শব্দদূষণ রোধে সামাজিক আন্দোলনের ডাক, ‘লাউড কালচার’ বন্ধ: পরিবেশ উপদেষ্টা

- আপডেট সময় ০৪:৪৬:৩৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৫
- / 29
দেশব্যাপী শব্দদূষণ একটি ভয়াবহ পরিবেশগত সমস্যা হিসেবে দেখা দিয়েছে। এই দূষণ নিয়ন্ত্রণে কেবল আইন প্রয়োগ নয়, প্রয়োজন আচরণগত পরিবর্তন। এজন্য সমাজে ‘লাউড কালচার’ বা উচ্চ শব্দের সংস্কৃতির বিরুদ্ধে গণজাগরণ সৃষ্টির ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
বুধবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে পরিবেশ অধিদপ্তরের আয়োজনে শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে ‘সমন্বিত ও অংশীদারিত্বমূলক প্রকল্পের ৩য় সংশোধনীতে উপযুক্ত কার্যক্রম নির্ধারণ’ শীর্ষক পরামর্শমূলক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, “রাস্তার পাশে উঁচু গলায় কথা বলা, অপ্রয়োজনীয় হর্ন বাজানো কিংবা মাইক ব্যবহারে সীমা অতিক্রম এগুলো কেবল আইনের লঙ্ঘন নয়, বরং নৈতিক অবক্ষয়েরও নিদর্শন। এসব প্রতিরোধে আইন প্রয়োগের পাশাপাশি জনগণের সচেতনতা বৃদ্ধি অপরিহার্য।”
তিনি আরও বলেন, “বিমানবন্দর, হাসপাতাল, স্কুল-কলেজসহ ‘নিরব এলাকা’গুলোতে শব্দদূষণ বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে। মানুষকে বোঝাতে হবে শব্দদূষণ একটি নিরব সহিংসতা, যা স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতির কারণ হতে পারে।”
মোটরসাইকেল, প্রটোকল গাড়ি কিংবা ব্যক্তিগত গাড়িচালকদের উদ্দেশ্যে উপদেষ্টা বলেন, “অপ্রয়োজনীয় হর্ন কিংবা গান চালিয়ে অন্যকে বিরক্ত করা শুধু অশোভনই নয়, এটি স্বাস্থ্যঝুঁকিও তৈরি করে। এখনই শব্দদূষণের বিরুদ্ধে সামাজিক দায়িত্ব পালন করতে হবে।”
কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ ও অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) মো. খায়রুল হাসান। এছাড়া পরিবেশ অধিদপ্তরের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য, পরিবেশবাদী সংগঠন ও সিভিল সোসাইটির প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
কর্মশালায় শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ও বাস্তবভিত্তিক সুপারিশ গৃহীত হয়, যা প্রকল্পের পরবর্তী ধাপে অন্তর্ভুক্ত করা হবে।
উল্লেখ্য, শব্দদূষণ রোধে শুধু আইন নয়, সচেতনতার আলোয় সমাজকে আলোকিত করাও সময়ের দাবি। এখনই সোচ্চার না হলে ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে ভয়াবহ স্বাস্থ্যঝুঁকির মুখে পড়তে হবে।