০৬:১৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৫
শিরোনাম :
নিজামী-মীর কাসেম-সালাউদ্দিন কাদেরকে মিথ্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে: মির্জা ফখরুল ২০২৩ সাল থেকে ইসরায়েলের যুদ্ধের খরচ দাঁড়িয়েছে প্রায় ৫৯ থেকে ৬৭ বিলিয়ন ডলার। মার্কিন সেনা ও সিআইএ এজেন্টদের বহিষ্কারের চিন্তা কলম্বিয়া প্রেসিডেন্ট পেত্রোর পেন্টাগনের বড় চুক্তি পেল ট্রাম্পের ছেলের ড্রোন কোম্পানি কেন ট্রাম্প-পুতিনের বুদাপেস্ট বৈঠক বাতিল হলো? হুমকিতে বিশ্বব্যাপী পোলিও টিকাদান কর্মসূচি যুক্তরাষ্ট্রকে ভেনেজুয়েলার হুঁশিয়ারি: “আমাদের হাতে ৫ হাজার রুশ ক্ষেপণাস্ত্র” সিইসির সঙ্গে বিএনপির বৈঠক বঙ্গোপসাগরে সুস্পষ্ট লঘুচাপ, গভীর সমুদ্রে যাত্রা নিষেধ আতলেতিকোর জালে ১৪ মিনিটে ৪ গোল, দাপুটে জয়ে আর্সেনাল

এপ্রিল মাসে নারী ও শিশুর উপর সহিংসতা: ধর্ষণের শিকার ১১১, নিহত ৭০

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০১:৩০:২৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ৫ মে ২০২৫
  • / 52

ছবি সংগৃহীত

 

গত এপ্রিল মাসে দেশে নারী ও মেয়েশিশুর উপর সহিংসতা উদ্বেগজনক হারে বেড়েছে। বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে দেখা যায়, শুধু এপ্রিল মাসেই ৩৩২ জন নারী ও মেয়েশিশু ধর্ষণ ও বিভিন্ন ধরনের নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। এদের মধ্যে ১১১ জন ধর্ষণের শিকার হয়েছেন এবং ৭০ জনকে হত্যা করা হয়েছে।

রোববার (৪ মে) মহিলা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানুর স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এই প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।

বিজ্ঞাপন

প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, এপ্রিল মাসে যে ৭০ জন নারী ও মেয়েশিশুকে হত্যা করা হয়েছে, তাদের মধ্যে পাঁচজনকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে। যৌতুকের দাবিতে হত্যা করা হয়েছে তিনজনকে। নিহতদের মধ্যে দুজন গৃহকর্মীও রয়েছেন। বাকি ৬০ জনকে পারিবারিক ও সামাজিক নানা কারণে হত্যা করা হয়েছে।

এছাড়া, পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে জানা যায়, এপ্রিল মাসে ২৪ জন দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। ধর্ষণের পর আত্মহত্যা করেছেন দুজন এবং ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে ২৯ জনের উপর। যৌন নিপীড়নের শিকার হয়েছেন ১২ জন নারী ও কন্যাশিশু।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, চারজন নারী উত্ত্যক্তকারীদের শিকার হয়েছেন এবং হত্যার চেষ্টা চালানো হয়েছে আরও দুইজনের উপর। রহস্যজনকভাবে মৃত্যু হয়েছে ২৪ জনের। এছাড়া আত্মহত্যা করেছেন আরও ২৪ জন, যাদের মধ্যে দুজন আত্মহত্যায় প্ররোচিত হয়েছেন।

যৌতুক-সংক্রান্ত নির্যাতনের শিকার হয়েছেন ১২ জন নারী, যাদের মধ্যে তিনজনকে হত্যা করা হয়েছে। পারিবারিক সহিংসতায় শারীরিকভাবে নির্যাতিত হয়েছেন তিনজন। এছাড়া ৯ জন অপহরণের শিকার হয়েছেন এবং একজন নারী সাইবার অপরাধের শিকার হয়েছেন বলে জানিয়েছে মহিলা পরিষদ।

এই পরিসংখ্যান দেশে নারীর নিরাপত্তা ও মানবাধিকার পরিস্থিতির ভয়াবহ চিত্র তুলে ধরে। সংশ্লিষ্টদের মতে, এসব ঘটনা শুধুমাত্র আইনি ব্যবস্থায় ঠেকানো সম্ভব নয়; প্রয়োজন পরিবার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সমাজ ও রাষ্ট্রের সম্মিলিত ভূমিকা।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

এপ্রিল মাসে নারী ও শিশুর উপর সহিংসতা: ধর্ষণের শিকার ১১১, নিহত ৭০

আপডেট সময় ০১:৩০:২৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ৫ মে ২০২৫

 

গত এপ্রিল মাসে দেশে নারী ও মেয়েশিশুর উপর সহিংসতা উদ্বেগজনক হারে বেড়েছে। বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে দেখা যায়, শুধু এপ্রিল মাসেই ৩৩২ জন নারী ও মেয়েশিশু ধর্ষণ ও বিভিন্ন ধরনের নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। এদের মধ্যে ১১১ জন ধর্ষণের শিকার হয়েছেন এবং ৭০ জনকে হত্যা করা হয়েছে।

রোববার (৪ মে) মহিলা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানুর স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এই প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।

বিজ্ঞাপন

প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, এপ্রিল মাসে যে ৭০ জন নারী ও মেয়েশিশুকে হত্যা করা হয়েছে, তাদের মধ্যে পাঁচজনকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে। যৌতুকের দাবিতে হত্যা করা হয়েছে তিনজনকে। নিহতদের মধ্যে দুজন গৃহকর্মীও রয়েছেন। বাকি ৬০ জনকে পারিবারিক ও সামাজিক নানা কারণে হত্যা করা হয়েছে।

এছাড়া, পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে জানা যায়, এপ্রিল মাসে ২৪ জন দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। ধর্ষণের পর আত্মহত্যা করেছেন দুজন এবং ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে ২৯ জনের উপর। যৌন নিপীড়নের শিকার হয়েছেন ১২ জন নারী ও কন্যাশিশু।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, চারজন নারী উত্ত্যক্তকারীদের শিকার হয়েছেন এবং হত্যার চেষ্টা চালানো হয়েছে আরও দুইজনের উপর। রহস্যজনকভাবে মৃত্যু হয়েছে ২৪ জনের। এছাড়া আত্মহত্যা করেছেন আরও ২৪ জন, যাদের মধ্যে দুজন আত্মহত্যায় প্ররোচিত হয়েছেন।

যৌতুক-সংক্রান্ত নির্যাতনের শিকার হয়েছেন ১২ জন নারী, যাদের মধ্যে তিনজনকে হত্যা করা হয়েছে। পারিবারিক সহিংসতায় শারীরিকভাবে নির্যাতিত হয়েছেন তিনজন। এছাড়া ৯ জন অপহরণের শিকার হয়েছেন এবং একজন নারী সাইবার অপরাধের শিকার হয়েছেন বলে জানিয়েছে মহিলা পরিষদ।

এই পরিসংখ্যান দেশে নারীর নিরাপত্তা ও মানবাধিকার পরিস্থিতির ভয়াবহ চিত্র তুলে ধরে। সংশ্লিষ্টদের মতে, এসব ঘটনা শুধুমাত্র আইনি ব্যবস্থায় ঠেকানো সম্ভব নয়; প্রয়োজন পরিবার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সমাজ ও রাষ্ট্রের সম্মিলিত ভূমিকা।