তরুণদের অংশগ্রহণে সংকট কাটিয়ে উঠবে বাংলাদেশ: অধ্যাপক ইউনূস

- আপডেট সময় ০৮:৫৮:৩৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ মে ২০২৫
- / 12
বাংলাদেশ একটি রাজনৈতিক ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তবে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন, এই সংকট দীর্ঘস্থায়ী হবে না এবং দেশের অগ্রগতির মূল চালিকাশক্তি হবে তরুণদের সক্রিয় অংশগ্রহণ।
মঙ্গলবার (৬ মে) রাজধানীর রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় সফররত নরওয়ের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের তরুণ প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন। সাক্ষাৎ শেষে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানায়।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “আমরা চাই তরুণরা রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হোক, কারণ নীতিনির্ধারণে ভূমিকা রাখতে হলে রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ অপরিহার্য।” তিনি নরওয়ের প্রতিনিধিদের কাছ থেকে সে দেশের রাজনৈতিক বাস্তবতা ও তরুণদের সম্পৃক্ততার মাত্রা সম্পর্কেও জানতে চান।
সাক্ষাতে সফররত প্রতিনিধিরা বাংলাদেশের তরুণদের সঙ্গে তাদের অভিজ্ঞতা শেয়ার করেন। তারা বলেন, অনেক তরুণ এখনো একবারও ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ পাননি। এ সময় তারা জানতে চান, বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কীভাবে ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে কাজ করছে।
উত্তরে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, “নতুন সরকারের একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গীকার হলো পদ্ধতিগত সংস্কার। গত ১৫ বছর ধরে প্রকৃত ভোটাধিকার থেকে জনগণ বঞ্চিত ছিল। নির্বাচনী ব্যবস্থাকে প্রহসনে পরিণত করা হয়েছিল। এই অবস্থার পরিবর্তনে আমাদের প্রতিষ্ঠানে সংস্কার আনতেই হবে, যাতে ভবিষ্যতে তরুণরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট দিতে পারে।”
তিনি আরও বলেন, “আমাদের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট বহু পুরোনো ও জটিল। আমরা এমন একটি রাজনৈতিক সংস্কৃতির উত্তরাধিকার পেয়েছি, যা থেকে বেরিয়ে আসা চ্যালেঞ্জিং। তবে আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, এই সংকট স্থায়ী হবে না। আমরা একটি স্বচ্ছ ও কার্যকর রাজনৈতিক কাঠামোর দিকে এগিয়ে যাচ্ছি।”
প্রতিনিধি দলে ছিলেন নরওয়ের সমাজতান্ত্রিক যুব লীগের উপনেতা নাজমা আহমেদ, এউইএফ-এর আন্তর্জাতিক নেতা ফাওজি ওয়ারসাম, সেন্টার পার্টির ডেন স্কোফটারড, কনজারভেটিভ পার্টির ওলা সেভনবী, খ্রিস্টান ডেমোক্র্যাটসের হ্যাডল রাসমাস বুল্যান্ড, গ্রিন ইয়ুথের টোবিয়াস স্টোকল্যান্ড এবং ইয়ং লিবারেলসের সাবেক নেতা থাইরা হাকনস লোক্ক।
তরুণ নেতৃত্ব ও নির্বাচনী সংস্কার নিয়ে এই মতবিনিময় দেশের ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক দিকনির্দেশনায় একটি গুরুত্বপূর্ণ ইঙ্গিত বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা।