অনেক সময় নীরবতা সোনার চেয়েও দামি হয়ে ওঠে: প্রেস সচিব

- আপডেট সময় ১০:২৮:৪৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ এপ্রিল ২০২৫
- / 39
বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট সামিটে একটি অনন্য মুহূর্ত সৃষ্টি হয় যখন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনুস ১৯৭৪ সালের দুর্ভিক্ষ স্মরণ করে আবেগে বিহ্বল হয়ে পড়েন। সামিটে তাঁর বক্তৃতার সময় হঠাৎ করে প্রায় এক মিনিট তিনি নীরব ছিলেন এই নীরবতা পরিণত হয় বক্তব্যের সবচেয়ে অর্থবহ অংশে।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বৃহস্পতিবার সকালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া এক পোস্টে এ প্রসঙ্গে বলেন, “নীরবতা অনেক সময় শব্দের চেয়েও শক্তিশালী। গতকাল সামিটে ড. ইউনুস যখন দুর্ভিক্ষকালীন স্মৃতি তুলে ধরছিলেন, তিনি এতটাই আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন যে কিছু সময় নীরব থেকে নিজেকে সামলে নেন।”
তিনি জানান, বক্তৃতার ভিডিওটি প্রধান উপদেষ্টার অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে আপলোড করার সময় টিম লক্ষ্য করে, সেই এক মিনিটের নীরব অংশটি ভিডিও এডিটিংয়ের সময় বাদ পড়েছে। ভিডিও সম্পাদনায় নিয়োজিত ব্যক্তি সম্ভবত বক্তব্যের ধারাবাহিকতা রক্ষায় এই অংশটি কেটে দেন, কিন্তু তাতে হারিয়ে যায় বক্তব্যের হৃদয়স্পর্শী মুহূর্তটি।
“আমরা বুঝি, তিনি হয়তো জানতেন না এই নীরবতাই ছিল বক্তৃতার প্রকৃত শক্তি,” বলেন প্রেস সচিব। “সব অনুভূতির ভাষা থাকে না, কিছু অনুভব শুধু নীরবতাতেই গভীরভাবে প্রকাশ পায়।”
শফিকুল আলম আরও লেখেন, “প্রায়ই নীরবতা হয়ে ওঠে সবচেয়ে সত্য ভাষা বিশেষত যখন আমরা স্মরণ করি জীবনের কষ্টময় অধ্যায়, কোনো না বলা যন্ত্রণা কিংবা এক গভীর বেদনার অনুভব। অনেক কিছুই আছে যা মুখে বলা যায় না, কিন্তু তা নিঃশব্দে বলা যায় চোখের ভাষায়, এক মুহূর্ত থেমে যাওয়া দৃষ্টিতে।”
তিনি উল্লেখ করেন, “নীরবতা সোনার চেয়েও দামি হতে পারে, আবার তা অসহনীয়ও হতে পারে। তবে তার ভেতরেই লুকিয়ে থাকে এক শক্তিশালী প্রকাশভঙ্গি, যা শব্দের সীমা ছাড়িয়ে যায়।”
ড. ইউনুসের সেই এক মিনিটের নীরবতা হয়তো কোনো কিছু না বলেই বলে গেছে অনেক কিছু। বক্তৃতার প্রতিটি শব্দের আগে এই নীরবতার অভিঘাত আজ সামাজিক মাধ্যমে আলোচনার কেন্দ্রে। এই মুহূর্তটি শুধু একটি বক্তৃতা নয়, বরং আবেগ, স্মৃতি এবং মানুষের গভীরতাকে ছুঁয়ে যাওয়া এক নিঃশব্দ প্রতিধ্বনি।