ঢাকা ০৬:৪২ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৭ জুন ২০২৫, ২৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
ষাটগম্বুজ মসজিদে ঈদুল আজহার প্রধান জামাত সম্পন্ন : মুসল্লিদের উপচে পড়া ভিড় ডিসেম্বরে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রস্তাব পুনর্ব্যক্ত করলো বিএনপি ঈদের দিনেও গাজায় রক্তক্ষরণ: ইসরায়েলি হামলায় ৪২ ফিলিস্তিনি নিহত জাতীয় নির্বাচন ২০২৬ সালের এপ্রিলের প্রথমার্ধে অনুষ্ঠিত হবে: প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস পবিত্র ঈদুল আযহায় স্বাস্থ্যসচেতনতা: সুস্থ থাকুন, নিরাপদে ঈদ করুন আর্জেন্টিনার জয় চিলিতে, গোল আলভারেজের ঈদুল আজহা উপলক্ষে ওমানে ৬৪৫ কারাবন্দিকে ক্ষমা দিলেন সুলতান হাইথাম দুবাইয়ে ঈদুল আজহার নামাজ সম্পন্ন, ঈদগাহে মুসল্লিদের ঢল বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৬ বিলিয়ন ডলারে ফের অন্তঃসত্ত্বা ‘দৃশ্যম’ অভিনেত্রী ঈশিতা দত্ত, প্রকাশ্যে বেবি বাম্প

শীর্ষক বৈঠকে ১৫ বছর পর মুখোমুখি বাংলাদেশ-পাকিস্তান

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১১:১৪:৫০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৫
  • / 17

ছবি সংগৃহীত

 

দীর্ঘ ১৫ বছরের বিরতির পর আবারও মুখোমুখি হচ্ছে বাংলাদেশ ও পাকিস্তান। বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বহুল প্রতীক্ষিত পররাষ্ট্র দপ্তর পরামর্শ (এফওসি) বৈঠক।

এই বৈঠকে বাংলাদেশের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেবেন পররাষ্ট্র সচিব মো. জসিম উদ্দিন। পাকিস্তানের পক্ষে থাকবেন দেশটির পররাষ্ট্র সচিব আমনা বালুচ, যিনি বৈঠকের একদিন আগেই বুধবার ঢাকায় পৌঁছাবেন।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, দীর্ঘ সময় পর দুই দেশের মধ্যে যে কূটনৈতিক সংলাপ শুরু হতে যাচ্ছে, তা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হয়ে উঠতে পারে।

বৈঠকে মূলত পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়াদি, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ভবিষ্যৎ দিকনির্দেশনা, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপটে পারস্পরিক সহযোগিতা, এবং কনস্যুলার ও বাণিজ্যিক বিষয়ে আলোচনা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

পাকিস্তানের পররাষ্ট্র সচিব আমনা বালুচ বৈঠক শেষে বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন বলে জানানো হয়েছে।

এদিকে কূটনৈতিক সূত্রে জানা গেছে, চলতি এপ্রিল মাসের শেষ সপ্তাহে পাকিস্তানের উপ-প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার ঢাকা সফরে আসতে পারেন। এই সফরটি বাস্তবায়িত হলে ২০১২ সালের পর এটিই হবে কোনো পাকিস্তানি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রথম বাংলাদেশ সফর। তবে এখনো তার আগমন তারিখ চূড়ান্ত হয়নি।

উল্লেখ্য, সর্বশেষ বাংলাদেশ-পাকিস্তান এফওসি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছিল ২০১০ সালে। এরপর দীর্ঘ সময় দুই দেশের মধ্যে উচ্চপর্যায়ের কূটনৈতিক সংলাপ বন্ধ ছিল। এমন প্রেক্ষাপটে এবারের বৈঠককে ঘিরে কূটনৈতিক মহলে ব্যাপক আগ্রহ দেখা দিয়েছে।

বলা চলে, দক্ষিণ এশিয়ার দুই গুরুত্বপূর্ণ দেশের মধ্যে সম্পর্কের নতুন দিগন্ত উন্মোচনের আশায় এগোচ্ছে এই বৈঠক। অনেকেই মনে করছেন, পুরনো জটিলতা দূর করে পারস্পরিক বোঝাপড়ার নতুন পথ তৈরি হতে পারে এই সংলাপের মধ্য দিয়ে।

নিউজটি শেয়ার করুন

শীর্ষক বৈঠকে ১৫ বছর পর মুখোমুখি বাংলাদেশ-পাকিস্তান

আপডেট সময় ১১:১৪:৫০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৫

 

দীর্ঘ ১৫ বছরের বিরতির পর আবারও মুখোমুখি হচ্ছে বাংলাদেশ ও পাকিস্তান। বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বহুল প্রতীক্ষিত পররাষ্ট্র দপ্তর পরামর্শ (এফওসি) বৈঠক।

এই বৈঠকে বাংলাদেশের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেবেন পররাষ্ট্র সচিব মো. জসিম উদ্দিন। পাকিস্তানের পক্ষে থাকবেন দেশটির পররাষ্ট্র সচিব আমনা বালুচ, যিনি বৈঠকের একদিন আগেই বুধবার ঢাকায় পৌঁছাবেন।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, দীর্ঘ সময় পর দুই দেশের মধ্যে যে কূটনৈতিক সংলাপ শুরু হতে যাচ্ছে, তা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হয়ে উঠতে পারে।

বৈঠকে মূলত পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়াদি, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ভবিষ্যৎ দিকনির্দেশনা, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপটে পারস্পরিক সহযোগিতা, এবং কনস্যুলার ও বাণিজ্যিক বিষয়ে আলোচনা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

পাকিস্তানের পররাষ্ট্র সচিব আমনা বালুচ বৈঠক শেষে বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন বলে জানানো হয়েছে।

এদিকে কূটনৈতিক সূত্রে জানা গেছে, চলতি এপ্রিল মাসের শেষ সপ্তাহে পাকিস্তানের উপ-প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার ঢাকা সফরে আসতে পারেন। এই সফরটি বাস্তবায়িত হলে ২০১২ সালের পর এটিই হবে কোনো পাকিস্তানি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রথম বাংলাদেশ সফর। তবে এখনো তার আগমন তারিখ চূড়ান্ত হয়নি।

উল্লেখ্য, সর্বশেষ বাংলাদেশ-পাকিস্তান এফওসি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছিল ২০১০ সালে। এরপর দীর্ঘ সময় দুই দেশের মধ্যে উচ্চপর্যায়ের কূটনৈতিক সংলাপ বন্ধ ছিল। এমন প্রেক্ষাপটে এবারের বৈঠককে ঘিরে কূটনৈতিক মহলে ব্যাপক আগ্রহ দেখা দিয়েছে।

বলা চলে, দক্ষিণ এশিয়ার দুই গুরুত্বপূর্ণ দেশের মধ্যে সম্পর্কের নতুন দিগন্ত উন্মোচনের আশায় এগোচ্ছে এই বৈঠক। অনেকেই মনে করছেন, পুরনো জটিলতা দূর করে পারস্পরিক বোঝাপড়ার নতুন পথ তৈরি হতে পারে এই সংলাপের মধ্য দিয়ে।