ঢাকা ০৬:৪০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৮ জুন ২০২৫, ৪ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
সুন্দরবন রক্ষায় একটি সুনির্দিষ্ট কনক্রিট কর্মপরিকল্পনা তৈরি করা হবে: পরিবেশ উপদেষ্টা শিক্ষা ও স্বাস্থ্যই ভবিষ্যতের চাবিকাঠি: শিক্ষা উপদেষ্টা দেশীয় গবাদি পশু বিশ্বমানে উন্নীত করা সম্ভব: প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা কুষ্টিয়া-১ আসনের সাবেক এমপি গ্রেপ্তার জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে জামায়াতের অংশগ্রহণের সম্ভাবনা: প্রেসসচিব ইরানে অবস্থানরত বাংলাদেশিদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে তৎপর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় শেয়ার বাজার কারসাজি: সাকিব আল হাসানসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা শান্ত-মুশফিকের জোড়া সেঞ্চুরিতে প্রথম দিন শেষে বড় সংগ্রহের পথে টাইগাররা ডেঙ্গু তাণ্ডব অব্যাহত: ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত ২৪৪, বরিশালে সর্বোচ্চ ঐকমত্য কমিশনের আলোচনায় সব পক্ষের প্রতিনিধিত্ব নেই: এনসিপি

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সংলাপে এসেছে নতুন প্রস্তাব: আলী রীয়াজ

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৪:৩০:১৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫
  • / 17

ছবি সংগৃহীত

 

জাতীয় ঐকমত্য প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ধারাবাহিক সংলাপ চালিয়ে যাচ্ছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। সংলাপে অংশ নেওয়া দলগুলোর কাছ থেকে বেশ কিছু নতুন প্রস্তাব উঠে এসেছে বলে জানিয়েছেন কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ।

মঙ্গলবার জাতীয় সংসদের এলডি হলে বিএনপির সঙ্গে অনুষ্ঠিত সংলাপের সূচনা বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। আলী রীয়াজ জানান, এই সংলাপে উঠে আসা নতুন প্রস্তাবগুলোর বিষয়ে কমিশনের অন্যান্য সদস্য এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বিস্তারিত আলোচনা প্রয়োজন।

তিনি বলেন, “নতুন কিছু প্রস্তাব এসেছে, যেগুলো কমিশনের পক্ষ থেকেই আমাদের কাছে এসেছে। এসব নিয়ে যথাযথ মূল্যায়নের মাধ্যমে আমরা এগিয়ে যাব।”

এ দিন বেলা ১১টায় শুরু হয় বিএনপির সঙ্গে তৃতীয় দিনের সংলাপ, যা গত রবিবার স্থগিত হয়েছিল। সংলাপে সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন কমিশনের সদস্য সফর রাজ হোসেন, বিচারপতি এমদাদুল হক, ড. বদিউল আলম মজুমদার ও ড. ইফতেখারুজ্জামান।

আলী রীয়াজ আরও বলেন, “বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আমাদের আলোচনা হয়েছে। অনেক বিষয়ে আমরা ঐকমত্যে পৌঁছাতে পেরেছি, তবে কিছু ক্ষেত্রে ভিন্নমত থাকাটাও স্বাভাবিক।”

তিনি জানান, এ পর্যন্ত বিএনপিসহ মোট ১৫টি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা করেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। বাকি দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা চলমান রয়েছে।

বিএনপির সঙ্গে প্রাথমিক আলোচনা আজকের মধ্যেই শেষ হতে পারে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন আলী রীয়াজ।

তিনি বলেন, “প্রতিটি আলোচনার বিষয়বস্তু আমরা প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে অবহিত করি। তিনি আমাদের দিকনির্দেশনা দিচ্ছেন এবং সার্বিকভাবে তত্ত্বাবধান করছেন।”

জাতীয় ঐকমত্য প্রতিষ্ঠায় এই সংলাপকে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে দেখছে রাজনৈতিক মহল। কমিশন আশা করছে, সার্বিক আলোচনার মাধ্যমে একটি গ্রহণযোগ্য সমাধান খুঁজে পাওয়া সম্ভব হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সংলাপে এসেছে নতুন প্রস্তাব: আলী রীয়াজ

আপডেট সময় ০৪:৩০:১৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫

 

জাতীয় ঐকমত্য প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ধারাবাহিক সংলাপ চালিয়ে যাচ্ছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। সংলাপে অংশ নেওয়া দলগুলোর কাছ থেকে বেশ কিছু নতুন প্রস্তাব উঠে এসেছে বলে জানিয়েছেন কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ।

মঙ্গলবার জাতীয় সংসদের এলডি হলে বিএনপির সঙ্গে অনুষ্ঠিত সংলাপের সূচনা বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। আলী রীয়াজ জানান, এই সংলাপে উঠে আসা নতুন প্রস্তাবগুলোর বিষয়ে কমিশনের অন্যান্য সদস্য এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বিস্তারিত আলোচনা প্রয়োজন।

তিনি বলেন, “নতুন কিছু প্রস্তাব এসেছে, যেগুলো কমিশনের পক্ষ থেকেই আমাদের কাছে এসেছে। এসব নিয়ে যথাযথ মূল্যায়নের মাধ্যমে আমরা এগিয়ে যাব।”

এ দিন বেলা ১১টায় শুরু হয় বিএনপির সঙ্গে তৃতীয় দিনের সংলাপ, যা গত রবিবার স্থগিত হয়েছিল। সংলাপে সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন কমিশনের সদস্য সফর রাজ হোসেন, বিচারপতি এমদাদুল হক, ড. বদিউল আলম মজুমদার ও ড. ইফতেখারুজ্জামান।

আলী রীয়াজ আরও বলেন, “বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আমাদের আলোচনা হয়েছে। অনেক বিষয়ে আমরা ঐকমত্যে পৌঁছাতে পেরেছি, তবে কিছু ক্ষেত্রে ভিন্নমত থাকাটাও স্বাভাবিক।”

তিনি জানান, এ পর্যন্ত বিএনপিসহ মোট ১৫টি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা করেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। বাকি দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা চলমান রয়েছে।

বিএনপির সঙ্গে প্রাথমিক আলোচনা আজকের মধ্যেই শেষ হতে পারে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন আলী রীয়াজ।

তিনি বলেন, “প্রতিটি আলোচনার বিষয়বস্তু আমরা প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে অবহিত করি। তিনি আমাদের দিকনির্দেশনা দিচ্ছেন এবং সার্বিকভাবে তত্ত্বাবধান করছেন।”

জাতীয় ঐকমত্য প্রতিষ্ঠায় এই সংলাপকে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে দেখছে রাজনৈতিক মহল। কমিশন আশা করছে, সার্বিক আলোচনার মাধ্যমে একটি গ্রহণযোগ্য সমাধান খুঁজে পাওয়া সম্ভব হবে।