০১:০২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০৫ নভেম্বর ২০২৫
শিরোনাম :
নতুন মার্কিন নিষেধাজ্ঞার পর রাশিয়ান তেল আমদানি কমাচ্ছে চীনা রিফাইনারিগুলো গ্যাস লিকেজে ভয়াবহ বিস্ফোরণ, নারীসহ দগ্ধ ৩ শীত আসছে, চলতি মাসেই বইতে পারে একাধিক শৈত্যপ্রবাহ চট্টগ্রামে মনোনয়নকে কেন্দ্র করে সহিংসতা, পদ হারালেন বিএনপির ৪ নেতা গণভোট নিয়ে দলগুলো ‘ঐকমত্যে’ পৌঁছাতে না পারলে সিদ্ধান্ত দেবে সরকার পানি ব্যবস্থাপনা নিয়ে ইরাক–তুরস্ক সমঝোতা স্মারক সই হতে যাচ্ছে আফগানিস্তানে ভূমিকম্পে নিহত বেড়ে ২০ অবিশ্বাস্য উড়ন্ত গাড়ি আনছে টেসলা, জানালেন ইলন মাস্ক এমবাপ্পের পেনাল্টি মিস দেখেই হার্ট অ্যাটাকে রিয়াল সমর্থকের মৃত্যু জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোটের কোনো সুযোগ নেই: মির্জা ফখরুল

ফ্যাসিবাদবিরোধী ঐক্যই গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার পথ: অধ্যাপক আলী রীয়াজ

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০২:১৯:২১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৫
  • / 48

ছবি সংগৃহীত

 

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেছেন, জনগণের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টায় ফ্যাসিবাদী শাসক পালাতে বাধ্য হয়েছে। তিনি বলেন, ঐক্যের চেতনাকে ধারণ করে আমাদের সামনে এগোতে হবে। এটি শুধুমাত্র আমাদের অঙ্গীকার নয়, এটি আমাদের দায়ও।

আজ রবিবার (২৭ এপ্রিল) জাতীয় সংসদের এলডি হলে গণসংহতি আন্দোলনের নেতাদের সঙ্গে আয়োজিত বৈঠকের শুরুতে এসব কথা বলেন অধ্যাপক আলী রীয়াজ।

বিজ্ঞাপন

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে দীর্ঘদিন ধরে যে পুঞ্জীভূত সংকট চলছে, তা মোকাবিলা করতে হলে শুধু সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন বাস্তবায়ন যথেষ্ট নয়। এর জন্য প্রয়োজন একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের কাঠামো গড়ে তোলা, গণতন্ত্রের চর্চা এবং গণতান্ত্রিক শক্তিগুলোর ঐক্য ধরে রাখা।

আলী রীয়াজ বলেন, জনগণের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টায় ফ্যাসিবাদী শাসককে পালাতে বাধ্য করা সম্ভব হয়েছে। এই ঐক্য বজায় রেখে, ঐক্যের চেতনাকে সামনে রেখে আমাদের অগ্রসর হতে হবে। এটি আমাদের কেবল প্রতিশ্রুতি নয়, এটি আমাদের নৈতিক দায়িত্ব।

তিনি স্মরণ করিয়ে দেন, যারা ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে জুলাই আন্দোলনে প্রাণ দিয়েছেন, যাঁরা লড়াই করেছেন, আহত-নিহত হয়েছেন, এমনকি গত ১৬ বছর ধরে জুলুম-নিপীড়নের বিরুদ্ধে যারা লড়াই চালিয়ে গেছেন এবং বিগত ৫৩ বছর ধরে যারা একটি গণতান্ত্রিক, জবাবদিহিমূলক, অংশগ্রহণমূলক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য চেষ্টা করে গেছেন, তাঁদের সকলের প্রতি আমাদের দায়িত্ব রয়েছে।

সংস্কারের বিষয়ে সংলাপের অগ্রগতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমরা অল্প হলেও কিছু অগ্রগতি অর্জন করেছি। এই অগ্রগতি ধরে রাখতে না পারলে এবং বিকশিত করতে না পারলে আমাদের সামনে থেকে সমস্ত সুযোগ হারিয়ে যাবে।

এই সুযোগ যেন হারিয়ে না যায়, সেজন্য সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন। আমরা একত্রিতভাবে এই অর্জনের জন্য কাজ করছি। এই অর্জন শুধু বর্তমান প্রজন্মের জন্য নয়, বরং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য, এবং একটি নতুন গণতান্ত্রিক ও জবাবদিহিমূলক বাংলাদেশের জন্য। অধ্যাপক আলী রীয়াজ মনে করেন, সকলের ঐকমত্যের মাধ্যমে দ্রুত একটি জাতীয় সনদ প্রণয়ন করা সম্ভব।

বৈঠকে তিনি আরও বলেন, গণসংহতি আন্দোলন প্রতিষ্ঠার সূচনালগ্ন থেকেই বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র গঠনের সংগ্রামে যুক্ত ছিল এবং নেতৃত্ব দিয়ে এসেছে।

কমিশনের প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কমিশনের সদস্য সফর রাজ হোসেন, ড. বদিউল আলম মজুমদার এবং ড. ইফতেখারুজ্জামান।

নিউজটি শেয়ার করুন

ফ্যাসিবাদবিরোধী ঐক্যই গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার পথ: অধ্যাপক আলী রীয়াজ

আপডেট সময় ০২:১৯:২১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৫

 

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেছেন, জনগণের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টায় ফ্যাসিবাদী শাসক পালাতে বাধ্য হয়েছে। তিনি বলেন, ঐক্যের চেতনাকে ধারণ করে আমাদের সামনে এগোতে হবে। এটি শুধুমাত্র আমাদের অঙ্গীকার নয়, এটি আমাদের দায়ও।

আজ রবিবার (২৭ এপ্রিল) জাতীয় সংসদের এলডি হলে গণসংহতি আন্দোলনের নেতাদের সঙ্গে আয়োজিত বৈঠকের শুরুতে এসব কথা বলেন অধ্যাপক আলী রীয়াজ।

বিজ্ঞাপন

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে দীর্ঘদিন ধরে যে পুঞ্জীভূত সংকট চলছে, তা মোকাবিলা করতে হলে শুধু সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন বাস্তবায়ন যথেষ্ট নয়। এর জন্য প্রয়োজন একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের কাঠামো গড়ে তোলা, গণতন্ত্রের চর্চা এবং গণতান্ত্রিক শক্তিগুলোর ঐক্য ধরে রাখা।

আলী রীয়াজ বলেন, জনগণের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টায় ফ্যাসিবাদী শাসককে পালাতে বাধ্য করা সম্ভব হয়েছে। এই ঐক্য বজায় রেখে, ঐক্যের চেতনাকে সামনে রেখে আমাদের অগ্রসর হতে হবে। এটি আমাদের কেবল প্রতিশ্রুতি নয়, এটি আমাদের নৈতিক দায়িত্ব।

তিনি স্মরণ করিয়ে দেন, যারা ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে জুলাই আন্দোলনে প্রাণ দিয়েছেন, যাঁরা লড়াই করেছেন, আহত-নিহত হয়েছেন, এমনকি গত ১৬ বছর ধরে জুলুম-নিপীড়নের বিরুদ্ধে যারা লড়াই চালিয়ে গেছেন এবং বিগত ৫৩ বছর ধরে যারা একটি গণতান্ত্রিক, জবাবদিহিমূলক, অংশগ্রহণমূলক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য চেষ্টা করে গেছেন, তাঁদের সকলের প্রতি আমাদের দায়িত্ব রয়েছে।

সংস্কারের বিষয়ে সংলাপের অগ্রগতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমরা অল্প হলেও কিছু অগ্রগতি অর্জন করেছি। এই অগ্রগতি ধরে রাখতে না পারলে এবং বিকশিত করতে না পারলে আমাদের সামনে থেকে সমস্ত সুযোগ হারিয়ে যাবে।

এই সুযোগ যেন হারিয়ে না যায়, সেজন্য সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন। আমরা একত্রিতভাবে এই অর্জনের জন্য কাজ করছি। এই অর্জন শুধু বর্তমান প্রজন্মের জন্য নয়, বরং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য, এবং একটি নতুন গণতান্ত্রিক ও জবাবদিহিমূলক বাংলাদেশের জন্য। অধ্যাপক আলী রীয়াজ মনে করেন, সকলের ঐকমত্যের মাধ্যমে দ্রুত একটি জাতীয় সনদ প্রণয়ন করা সম্ভব।

বৈঠকে তিনি আরও বলেন, গণসংহতি আন্দোলন প্রতিষ্ঠার সূচনালগ্ন থেকেই বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র গঠনের সংগ্রামে যুক্ত ছিল এবং নেতৃত্ব দিয়ে এসেছে।

কমিশনের প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কমিশনের সদস্য সফর রাজ হোসেন, ড. বদিউল আলম মজুমদার এবং ড. ইফতেখারুজ্জামান।