ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’-এর বিরুদ্ধে মার্কিন নিষেধাজ্ঞার সুপারিশে ক্ষুব্ধ দিল্লি

- আপডেট সময় ০৫:০২:২৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ মার্চ ২০২৫
- / 53
যুক্তরাষ্ট্রের ধর্মীয় স্বাধীনতা বিষয়ক কমিশন ইউএসসিআইআরএফ সম্প্রতি একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে ভারতের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ এনেছে। সংস্থাটি দাবি করেছে, দেশটিতে ধর্মীয় স্বাধীনতার চিত্র উদ্বেগজনকভাবে অবনতি ঘটছে। সেই সঙ্গে ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালিসিস উইং (RAW)-এর ওপর টার্গেটেড নিষেধাজ্ঞার সুপারিশ করেছে তারা।
প্রতিবেদনে বলা হয়, শিখ বিচ্ছিন্নতাবাদীদের বিরুদ্ধে হত্যাকাণ্ডের ষড়যন্ত্রে RAW-এর জড়িত থাকার প্রমাণ রয়েছে। এ ছাড়াও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর ধারাবাহিক নিপীড়ন এবং ধর্মীয় স্বাধীনতার দমন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়।
এই প্রতিবেদন ঘিরে ক্ষোভে ফেটে পড়েছে ভারত। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বুধবার এক বিবৃতিতে জানান, ইউএসসিআইআরএফ-এর ২০২৫ সালের রিপোর্ট নজরে এসেছে, যা আগের মতোই পক্ষপাতদুষ্ট ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। তিনি বলেন, “একটি এজেন্ডাভিত্তিক সংস্থা এ ধরনের মন্তব্য করলে, তার নিরপেক্ষতা ও বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠতেই পারে।”
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, “ভারতের ১৪০ কোটি মানুষের মধ্যে সব ধর্মের অনুসারীরা আছেন। এখানে সকল সম্প্রদায় শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান করে। একটি প্রাণবন্ত ও বহুত্ববাদী সমাজ ব্যবস্থার ওপর এই ধরনের বিদেশি সমালোচনা শুধু মিথ্যাচার নয়, এটি একটি সাজানো প্রচেষ্টা।”
ভারতের মতে, কয়েকটি বিচ্ছিন্ন ঘটনার অপব্যাখ্যা করে গোটা সমাজব্যবস্থাকে কলঙ্কিত করার চেষ্টা করছে ইউএসসিআইআরএফ। ধর্মীয় স্বাধীনতা নিয়ে যে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে, সেটি একপাক্ষিক এবং রাজনৈতিক স্বার্থে প্রভাবিত।
প্রতিবেদনে শুধু ভারত নয়, ভিয়েতনাম নিয়েও সমালোচনা করা হয়েছে। বলা হয়েছে, দেশটি ধর্মীয় কর্মকাণ্ডে নিয়ন্ত্রণের মাত্রা বাড়িয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ থাকা সত্ত্বেও ভিয়েতনামকে ‘বিশেষ উদ্বেগের দেশ’ হিসেবে তালিকাভুক্ত করার সুপারিশ করেছে কমিশন।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ধর্মীয় স্বাধীনতা নিয়ে এমন অভিযোগ ও প্রতিবেদন কূটনৈতিক টানাপোড়েন বাড়াতে পারে। ভারতের কড়া প্রতিক্রিয়া সেই ইঙ্গিতই দিচ্ছে।