১২:২৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৫
শিরোনাম :
মোহাম্মদপুরে মা–মেয়েকে হত্যা: গৃহকর্মী আয়েশা ঝালকাঠিতে গ্রেপ্তার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হচ্ছেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ ঢাকা-১১ আসনে নির্বাচন করবেন এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম থাই–কাম্বোডিয়া সীমান্তে পুনরায় উত্তেজনা: অস্ত্রবিরতি ভেঙে বিমান হামলা, নিহত ১ সৈন্য ইসির সঙ্গে বৈঠকে জামায়াতের প্রতিনিধি দল জার্মান সেনাবাহিনী বাড়ছে: ২০৩৫ সালের মধ্যে ২,৬০,০০০ সক্রিয় সদস্যের লক্ষ্য অনুমোদন মধ্যপ্রাচ্যের কঠিনতম পানি প্রকল্প সম্পন্ন করল ইরান ফিনল্যান্ডে ডাটা সেন্টারের নির্গত  তাপে গরম হচ্ছে পুরো শহর চীন কোয়ান্টাম কম্পিউটারে সফলতা পেলে যুক্তরাষ্ট্রকে এক নিমেষে প্রস্তরযুগে পাঠিয়ে দেবে যুক্তরাষ্ট্রের F-35 যুদ্ধবিমান প্রকল্পে ফিরে আসার বিষয়ে আরো একধাপ এগিয়ে গেল তুরস্ক: এমনটাই জানিয়েছেন তুরস্কে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত টম ব্যারাক।

ঢাকায় এসে আমি খুশি: পাকিস্তানের পররাষ্ট্র সচিব

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৭:৩৮:২২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৫
  • / 75

ছবি সংগৃহীত

 

ঢাকায় পৌঁছে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন পাকিস্তানের পররাষ্ট্র সচিব আমনা বালুচ। বুধবার (১৭ এপ্রিল) বিকেলে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে তিনি বলেন, “ঢাকায় এসে আমি খুশি।” সফরের শুরুতেই তার এ মন্তব্য দুই দেশের মধ্যকার কূটনৈতিক সম্পর্কে ইতিবাচক ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

এর আগে বুধবার দুপুরে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছান আমনা বালুচ। তাকে স্বাগত জানান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দক্ষিণ এশিয়া অনুবিভাগের মহাপরিচালক ইশরাত জাহান।

বিজ্ঞাপন

বাংলাদেশে সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিবর্তনের পর ঢাকা ও ইসলামাবাদের মধ্যকার কিছুটা স্থবির দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক নতুন করে গতি পাচ্ছে। এ প্রেক্ষাপটে প্রায় ১৫ বছর পর ঢাকায় অনুষ্ঠিত হলো বাংলাদেশ–পাকিস্তান পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের বৈঠক। বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে দুই দেশের সম্পর্কের উন্নয়ন, বাণিজ্য ও পারস্পরিক সহযোগিতার নানা দিক নিয়ে আলোচনা হয়।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী চলতি এপ্রিল মাসের শেষদিকে ঢাকা সফর করতে পারেন। তার সেই সফরকে ঘিরে আলোচনার এ সফরকে প্রস্তুতিমূলক ধাপ হিসেবেই দেখা হচ্ছে। সফরকালীন বিভিন্ন ইস্যু, বিশেষ করে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা নিয়ে আলোচনা হতে পারে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দক্ষিণ এশিয়ার ভূরাজনৈতিক বাস্তবতায় বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে একটি কার্যকর ও গঠনমূলক সম্পর্ক গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে। অতীতের কিছু অমীমাংসিত বিষয় থাকা সত্ত্বেও সময়ের প্রেক্ষাপটে বাস্তবমুখী ও ভবিষ্যতমুখী কূটনৈতিক অবস্থান গ্রহণের দিকে ঝুঁকছে উভয় দেশ। দুই পক্ষই পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও সহানুভূতির ভিত্তিতে সম্পর্ক জোরদারে আগ্রহী।

এ সফর ও বৈঠকগুলোর মাধ্যমে দীর্ঘদিনের বন্ধ দ্বার খুলে দুই দেশের কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক নতুন রূপ পেতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ঢাকায় এসে আমি খুশি: পাকিস্তানের পররাষ্ট্র সচিব

আপডেট সময় ০৭:৩৮:২২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৫

 

ঢাকায় পৌঁছে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন পাকিস্তানের পররাষ্ট্র সচিব আমনা বালুচ। বুধবার (১৭ এপ্রিল) বিকেলে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে তিনি বলেন, “ঢাকায় এসে আমি খুশি।” সফরের শুরুতেই তার এ মন্তব্য দুই দেশের মধ্যকার কূটনৈতিক সম্পর্কে ইতিবাচক ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

এর আগে বুধবার দুপুরে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছান আমনা বালুচ। তাকে স্বাগত জানান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দক্ষিণ এশিয়া অনুবিভাগের মহাপরিচালক ইশরাত জাহান।

বিজ্ঞাপন

বাংলাদেশে সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিবর্তনের পর ঢাকা ও ইসলামাবাদের মধ্যকার কিছুটা স্থবির দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক নতুন করে গতি পাচ্ছে। এ প্রেক্ষাপটে প্রায় ১৫ বছর পর ঢাকায় অনুষ্ঠিত হলো বাংলাদেশ–পাকিস্তান পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের বৈঠক। বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে দুই দেশের সম্পর্কের উন্নয়ন, বাণিজ্য ও পারস্পরিক সহযোগিতার নানা দিক নিয়ে আলোচনা হয়।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী চলতি এপ্রিল মাসের শেষদিকে ঢাকা সফর করতে পারেন। তার সেই সফরকে ঘিরে আলোচনার এ সফরকে প্রস্তুতিমূলক ধাপ হিসেবেই দেখা হচ্ছে। সফরকালীন বিভিন্ন ইস্যু, বিশেষ করে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা নিয়ে আলোচনা হতে পারে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দক্ষিণ এশিয়ার ভূরাজনৈতিক বাস্তবতায় বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে একটি কার্যকর ও গঠনমূলক সম্পর্ক গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে। অতীতের কিছু অমীমাংসিত বিষয় থাকা সত্ত্বেও সময়ের প্রেক্ষাপটে বাস্তবমুখী ও ভবিষ্যতমুখী কূটনৈতিক অবস্থান গ্রহণের দিকে ঝুঁকছে উভয় দেশ। দুই পক্ষই পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও সহানুভূতির ভিত্তিতে সম্পর্ক জোরদারে আগ্রহী।

এ সফর ও বৈঠকগুলোর মাধ্যমে দীর্ঘদিনের বন্ধ দ্বার খুলে দুই দেশের কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক নতুন রূপ পেতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে।