ঢাকা ১২:১০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৯ জুন ২০২৫, ১৪ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
জন্মদিনে ফুলেল শুভেচ্ছায় সিক্ত ড. মুহাম্মদ ইউনূস, তারেক রহমানের অভিনন্দন থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ, সড়কে জনতার ঢল করোনায় আরও দুজনের মৃত্যু, ২৪ ঘণ্টায় নতুন শনাক্ত ৭ জন শিক্ষা সমাজ ও রাষ্ট্রের উপযোগী মানুষ গড়ে তোলে : প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা পরিবেশই নয়, অর্থনীতি ও জীববৈচিত্র্যও টিকিয়ে রাখতে বন নিরাপত্তার অন্যতম ভিত্তি: রিজওয়ানা জোটবদ্ধ ইসলামি দলই আগামী দিনে দেশের প্রধান রাজনৈতিক শক্তি হয়ে উঠবে: চরমোনাই পীর কুষ্টিয়ার দৌলতপুর সীমান্তে বিজিবির ৯ কোটি টাকার এলএসডি ও ফেনসিডিল উদ্ধার গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে দুই বছরের শিশুর মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ২৬২ জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে জামায়াতের ৩৬ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা বিশেষ অভিযানে ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে গ্রেফতার ১,৫৪০ জন

প্রথম ধাপে ১ লাখ ৮০ হাজার রোহিঙ্গাকে ফিরিয়ে নিতে সম্মত হয়েছে মিয়ানমার

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০২:৩৪:০৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ৫ এপ্রিল ২০২৫
  • / 30

ছবি: সংগৃহীত

 

বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া প্রায় আট লাখ রোহিঙ্গার মধ্যে এক লাখ ৮০ হাজারকে প্রথম ধাপে ফিরিয়ে নিতে সম্মত হয়েছে মিয়ানমার সরকার।

শুক্রবার সন্ধ্যায় প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়। থাইল্যান্ডের ব্যাংককে ষষ্ঠ বিমস্টেক শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টার উচ্চ প্রতিনিধি ড. খলিলুর রহমান এবং মিয়ানমারের উপ-প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইউ থান শোয়ের মধ্যে অনুষ্ঠিত এক দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে এ বিষয়ে আলোচনা হয়।

বৈঠকে মিয়ানমারের পক্ষ থেকে জানানো হয়, তারা ইতোমধ্যে বাংলাদেশে অবস্থানরত রোহিঙ্গাদের তালিকা থেকে এক লাখ ৮০ হাজার জনকে মিয়ানমারে ফেরত নেয়ার জন্য উপযুক্ত বলে চিহ্নিত করেছে।

উল্লেখযোগ্য যে, ২০১৮ সাল থেকে ২০২০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ ধাপে ধাপে মোট ছয়টি তালিকা মিয়ানমারকে হস্তান্তর করে। এই প্রক্রিয়ায় এখনো আরও ৭০ হাজার রোহিঙ্গার যাচাই-বাছাই চলছে, যাদের পরিচয় নিশ্চিত করার জন্য ছবি ও নাম ভিত্তিক ভেরিফিকেশন কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। যাচাই শেষে এদের প্রত্যাবর্তনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।

বাংলাদেশ দীর্ঘদিন ধরেই রোহিঙ্গা সংকটের টেকসই ও শান্তিপূর্ণ সমাধানের জন্য আন্তর্জাতিক অঙ্গনে জোরালো কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা ও রাষ্ট্রের সহায়তায় বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে কক্সবাজার এবং ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের জন্য মানবিক সহায়তা ও নিরাপদ আশ্রয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

বিশ্লেষকদের মতে, মিয়ানমারের এই সদিচ্ছার বার্তা রোহিঙ্গা সংকট সমাধানের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। তবে প্রত্যাবর্তন প্রক্রিয়া বাস্তবায়নে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর কার্যকর ভূমিকা এবং নিরাপত্তার নিশ্চয়তা রক্ষা করা হবে কিনা, সেটিই এখন মূল প্রশ্ন।

এই প্রক্রিয়া সফল হলে দুই দেশের মধ্যকার সম্পর্কও নতুন গতিপথে প্রবাহিত হতে পারে বলে মনে করছেন কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা।

নিউজটি শেয়ার করুন

প্রথম ধাপে ১ লাখ ৮০ হাজার রোহিঙ্গাকে ফিরিয়ে নিতে সম্মত হয়েছে মিয়ানমার

আপডেট সময় ০২:৩৪:০৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ৫ এপ্রিল ২০২৫

 

বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া প্রায় আট লাখ রোহিঙ্গার মধ্যে এক লাখ ৮০ হাজারকে প্রথম ধাপে ফিরিয়ে নিতে সম্মত হয়েছে মিয়ানমার সরকার।

শুক্রবার সন্ধ্যায় প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়। থাইল্যান্ডের ব্যাংককে ষষ্ঠ বিমস্টেক শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টার উচ্চ প্রতিনিধি ড. খলিলুর রহমান এবং মিয়ানমারের উপ-প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইউ থান শোয়ের মধ্যে অনুষ্ঠিত এক দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে এ বিষয়ে আলোচনা হয়।

বৈঠকে মিয়ানমারের পক্ষ থেকে জানানো হয়, তারা ইতোমধ্যে বাংলাদেশে অবস্থানরত রোহিঙ্গাদের তালিকা থেকে এক লাখ ৮০ হাজার জনকে মিয়ানমারে ফেরত নেয়ার জন্য উপযুক্ত বলে চিহ্নিত করেছে।

উল্লেখযোগ্য যে, ২০১৮ সাল থেকে ২০২০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ ধাপে ধাপে মোট ছয়টি তালিকা মিয়ানমারকে হস্তান্তর করে। এই প্রক্রিয়ায় এখনো আরও ৭০ হাজার রোহিঙ্গার যাচাই-বাছাই চলছে, যাদের পরিচয় নিশ্চিত করার জন্য ছবি ও নাম ভিত্তিক ভেরিফিকেশন কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। যাচাই শেষে এদের প্রত্যাবর্তনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।

বাংলাদেশ দীর্ঘদিন ধরেই রোহিঙ্গা সংকটের টেকসই ও শান্তিপূর্ণ সমাধানের জন্য আন্তর্জাতিক অঙ্গনে জোরালো কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা ও রাষ্ট্রের সহায়তায় বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে কক্সবাজার এবং ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের জন্য মানবিক সহায়তা ও নিরাপদ আশ্রয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

বিশ্লেষকদের মতে, মিয়ানমারের এই সদিচ্ছার বার্তা রোহিঙ্গা সংকট সমাধানের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। তবে প্রত্যাবর্তন প্রক্রিয়া বাস্তবায়নে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর কার্যকর ভূমিকা এবং নিরাপত্তার নিশ্চয়তা রক্ষা করা হবে কিনা, সেটিই এখন মূল প্রশ্ন।

এই প্রক্রিয়া সফল হলে দুই দেশের মধ্যকার সম্পর্কও নতুন গতিপথে প্রবাহিত হতে পারে বলে মনে করছেন কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা।