ঢাকা ০১:৩২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
শিল্প রোবট ব্যবহারে বিশ্বে শীর্ষে চীন, উত্থানে ভারত ও তুরস্ক ১৪ ঘণ্টা পর মিলল নিখোঁজ শিশুর নিথর দেহ নাইজেরিয়ার বেনু রাজ্যে সশস্ত্র হামলায় ১৭ জন নিহত দেশের ৯ অঞ্চলে নদীবন্দরে সতর্কসংকেত, কালবৈশাখীর সম্ভাবনা ইউরেনিয়াম মজুদের বিষয়ে কোনো ছাড় নয়, যুক্তরাষ্ট্রকে ইরানের সতর্কবার্তা শেখ হাসিনাসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলে রেড নোটিশের আবেদন ইসরায়েলের বেন গুরিয়নের বিমানবন্দরের কাছে হুথিদের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের আজ সারাদেশে ‘রাইজ ইন রেড’ কর্মসূচি যুক্তরাষ্ট্রে শিক্ষার্থীদের এফ-১ ভিসা বাতিল, অর্ধেক ভারতীয় নাগরিক কঙ্গোর কঙ্গো নদীতে ভয়াবহ নৌকাবিপর্যয়ে ১৪৩ মরদেহ উদ্ধার, নিখোঁজ বহু

ঢাকায় এসে আমি খুশি: পাকিস্তানের পররাষ্ট্র সচিব

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৭:৩৮:২২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৫
  • / ৫০৫ বার পড়া হয়েছে

ছবি সংগৃহীত

 

ঢাকায় পৌঁছে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন পাকিস্তানের পররাষ্ট্র সচিব আমনা বালুচ। বুধবার (১৭ এপ্রিল) বিকেলে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে তিনি বলেন, “ঢাকায় এসে আমি খুশি।” সফরের শুরুতেই তার এ মন্তব্য দুই দেশের মধ্যকার কূটনৈতিক সম্পর্কে ইতিবাচক ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

এর আগে বুধবার দুপুরে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছান আমনা বালুচ। তাকে স্বাগত জানান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দক্ষিণ এশিয়া অনুবিভাগের মহাপরিচালক ইশরাত জাহান।

বাংলাদেশে সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিবর্তনের পর ঢাকা ও ইসলামাবাদের মধ্যকার কিছুটা স্থবির দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক নতুন করে গতি পাচ্ছে। এ প্রেক্ষাপটে প্রায় ১৫ বছর পর ঢাকায় অনুষ্ঠিত হলো বাংলাদেশ–পাকিস্তান পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের বৈঠক। বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে দুই দেশের সম্পর্কের উন্নয়ন, বাণিজ্য ও পারস্পরিক সহযোগিতার নানা দিক নিয়ে আলোচনা হয়।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী চলতি এপ্রিল মাসের শেষদিকে ঢাকা সফর করতে পারেন। তার সেই সফরকে ঘিরে আলোচনার এ সফরকে প্রস্তুতিমূলক ধাপ হিসেবেই দেখা হচ্ছে। সফরকালীন বিভিন্ন ইস্যু, বিশেষ করে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা নিয়ে আলোচনা হতে পারে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দক্ষিণ এশিয়ার ভূরাজনৈতিক বাস্তবতায় বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে একটি কার্যকর ও গঠনমূলক সম্পর্ক গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে। অতীতের কিছু অমীমাংসিত বিষয় থাকা সত্ত্বেও সময়ের প্রেক্ষাপটে বাস্তবমুখী ও ভবিষ্যতমুখী কূটনৈতিক অবস্থান গ্রহণের দিকে ঝুঁকছে উভয় দেশ। দুই পক্ষই পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও সহানুভূতির ভিত্তিতে সম্পর্ক জোরদারে আগ্রহী।

এ সফর ও বৈঠকগুলোর মাধ্যমে দীর্ঘদিনের বন্ধ দ্বার খুলে দুই দেশের কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক নতুন রূপ পেতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ঢাকায় এসে আমি খুশি: পাকিস্তানের পররাষ্ট্র সচিব

আপডেট সময় ০৭:৩৮:২২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৫

 

ঢাকায় পৌঁছে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন পাকিস্তানের পররাষ্ট্র সচিব আমনা বালুচ। বুধবার (১৭ এপ্রিল) বিকেলে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে তিনি বলেন, “ঢাকায় এসে আমি খুশি।” সফরের শুরুতেই তার এ মন্তব্য দুই দেশের মধ্যকার কূটনৈতিক সম্পর্কে ইতিবাচক ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

এর আগে বুধবার দুপুরে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছান আমনা বালুচ। তাকে স্বাগত জানান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দক্ষিণ এশিয়া অনুবিভাগের মহাপরিচালক ইশরাত জাহান।

বাংলাদেশে সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিবর্তনের পর ঢাকা ও ইসলামাবাদের মধ্যকার কিছুটা স্থবির দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক নতুন করে গতি পাচ্ছে। এ প্রেক্ষাপটে প্রায় ১৫ বছর পর ঢাকায় অনুষ্ঠিত হলো বাংলাদেশ–পাকিস্তান পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের বৈঠক। বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে দুই দেশের সম্পর্কের উন্নয়ন, বাণিজ্য ও পারস্পরিক সহযোগিতার নানা দিক নিয়ে আলোচনা হয়।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী চলতি এপ্রিল মাসের শেষদিকে ঢাকা সফর করতে পারেন। তার সেই সফরকে ঘিরে আলোচনার এ সফরকে প্রস্তুতিমূলক ধাপ হিসেবেই দেখা হচ্ছে। সফরকালীন বিভিন্ন ইস্যু, বিশেষ করে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা নিয়ে আলোচনা হতে পারে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দক্ষিণ এশিয়ার ভূরাজনৈতিক বাস্তবতায় বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে একটি কার্যকর ও গঠনমূলক সম্পর্ক গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে। অতীতের কিছু অমীমাংসিত বিষয় থাকা সত্ত্বেও সময়ের প্রেক্ষাপটে বাস্তবমুখী ও ভবিষ্যতমুখী কূটনৈতিক অবস্থান গ্রহণের দিকে ঝুঁকছে উভয় দেশ। দুই পক্ষই পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও সহানুভূতির ভিত্তিতে সম্পর্ক জোরদারে আগ্রহী।

এ সফর ও বৈঠকগুলোর মাধ্যমে দীর্ঘদিনের বন্ধ দ্বার খুলে দুই দেশের কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক নতুন রূপ পেতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে।