ঢাকা ১১:৫৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ অগাস্ট ২০২৫, ৩০ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
নির্বাচন করলে তফসিলের আগেই উপদেষ্টার পদ ছেড়ে দেব: আসিফ মাহমুদ রাজনীতি থেকে মাইনাস হবে, যারা নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করবে: সালাহউদ্দিন ইউক্রেন যুদ্ধ সমাধানে ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীর মডেলের প্রস্তাব ডিএমপি আবারো রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করেছে যান চলাচল বন্ধ, যমুনা সেতুতে শিক্ষার্থীদের ব্লকেড ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ৩ ইউক্রেনের ক্ষেপণাস্ত্র কারখানায় রাশিয়ার হামলা নির্বাচন ফেব্রুয়ারি মাস যেন ক্রস না করে : শামসুজ্জামান দুদু ভোলাগঞ্জে সাদা পাথর লুট: দায়ীদের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিট, শুনানি ১৭ আগস্ট ত্রিদেশীয় জয় শেষে ইংল্যান্ড সফরে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব–১৯ দল

গাজা সীমান্তের কাছে নতুন বিমানবন্দর নির্মাণে ইসরাইলের পরিকল্পনা, বাড়ছে উত্তেজনা

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১০:২৯:৫৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৪ মার্চ ২০২৫
  • / 43

ছবি সংগৃহীত

 

ইসরাইল গাজা সীমান্তের অদূরে দক্ষিণাঞ্চলীয় নেভাতিম শহরে একটি নতুন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর নির্মাণের চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে। দেশটির অর্থনৈতিক কমিটি সম্প্রতি এই প্রকল্পে সবুজ সংকেত দিয়েছে, যা পার্লামেন্টে পাসের অপেক্ষায় রয়েছে।

নতুন বিমানবন্দরটির প্রস্তাবিত স্থান গাজা সীমান্ত থেকে মাত্র ৬৫ কিলোমিটার দূরে, সড়কপথে এক ঘণ্টার যাত্রা। এই অঞ্চলেই রয়েছে একটি গুরুত্বপূর্ণ সামরিক ঘাঁটি, যেখানে অবস্থান করছে ইসরাইলের এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান। ওই ঘাঁটিটিকে ২০২৩ সালের অক্টোবরে ইরানের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করার ঘটনা এখনো স্মরণে রয়েছে।

প্রস্তাব অনুযায়ী, বিমানবন্দরটি নির্মাণে সময় লাগবে প্রায় সাত বছর এবং এটি বছরে দেড় কোটিরও বেশি যাত্রী পরিবহনে সক্ষম হবে। বর্তমানে ইসরাইলের প্রধান বিমানবন্দর তেল আবিবের বেন গুরিয়ন প্রতি বছর প্রায় চার কোটি যাত্রী সামাল দিলেও ২০৫০ সালের মধ্যে এই সংখ্যা দ্বিগুণ হয়ে যেতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এ কারণেই নতুন বিমানবন্দরটি শুধু যাত্রীচাপ কমাতে নয়, দক্ষিণাঞ্চলের অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে মনে করছে দেশটির সরকার। বিশেষ করে এই প্রকল্পের মাধ্যমে স্থানীয় বেদুইন সম্প্রদায়ের অন্তত ৫০ হাজার মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে বলে জানানো হয়েছে।

তবে প্রকল্পটি ঘিরে তৈরি হয়েছে বিতর্কও। সেনাঘাঁটির খুব কাছাকাছি বিমানবন্দর নির্মাণে ইসরাইলের সামরিক ও গোয়েন্দা মহলে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। তাদের আশঙ্কা, এতে নিরাপত্তা ঝুঁকি বাড়তে পারে। তবুও নেতানিয়াহু প্রশাসন নিরাপত্তা আপত্তি উপেক্ষা করেই প্রকল্পটিকে এগিয়ে নিচ্ছে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, এমন স্পর্শকাতর এলাকায় বেসামরিক অবকাঠামো গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত ইসরাইলের ভেতরেই রাজনৈতিক ও কৌশলগত উত্তেজনা বাড়াতে পারে। একই সঙ্গে গাজা উপত্যকাকে ঘিরে চলমান সংঘাতের প্রেক্ষাপটে এটি নতুন মাত্রাও যোগ করতে পারে।

নিউজটি শেয়ার করুন

গাজা সীমান্তের কাছে নতুন বিমানবন্দর নির্মাণে ইসরাইলের পরিকল্পনা, বাড়ছে উত্তেজনা

আপডেট সময় ১০:২৯:৫৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৪ মার্চ ২০২৫

 

ইসরাইল গাজা সীমান্তের অদূরে দক্ষিণাঞ্চলীয় নেভাতিম শহরে একটি নতুন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর নির্মাণের চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে। দেশটির অর্থনৈতিক কমিটি সম্প্রতি এই প্রকল্পে সবুজ সংকেত দিয়েছে, যা পার্লামেন্টে পাসের অপেক্ষায় রয়েছে।

নতুন বিমানবন্দরটির প্রস্তাবিত স্থান গাজা সীমান্ত থেকে মাত্র ৬৫ কিলোমিটার দূরে, সড়কপথে এক ঘণ্টার যাত্রা। এই অঞ্চলেই রয়েছে একটি গুরুত্বপূর্ণ সামরিক ঘাঁটি, যেখানে অবস্থান করছে ইসরাইলের এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান। ওই ঘাঁটিটিকে ২০২৩ সালের অক্টোবরে ইরানের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করার ঘটনা এখনো স্মরণে রয়েছে।

প্রস্তাব অনুযায়ী, বিমানবন্দরটি নির্মাণে সময় লাগবে প্রায় সাত বছর এবং এটি বছরে দেড় কোটিরও বেশি যাত্রী পরিবহনে সক্ষম হবে। বর্তমানে ইসরাইলের প্রধান বিমানবন্দর তেল আবিবের বেন গুরিয়ন প্রতি বছর প্রায় চার কোটি যাত্রী সামাল দিলেও ২০৫০ সালের মধ্যে এই সংখ্যা দ্বিগুণ হয়ে যেতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এ কারণেই নতুন বিমানবন্দরটি শুধু যাত্রীচাপ কমাতে নয়, দক্ষিণাঞ্চলের অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে মনে করছে দেশটির সরকার। বিশেষ করে এই প্রকল্পের মাধ্যমে স্থানীয় বেদুইন সম্প্রদায়ের অন্তত ৫০ হাজার মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে বলে জানানো হয়েছে।

তবে প্রকল্পটি ঘিরে তৈরি হয়েছে বিতর্কও। সেনাঘাঁটির খুব কাছাকাছি বিমানবন্দর নির্মাণে ইসরাইলের সামরিক ও গোয়েন্দা মহলে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। তাদের আশঙ্কা, এতে নিরাপত্তা ঝুঁকি বাড়তে পারে। তবুও নেতানিয়াহু প্রশাসন নিরাপত্তা আপত্তি উপেক্ষা করেই প্রকল্পটিকে এগিয়ে নিচ্ছে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, এমন স্পর্শকাতর এলাকায় বেসামরিক অবকাঠামো গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত ইসরাইলের ভেতরেই রাজনৈতিক ও কৌশলগত উত্তেজনা বাড়াতে পারে। একই সঙ্গে গাজা উপত্যকাকে ঘিরে চলমান সংঘাতের প্রেক্ষাপটে এটি নতুন মাত্রাও যোগ করতে পারে।