ঢাকা ১০:১৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৮ অগাস্ট ২০২৫, ২৪ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
যুক্তরাজ্যের রুয়ান্ডা মডেল কপি করছে ইইউ — সমালোচনা থেকে সমর্থনে তিন বছরের পথচলা মার্কিন শুল্ক নীতিতে BRICS জোটে নতুন ঐক্যের ঢেউ। চুয়াডাঙ্গা সীমান্তে প্রায় ৪ কোটি টাকার স্বর্ণসহ পাচারকারী আটক গাজা সিটির দিকে ইসরায়েলের পূর্ণ দখল অভিযান, ৮ লাখ মানুষের জীবন হুমকিতে। “ফ্রান্সে দাবানলের তাণ্ডব: পুড়ে গেছে ৪২ হাজার একর এলাকা” হুথিদের নতুন নৌ ক্রুজ মিসাইল ‘সাইয়াদ’, লোহিত সাগরে নতুন গেম চেঞ্জার গাজায় ত্রাণের মাধ্যমে জীবাণু যুদ্ধ চালাচ্ছে ইসরায়েল চীনের সি৯৪৯ জেটলাইনার কি সুপারসনিক বিমান ভ্রমণের স্বর্ণযুগ ফিরিয়ে আনবে? ইসরায়েলের সঙ্গে সংঘর্ষে ‘মন ও মানসিকতার যুদ্ধেও জয়ী’ হওয়ার দাবি ইরানের বিকেলে চাঁদাবাজি নিয়ে লাইভ, রাতে প্রকাশ্যেই সাংবাদিককে গলা কেটে হত্যা

আ. লীগ আমলের লাইসেন্সপ্রাপ্ত গণমাধ্যমগুলোর তদন্ত হবে: তথ্য উপদেষ্টা

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৮:৫২:৪৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ৫ মে ২০২৫
  • / 18

ছবি সংগৃহীত

 

তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো. মাহফুজ আলম জানিয়েছেন, আওয়ামী লীগ সরকারের সময় যে সকল গণমাধ্যমকে লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে, সেগুলোর বিরুদ্ধে শিগগিরই তদন্ত শুরু করা হবে।

সোমবার (৫ মে) রাজধানীর সার্কিট হাউস রোডে তথ্য অধিদপ্তরের সভাকক্ষে ‘ফ্যাসিবাদী শাসনামলে সাংবাদিক হত্যা-নিপীড়ন’ শীর্ষক এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি। বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস-২০২৫ উপলক্ষে বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট এই সেমিনারের আয়োজন করে।

মাহফুজ আলম বলেন, “যে সকল গণমাধ্যম আওয়ামী লীগের আমলে লাইসেন্স পেয়েছে, তাদের কিভাবে ও কখন অনুমোদন দেওয়া হয়েছে, সেটি তদন্ত করে দেখা হবে। তারা কি জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে? ভুয়া সাংবাদিক তৈরি করেছে? এসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজে বের করতেই এ উদ্যোগ।”

তিনি আরও বলেন, “গণমাধ্যমের রাজনীতিকরণই সাংবাদিকদের সবচেয়ে বড় শত্রু। সাংবাদিকদের বুঝতে হবে, সংবাদমাধ্যম যখন কোনো রাজনৈতিক দলের আদর্শে বিভক্ত হয়ে পড়ে, তখনই সাংবাদিকদের অধিকার হারিয়ে যেতে থাকে।”

তথ্য উপদেষ্টা আরও স্পষ্ট করে বলেন, “আমরা চাই না আপনারা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পক্ষে লিখুন। বরং সরকারের দায়িত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলুন। প্রশ্ন করলে সরকার আরও দায়িত্বশীল হয়। আমি বিশ্বাস করি, সাংবাদিকদের এই সাহস ও অধিকার থাকা উচিত।”

তিনি সাংবাদিকদের পেশাদারিত্বের দিকটি তুলে ধরে বলেন, “সরকারকে প্রশ্ন করা এক জিনিস, আর সাংবাদিকতাকে কোনো দলের প্রপাগান্ডায় পরিণত করা ভিন্ন বিষয়।”

কয়েকটি পত্রিকার ভাষা ও শব্দচয়নের সমালোচনা করে তিনি বলেন, “কেউ কেউ ‘জুলাই অভ্যুত্থান’ না লিখে ‘জুলাই আন্দোলন’ লেখেন। কেউ বলেন ‘ক্ষমতার পটপরিবর্তন’। তারা আসলে ইন্ডিয়ান ন্যারেটিভে খেলেন। এসব শব্দচয়নই প্রমাণ করে, কোন উদ্দেশ্যে তারা সংবাদ পরিবেশন করেন।”

তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “এইসব সংবাদমাধ্যমকে আমরা বন্ধ করিনি, করবও না। কিন্তু জনগণ তাদের বিচার করবে। শহীদ পরিবারগুলো তাদের দেখে নেবে।”

সেমিনারে বক্তারা গণমাধ্যমের স্বাধীনতা, সাংবাদিকদের নিরাপত্তা ও পেশাগত নৈতিকতা নিয়ে বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন। অনুষ্ঠানে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা সাংবাদিকরাও উপস্থিত ছিলেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আ. লীগ আমলের লাইসেন্সপ্রাপ্ত গণমাধ্যমগুলোর তদন্ত হবে: তথ্য উপদেষ্টা

আপডেট সময় ০৮:৫২:৪৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ৫ মে ২০২৫

 

তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো. মাহফুজ আলম জানিয়েছেন, আওয়ামী লীগ সরকারের সময় যে সকল গণমাধ্যমকে লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে, সেগুলোর বিরুদ্ধে শিগগিরই তদন্ত শুরু করা হবে।

সোমবার (৫ মে) রাজধানীর সার্কিট হাউস রোডে তথ্য অধিদপ্তরের সভাকক্ষে ‘ফ্যাসিবাদী শাসনামলে সাংবাদিক হত্যা-নিপীড়ন’ শীর্ষক এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি। বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস-২০২৫ উপলক্ষে বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট এই সেমিনারের আয়োজন করে।

মাহফুজ আলম বলেন, “যে সকল গণমাধ্যম আওয়ামী লীগের আমলে লাইসেন্স পেয়েছে, তাদের কিভাবে ও কখন অনুমোদন দেওয়া হয়েছে, সেটি তদন্ত করে দেখা হবে। তারা কি জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে? ভুয়া সাংবাদিক তৈরি করেছে? এসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজে বের করতেই এ উদ্যোগ।”

তিনি আরও বলেন, “গণমাধ্যমের রাজনীতিকরণই সাংবাদিকদের সবচেয়ে বড় শত্রু। সাংবাদিকদের বুঝতে হবে, সংবাদমাধ্যম যখন কোনো রাজনৈতিক দলের আদর্শে বিভক্ত হয়ে পড়ে, তখনই সাংবাদিকদের অধিকার হারিয়ে যেতে থাকে।”

তথ্য উপদেষ্টা আরও স্পষ্ট করে বলেন, “আমরা চাই না আপনারা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পক্ষে লিখুন। বরং সরকারের দায়িত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলুন। প্রশ্ন করলে সরকার আরও দায়িত্বশীল হয়। আমি বিশ্বাস করি, সাংবাদিকদের এই সাহস ও অধিকার থাকা উচিত।”

তিনি সাংবাদিকদের পেশাদারিত্বের দিকটি তুলে ধরে বলেন, “সরকারকে প্রশ্ন করা এক জিনিস, আর সাংবাদিকতাকে কোনো দলের প্রপাগান্ডায় পরিণত করা ভিন্ন বিষয়।”

কয়েকটি পত্রিকার ভাষা ও শব্দচয়নের সমালোচনা করে তিনি বলেন, “কেউ কেউ ‘জুলাই অভ্যুত্থান’ না লিখে ‘জুলাই আন্দোলন’ লেখেন। কেউ বলেন ‘ক্ষমতার পটপরিবর্তন’। তারা আসলে ইন্ডিয়ান ন্যারেটিভে খেলেন। এসব শব্দচয়নই প্রমাণ করে, কোন উদ্দেশ্যে তারা সংবাদ পরিবেশন করেন।”

তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “এইসব সংবাদমাধ্যমকে আমরা বন্ধ করিনি, করবও না। কিন্তু জনগণ তাদের বিচার করবে। শহীদ পরিবারগুলো তাদের দেখে নেবে।”

সেমিনারে বক্তারা গণমাধ্যমের স্বাধীনতা, সাংবাদিকদের নিরাপত্তা ও পেশাগত নৈতিকতা নিয়ে বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন। অনুষ্ঠানে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা সাংবাদিকরাও উপস্থিত ছিলেন।