  • / 22

ছবি: সংগৃহীত

 

জবাবদিহিমূলক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় কাঠামোগত পরিবর্তন অত্যন্ত জরুরি উল্লেখ করে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক ড. আলী রীয়াজ বলেছেন, “আমরা যদি কাঠামোগত সংস্কারের মধ্য দিয়ে একটি জবাবদিহিমূলক রাষ্ট্র গড়তে পারি, তবে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম বাংলাদেশকে একটি আদর্শ রাষ্ট্র হিসেবে বিবেচনা করবে।”

বৃহস্পতিবার (৮ মে) সকালে জাতীয় সংসদ ভবনের এলডি হলে ভাসানী জনশক্তি পার্টির সঙ্গে সংস্কার আলোচনার সূচনা বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন তিনি। আলোচনায় অংশ নেয়া ভাসানী জনশক্তি পার্টির ১৫ সদস্যের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে ছিলেন পার্টির চেয়ারম্যান শেখ রফিকুল ইসলাম বাবুল।

অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, “লাখো মানুষের আত্মত্যাগে অর্জিত গণঅভ্যুত্থানের পর বাংলাদেশ যেন আর কখনও প্রাণ দিয়ে অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে না হয়। সেই লক্ষ্যেই কাজ করছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন।” তিনি আরও বলেন, “ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারলে দেশের কাঙ্ক্ষিত পরিবর্তনের ধারা সূচিত হবে।”

ভাসানী জনশক্তি পার্টির চেয়ারম্যান শেখ রফিকুল ইসলাম বাবুল বলেন, “আমরা বিশ্বাস করি, ভবিষ্যৎ স্বৈরাচার ও ফ্যাসিবাদ রুখতে হলে কাঠামোগত সংস্কার প্রয়োজন। সেই সংস্কারের মধ্য দিয়েই বাংলাদেশকে একটি উন্নত ও গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে রূপান্তর সম্ভব।” তিনি জানান, কমিশনের প্রস্তাবিত ১৬৬টি সংস্কার সুপারিশের মধ্যে ১২৯টির প্রতি ইতিবাচক মত দিয়েছে তার দল।

আলোচনায় বক্তারা বলেন, দেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতি, প্রশাসনিক কাঠামো ও বিচার ব্যবস্থার পুনর্গঠন ছাড়া প্রকৃত অর্থে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয়। এ লক্ষ্যে ঐকমত্য সৃষ্টি এবং রাজনৈতিক দলগুলোর সক্রিয় অংশগ্রহণের বিকল্প নেই।

এদিনের বৈঠকটি সংস্কার আলোচনার অংশ হিসেবে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। ভবিষ্যতে অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গেও এ ধরনের সংলাপ অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন।

নিউজটি শেয়ার করুন

কাঠামোগত সংস্কারে জোর, জবাবদিহিমূলক রাষ্ট্র গড়ার আহ্বান আলী রীয়াজের

আপডেট সময় ০৩:৫১:৪২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ মে ২০২৫

 

জবাবদিহিমূলক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় কাঠামোগত পরিবর্তন অত্যন্ত জরুরি উল্লেখ করে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক ড. আলী রীয়াজ বলেছেন, “আমরা যদি কাঠামোগত সংস্কারের মধ্য দিয়ে একটি জবাবদিহিমূলক রাষ্ট্র গড়তে পারি, তবে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম বাংলাদেশকে একটি আদর্শ রাষ্ট্র হিসেবে বিবেচনা করবে।”

বৃহস্পতিবার (৮ মে) সকালে জাতীয় সংসদ ভবনের এলডি হলে ভাসানী জনশক্তি পার্টির সঙ্গে সংস্কার আলোচনার সূচনা বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন তিনি। আলোচনায় অংশ নেয়া ভাসানী জনশক্তি পার্টির ১৫ সদস্যের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে ছিলেন পার্টির চেয়ারম্যান শেখ রফিকুল ইসলাম বাবুল।

অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, “লাখো মানুষের আত্মত্যাগে অর্জিত গণঅভ্যুত্থানের পর বাংলাদেশ যেন আর কখনও প্রাণ দিয়ে অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে না হয়। সেই লক্ষ্যেই কাজ করছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন।” তিনি আরও বলেন, “ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারলে দেশের কাঙ্ক্ষিত পরিবর্তনের ধারা সূচিত হবে।”

ভাসানী জনশক্তি পার্টির চেয়ারম্যান শেখ রফিকুল ইসলাম বাবুল বলেন, “আমরা বিশ্বাস করি, ভবিষ্যৎ স্বৈরাচার ও ফ্যাসিবাদ রুখতে হলে কাঠামোগত সংস্কার প্রয়োজন। সেই সংস্কারের মধ্য দিয়েই বাংলাদেশকে একটি উন্নত ও গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে রূপান্তর সম্ভব।” তিনি জানান, কমিশনের প্রস্তাবিত ১৬৬টি সংস্কার সুপারিশের মধ্যে ১২৯টির প্রতি ইতিবাচক মত দিয়েছে তার দল।

আলোচনায় বক্তারা বলেন, দেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতি, প্রশাসনিক কাঠামো ও বিচার ব্যবস্থার পুনর্গঠন ছাড়া প্রকৃত অর্থে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয়। এ লক্ষ্যে ঐকমত্য সৃষ্টি এবং রাজনৈতিক দলগুলোর সক্রিয় অংশগ্রহণের বিকল্প নেই।

এদিনের বৈঠকটি সংস্কার আলোচনার অংশ হিসেবে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। ভবিষ্যতে অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গেও এ ধরনের সংলাপ অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন।