০৭:৫২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫
শিরোনাম :
শিশু সাজিদের মৃত্যু: ৫ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে লিগ্যাল নোটিশ মানুষকে ভয় দেখাতেই এসব হামলা: রিজওয়ানা আটকের পর যা বললেন গুলিতে ব্যবহৃত মোটরসাইকেলের মালিক হান্নান মোহাম্মদপুরে মা–মেয়েকে হত্যা: গৃহকর্মী আয়েশা ঝালকাঠিতে গ্রেপ্তার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হচ্ছেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ ঢাকা-১১ আসনে নির্বাচন করবেন এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম থাই–কাম্বোডিয়া সীমান্তে পুনরায় উত্তেজনা: অস্ত্রবিরতি ভেঙে বিমান হামলা, নিহত ১ সৈন্য ইসির সঙ্গে বৈঠকে জামায়াতের প্রতিনিধি দল জার্মান সেনাবাহিনী বাড়ছে: ২০৩৫ সালের মধ্যে ২,৬০,০০০ সক্রিয় সদস্যের লক্ষ্য অনুমোদন মধ্যপ্রাচ্যের কঠিনতম পানি প্রকল্প সম্পন্ন করল ইরান

বিশেষ বিসিএস এর মাধ্যমে দুই হাজার নতুন চিকিৎসক নিয়োগের ঘোষণা স্বাস্থ্য উপদেষ্টার

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৬:৩৮:২৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫
  • / 91

ছবি সংগৃহীত

 

দেশে চিকিৎসক সংকট প্রকট আকার ধারণ করেছে। বর্তমানে প্রায় আট হাজার চিকিৎসকের ঘাটতি রয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম। তিনি জানান, এই সংকট দূর করতে আগামী ১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যেই বিশেষ বিসিএসের মাধ্যমে দুই হাজার চিকিৎসক নিয়োগ দেওয়া হবে।

আজ সোমবার সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এ তথ্য দেন। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ রেলওয়ের ১০টি হাসপাতাল সাধারণ জনগণের জন্য খুলে দিতে রেলপথ মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক সই হয়। উপস্থিত ছিলেন রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান।

বিজ্ঞাপন

চুক্তি অনুযায়ী, রেলওয়ের এসব হাসপাতাল যৌথ ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত হবে এবং ধাপে ধাপে সেগুলো সাধারণ মানুষের চিকিৎসার জন্য উন্মুক্ত করা হবে। বর্তমানে রেলওয়ের অধীনে থাকা ১০টি হাসপাতালের মোট শয্যাসংখ্যা ৪৩১টি। এতদিন এসব হাসপাতাল কেবল রেলের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের জন্যই সংরক্ষিত ছিল। তবে এবার সেবার পরিধি বাড়িয়ে সাধারণ মানুষকে অন্তর্ভুক্ত করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।

চুক্তি স্বাক্ষরের পর এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের একটি প্রতিনিধি দল আগামী সপ্তাহেই রেলের হাসপাতালগুলো পরিদর্শন করবে। তারা দেখে আসবে কোথায় কোথায় অবকাঠামোগত উন্নয়ন প্রয়োজন, এবং সেই অনুযায়ী রিপোর্ট প্রদান করবে। এই প্রতিবেদনের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় সংস্কার ও উন্নয়নের উদ্যোগ নেওয়া হবে।

রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান বলেন, “স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের রিপোর্টের ভিত্তিতেই অবকাঠামো উন্নয়নের কাজ শুরু হবে।”

স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম বলেন, “এখনই রেল হাসপাতালগুলোকে সাধারণ মানুষের জন্য খুলে দেওয়া সম্ভব নয়। তবে দ্রুত সময়ের মধ্যে জনসাধারণ যেন চিকিৎসাসেবা পায়, সে লক্ষ্যেই কাজ করা হচ্ছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় একটি নীতিমালা তৈরির কাজ করছে, যার ভিত্তিতে এই হাসপাতালগুলো পরিচালনা করা হবে।”

তিনি আরও জানান, স্বল্পমেয়াদি ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার মাধ্যমে রেল হাসপাতালগুলোর চিকিৎসা ব্যবস্থাকে আরও উন্নত ও জনগণের জন্য সহজলভ্য করে তোলা হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

বিশেষ বিসিএস এর মাধ্যমে দুই হাজার নতুন চিকিৎসক নিয়োগের ঘোষণা স্বাস্থ্য উপদেষ্টার

আপডেট সময় ০৬:৩৮:২৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫

 

দেশে চিকিৎসক সংকট প্রকট আকার ধারণ করেছে। বর্তমানে প্রায় আট হাজার চিকিৎসকের ঘাটতি রয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম। তিনি জানান, এই সংকট দূর করতে আগামী ১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যেই বিশেষ বিসিএসের মাধ্যমে দুই হাজার চিকিৎসক নিয়োগ দেওয়া হবে।

আজ সোমবার সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এ তথ্য দেন। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ রেলওয়ের ১০টি হাসপাতাল সাধারণ জনগণের জন্য খুলে দিতে রেলপথ মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক সই হয়। উপস্থিত ছিলেন রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান।

বিজ্ঞাপন

চুক্তি অনুযায়ী, রেলওয়ের এসব হাসপাতাল যৌথ ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত হবে এবং ধাপে ধাপে সেগুলো সাধারণ মানুষের চিকিৎসার জন্য উন্মুক্ত করা হবে। বর্তমানে রেলওয়ের অধীনে থাকা ১০টি হাসপাতালের মোট শয্যাসংখ্যা ৪৩১টি। এতদিন এসব হাসপাতাল কেবল রেলের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের জন্যই সংরক্ষিত ছিল। তবে এবার সেবার পরিধি বাড়িয়ে সাধারণ মানুষকে অন্তর্ভুক্ত করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।

চুক্তি স্বাক্ষরের পর এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের একটি প্রতিনিধি দল আগামী সপ্তাহেই রেলের হাসপাতালগুলো পরিদর্শন করবে। তারা দেখে আসবে কোথায় কোথায় অবকাঠামোগত উন্নয়ন প্রয়োজন, এবং সেই অনুযায়ী রিপোর্ট প্রদান করবে। এই প্রতিবেদনের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় সংস্কার ও উন্নয়নের উদ্যোগ নেওয়া হবে।

রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান বলেন, “স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের রিপোর্টের ভিত্তিতেই অবকাঠামো উন্নয়নের কাজ শুরু হবে।”

স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম বলেন, “এখনই রেল হাসপাতালগুলোকে সাধারণ মানুষের জন্য খুলে দেওয়া সম্ভব নয়। তবে দ্রুত সময়ের মধ্যে জনসাধারণ যেন চিকিৎসাসেবা পায়, সে লক্ষ্যেই কাজ করা হচ্ছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় একটি নীতিমালা তৈরির কাজ করছে, যার ভিত্তিতে এই হাসপাতালগুলো পরিচালনা করা হবে।”

তিনি আরও জানান, স্বল্পমেয়াদি ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার মাধ্যমে রেল হাসপাতালগুলোর চিকিৎসা ব্যবস্থাকে আরও উন্নত ও জনগণের জন্য সহজলভ্য করে তোলা হবে।