ঢাকা ০৪:১২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ অগাস্ট ২০২৫, ৩০ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
নির্বাচন করলে তফসিলের আগেই উপদেষ্টার পদ ছেড়ে দেব: আসিফ মাহমুদ রাজনীতি থেকে মাইনাস হবে, যারা নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করবে: সালাহউদ্দিন ইউক্রেন যুদ্ধ সমাধানে ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীর মডেলের প্রস্তাব ডিএমপি আবারো রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করেছে যান চলাচল বন্ধ, যমুনা সেতুতে শিক্ষার্থীদের ব্লকেড ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ৩ ইউক্রেনের ক্ষেপণাস্ত্র কারখানায় রাশিয়ার হামলা নির্বাচন ফেব্রুয়ারি মাস যেন ক্রস না করে : শামসুজ্জামান দুদু ভোলাগঞ্জে সাদা পাথর লুট: দায়ীদের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিট, শুনানি ১৭ আগস্ট ত্রিদেশীয় জয় শেষে ইংল্যান্ড সফরে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব–১৯ দল
ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা

সীমান্ত নিরাপত্তায় কড়াকড়ি, পুলিশ সুপারদের সতর্ক থাকার বার্তা আইজিপির

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৬:৫৬:৫৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ৭ মে ২০২৫
  • / 39

ছবি: সংগৃহীত

 

ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যকার চলমান সংঘাতকে কেন্দ্র করে দেশের সীমান্তবর্তী জেলাগুলোর নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল ইসলাম নির্দেশ দিয়েছেন, এসব জেলার পুলিশ সুপারদের (এসপি) সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে থাকতে।

বুধবার (৭ মে) রাজধানীর গুলশানে বাংলাদেশ শুটিং স্পোর্টস ফেডারেশনে ‘বাংলাদেশ পুলিশ বার্ষিক শুটিং প্রতিযোগিতা ও আইজিপি কাপ-২০২৪’-এর চূড়ান্ত পর্ব শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে আইজিপি এ কথা জানান।

তিনি বলেন, “ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যে সংঘাত চলছে, তা যেন কোনোভাবে বাংলাদেশের নিরাপত্তাকে বিঘ্নিত না করে, সেজন্য সীমান্তবর্তী জেলাগুলোর পুলিশ সুপারদের বিশেষভাবে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। আমরা চাই না কোনো জঙ্গি বা সন্ত্রাসী এই সুযোগে বাংলাদেশে প্রবেশ করুক।”

তিনি আরও জানান, গোয়েন্দা সংস্থাগুলোকেও এ বিষয়ে অতিরিক্ত নজরদারির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, যাতে সীমান্ত দিয়ে অবৈধ অনুপ্রবেশ বা সন্ত্রাসী তৎপরতা রোধ করা যায়।

এদিকে ভারত-পাকিস্তান পরিস্থিতি নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ সরকার। বুধবার দুপুরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, ঢাকা দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে উত্তেজনা গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। একইসঙ্গে শান্তিপূর্ণ উপায়ে সংকট মোকাবিলার জন্য ভারত ও পাকিস্তানকে কূটনৈতিক আলোচনার মাধ্যমে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার আহ্বান জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আঞ্চলিক শান্তি, স্থিতিশীলতা এবং সমৃদ্ধি রক্ষার স্বার্থে এমন কোনো পদক্ষেপ নেওয়া উচিত নয় যা পরিস্থিতিকে আরও ঘোলাটে করে তোলে। সরকার আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেছে, শেষ পর্যন্ত এই অঞ্চলের জনগণের স্বার্থে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় থাকবে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এ বিবৃতি এবং পুলিশের নিরাপত্তামূলক পদক্ষেপ উভয়ই প্রমাণ করে, বাংলাদেশ এ ধরনের আন্তর্জাতিক উত্তেজনাকে যথেষ্ট গুরুত্বের সঙ্গে দেখছে এবং দেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।

নিউজটি শেয়ার করুন

ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা

সীমান্ত নিরাপত্তায় কড়াকড়ি, পুলিশ সুপারদের সতর্ক থাকার বার্তা আইজিপির

আপডেট সময় ০৬:৫৬:৫৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ৭ মে ২০২৫

 

ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যকার চলমান সংঘাতকে কেন্দ্র করে দেশের সীমান্তবর্তী জেলাগুলোর নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল ইসলাম নির্দেশ দিয়েছেন, এসব জেলার পুলিশ সুপারদের (এসপি) সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে থাকতে।

বুধবার (৭ মে) রাজধানীর গুলশানে বাংলাদেশ শুটিং স্পোর্টস ফেডারেশনে ‘বাংলাদেশ পুলিশ বার্ষিক শুটিং প্রতিযোগিতা ও আইজিপি কাপ-২০২৪’-এর চূড়ান্ত পর্ব শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে আইজিপি এ কথা জানান।

তিনি বলেন, “ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যে সংঘাত চলছে, তা যেন কোনোভাবে বাংলাদেশের নিরাপত্তাকে বিঘ্নিত না করে, সেজন্য সীমান্তবর্তী জেলাগুলোর পুলিশ সুপারদের বিশেষভাবে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। আমরা চাই না কোনো জঙ্গি বা সন্ত্রাসী এই সুযোগে বাংলাদেশে প্রবেশ করুক।”

তিনি আরও জানান, গোয়েন্দা সংস্থাগুলোকেও এ বিষয়ে অতিরিক্ত নজরদারির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, যাতে সীমান্ত দিয়ে অবৈধ অনুপ্রবেশ বা সন্ত্রাসী তৎপরতা রোধ করা যায়।

এদিকে ভারত-পাকিস্তান পরিস্থিতি নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ সরকার। বুধবার দুপুরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, ঢাকা দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে উত্তেজনা গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। একইসঙ্গে শান্তিপূর্ণ উপায়ে সংকট মোকাবিলার জন্য ভারত ও পাকিস্তানকে কূটনৈতিক আলোচনার মাধ্যমে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার আহ্বান জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আঞ্চলিক শান্তি, স্থিতিশীলতা এবং সমৃদ্ধি রক্ষার স্বার্থে এমন কোনো পদক্ষেপ নেওয়া উচিত নয় যা পরিস্থিতিকে আরও ঘোলাটে করে তোলে। সরকার আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেছে, শেষ পর্যন্ত এই অঞ্চলের জনগণের স্বার্থে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় থাকবে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এ বিবৃতি এবং পুলিশের নিরাপত্তামূলক পদক্ষেপ উভয়ই প্রমাণ করে, বাংলাদেশ এ ধরনের আন্তর্জাতিক উত্তেজনাকে যথেষ্ট গুরুত্বের সঙ্গে দেখছে এবং দেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।