ঢাকা ০৮:০৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৯ জুন ২০২৫, ১৫ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
জন্মদিনে ফুলেল শুভেচ্ছায় সিক্ত ড. মুহাম্মদ ইউনূস, তারেক রহমানের অভিনন্দন থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ, সড়কে জনতার ঢল করোনায় আরও দুজনের মৃত্যু, ২৪ ঘণ্টায় নতুন শনাক্ত ৭ জন শিক্ষা সমাজ ও রাষ্ট্রের উপযোগী মানুষ গড়ে তোলে : প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা পরিবেশই নয়, অর্থনীতি ও জীববৈচিত্র্যও টিকিয়ে রাখতে বন নিরাপত্তার অন্যতম ভিত্তি: রিজওয়ানা জোটবদ্ধ ইসলামি দলই আগামী দিনে দেশের প্রধান রাজনৈতিক শক্তি হয়ে উঠবে: চরমোনাই পীর কুষ্টিয়ার দৌলতপুর সীমান্তে বিজিবির ৯ কোটি টাকার এলএসডি ও ফেনসিডিল উদ্ধার গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে দুই বছরের শিশুর মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ২৬২ জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে জামায়াতের ৩৬ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা বিশেষ অভিযানে ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে গ্রেফতার ১,৫৪০ জন

ট্রাম্পের বিতর্কিত অভিবাসন আইন, অবৈধ হলো বহু বৈধ অভিবাসী

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১০:১৫:১০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২২ মার্চ ২০২৫
  • / 42

ছবি সংগৃহীত

 

ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রেসিডেন্ট পদে থাকাকালীন অভিবাসন নীতিগুলি ব্যাপকভাবে বিতর্কিত ছিল এবং এতে অনেক বৈধ অভিবাসীও প্রভাবিত হয়েছেন। তাঁর প্রশাসনের বিভিন্ন পদক্ষেপের ফলে লাখ লাখ মানুষ অবৈধ হয়ে পড়েছিল। এখানে এই নীতিগুলোর বিস্তারিত আলোচনা করা হলো:
১. DACA (ড্রিমারস প্রোগ্রাম) বাতিল
ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন ২০১৭ সালে DACA প্রোগ্রাম বাতিলের ঘোষণা দেয়, যা তরুণ অভিবাসীদের (ড্রিমারস) জন্য নিরাপত্তা প্রদান করত। এই প্রোগ্রামের অধীনে যারা যুক্তরাষ্ট্রে শিশু বয়সে এসেছিল, তাদের অভিবাসন স্থিতি সুরক্ষিত ছিল। বাতিলের ফলে অনেকে তাদের বৈধতা হারিয়ে ফেলেন এবং অবৈধ অবস্থায় চলে যান।

ট্রাম্প প্রশাসন মেক্সিকো সীমান্তে একটি দেওয়াল নির্মাণের উদ্যোগ নেয়, যার উদ্দেশ্য ছিল অবৈধ প্রবেশ ঠেকানো। এই প্রকল্পের জন্য বিপুল পরিমাণ অর্থ বরাদ্দ করা হয় এবং এর ফলে সীমান্তে অভিযান ও আটকাদেশ বৃদ্ধি পায়।

সীমান্তে আটক অভিবাসীদের পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন করার নীতি কার্যকর করা হয়। এই নীতির ফলে বহু শিশু তাদের অভিভাবকদের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়, যা আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলোর সমালোচনার মুখে পড়ে। ট্রাম্প প্রশাসন অভিবাসন আইন প্রয়োগে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করে। ICE (ইমিগ্রেশন এবং কাস্টমস এফোর্সমেন্ট) অভিযান পরিচালনা করে এবং বিভিন্ন রাজ্যে অবৈধ অভিবাসী আটক করে। এর ফলে অনেক বৈধ অভিবাসীও ভুলবশত আটক হয়ে যান।

ট্রাম্প প্রশাসন বিভিন্ন ধরনের ভিসা নীতিতে পরিবর্তন আনে, যেমন H-1B ভিসার জন্য কঠোরতা বৃদ্ধি। এর ফলে অনেক বৈধ অভিবাসী যারা কাজের জন্য যুক্তরাষ্ট্রে এসেছিলেন, তাদের স্থিতি অনিশ্চিত হয়ে পড়ে। ট্রাম্প প্রশাসন শরণার্থীর সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে কমিয়ে দেয়, যা অনেক বৈধ প্রার্থীর জন্য সমস্যার সৃষ্টি করে। এর ফলে যারা শরণার্থীর স্বীকৃতি পেতে আবেদন করেছিলেন, তাদের আবেদনও ঝুঁকির মধ্যে পড়ে।

অভিবাসীদের জন্য সামাজিক নিরাপত্তা নীতিতে পরিবর্তন আনাও বিতর্কের জন্ম দেয়। এই নীতির ফলে যারা সরকারী সহায়তা গ্রহণ করে, তাদের জন্য বৈধতা হারানোর ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়। ট্রাম্প প্রশাসন বিভিন্ন কোম্পানির বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেয় যারা অবৈধভাবে অভিবাসীদের কাজ দিচ্ছিল। এর ফলে অনেক বৈধ অভিবাসীও চাকরি হারান।

ট্রাম্পের অভিবাসন নীতিগুলি কেবল অবৈধ অভিবাসীদের উপরই প্রভাব ফেলেনি, বরং বহু বৈধ অভিবাসীকেও তাদের স্থিতি হারাতে বাধ্য করেছে। এই নীতিগুলি সামাজিক, অর্থনৈতিক এবং মানবিক দিক থেকে ব্যাপক বিতর্কের সৃষ্টি করেছে।

বিষয় :

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্রাম্পের বিতর্কিত অভিবাসন আইন, অবৈধ হলো বহু বৈধ অভিবাসী

আপডেট সময় ১০:১৫:১০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২২ মার্চ ২০২৫

 

ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রেসিডেন্ট পদে থাকাকালীন অভিবাসন নীতিগুলি ব্যাপকভাবে বিতর্কিত ছিল এবং এতে অনেক বৈধ অভিবাসীও প্রভাবিত হয়েছেন। তাঁর প্রশাসনের বিভিন্ন পদক্ষেপের ফলে লাখ লাখ মানুষ অবৈধ হয়ে পড়েছিল। এখানে এই নীতিগুলোর বিস্তারিত আলোচনা করা হলো:
১. DACA (ড্রিমারস প্রোগ্রাম) বাতিল
ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন ২০১৭ সালে DACA প্রোগ্রাম বাতিলের ঘোষণা দেয়, যা তরুণ অভিবাসীদের (ড্রিমারস) জন্য নিরাপত্তা প্রদান করত। এই প্রোগ্রামের অধীনে যারা যুক্তরাষ্ট্রে শিশু বয়সে এসেছিল, তাদের অভিবাসন স্থিতি সুরক্ষিত ছিল। বাতিলের ফলে অনেকে তাদের বৈধতা হারিয়ে ফেলেন এবং অবৈধ অবস্থায় চলে যান।

ট্রাম্প প্রশাসন মেক্সিকো সীমান্তে একটি দেওয়াল নির্মাণের উদ্যোগ নেয়, যার উদ্দেশ্য ছিল অবৈধ প্রবেশ ঠেকানো। এই প্রকল্পের জন্য বিপুল পরিমাণ অর্থ বরাদ্দ করা হয় এবং এর ফলে সীমান্তে অভিযান ও আটকাদেশ বৃদ্ধি পায়।

সীমান্তে আটক অভিবাসীদের পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন করার নীতি কার্যকর করা হয়। এই নীতির ফলে বহু শিশু তাদের অভিভাবকদের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়, যা আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলোর সমালোচনার মুখে পড়ে। ট্রাম্প প্রশাসন অভিবাসন আইন প্রয়োগে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করে। ICE (ইমিগ্রেশন এবং কাস্টমস এফোর্সমেন্ট) অভিযান পরিচালনা করে এবং বিভিন্ন রাজ্যে অবৈধ অভিবাসী আটক করে। এর ফলে অনেক বৈধ অভিবাসীও ভুলবশত আটক হয়ে যান।

ট্রাম্প প্রশাসন বিভিন্ন ধরনের ভিসা নীতিতে পরিবর্তন আনে, যেমন H-1B ভিসার জন্য কঠোরতা বৃদ্ধি। এর ফলে অনেক বৈধ অভিবাসী যারা কাজের জন্য যুক্তরাষ্ট্রে এসেছিলেন, তাদের স্থিতি অনিশ্চিত হয়ে পড়ে। ট্রাম্প প্রশাসন শরণার্থীর সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে কমিয়ে দেয়, যা অনেক বৈধ প্রার্থীর জন্য সমস্যার সৃষ্টি করে। এর ফলে যারা শরণার্থীর স্বীকৃতি পেতে আবেদন করেছিলেন, তাদের আবেদনও ঝুঁকির মধ্যে পড়ে।

অভিবাসীদের জন্য সামাজিক নিরাপত্তা নীতিতে পরিবর্তন আনাও বিতর্কের জন্ম দেয়। এই নীতির ফলে যারা সরকারী সহায়তা গ্রহণ করে, তাদের জন্য বৈধতা হারানোর ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়। ট্রাম্প প্রশাসন বিভিন্ন কোম্পানির বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেয় যারা অবৈধভাবে অভিবাসীদের কাজ দিচ্ছিল। এর ফলে অনেক বৈধ অভিবাসীও চাকরি হারান।

ট্রাম্পের অভিবাসন নীতিগুলি কেবল অবৈধ অভিবাসীদের উপরই প্রভাব ফেলেনি, বরং বহু বৈধ অভিবাসীকেও তাদের স্থিতি হারাতে বাধ্য করেছে। এই নীতিগুলি সামাজিক, অর্থনৈতিক এবং মানবিক দিক থেকে ব্যাপক বিতর্কের সৃষ্টি করেছে।