ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে আলোচনা করেই গাজায় ইসরায়েলের হামলা চালানো হয়েছে : হোয়াইট হাউস

- আপডেট সময় ০১:০৬:৫৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ ২০২৫
- / 26
যুদ্ধবিরতির মেয়াদ শেষ হতেই ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ভয়াবহ বিমান হামলা শুরু করেছে ইসরায়েল। গত সোমবার থেকে চালানো এই হামলায় এ পর্যন্ত অন্তত ২০০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক নারী ও শিশু রয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে পরামর্শ করেই ইসরায়েল এই হামলা চালিয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লিভিট। খবর রয়টার্স ও আল জাজিরার।
ফক্স নিউজের জনপ্রিয় অনুষ্ঠান ‘হ্যানিটি’তে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে লিভিট বলেন, ‘সোমবার রাতে গাজায় হামলার বিষয়ে ইসরায়েল সরাসরি ট্রাম্প প্রশাসন এবং হোয়াইট হাউসের সঙ্গে পরামর্শ করেছে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প স্পষ্ট জানিয়েছেন, হামাস, হুতি ও ইরানের মতো যারা ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তাকে হুমকিতে ফেলতে চায়, তাদের কঠোর মূল্য দিতে হবে।’
লিভিট আরও বলেন, ‘হামাস, হুতি, হিজবুল্লাহসহ ইরান সমর্থিত সন্ত্রাসী সংগঠনগুলোর উচিত ট্রাম্পের হুঁশিয়ারিকে গুরুত্বের সঙ্গে নেওয়া। তিনি (ট্রাম্প) কখনও যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্র ইসরায়েলের পক্ষে দাঁড়াতে ভয় পান না।’
এদিকে আল জাজিরা জানিয়েছে, চলতি বছরের ১৯ জানুয়ারি হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর এটি ছিল গাজায় ইসরায়েলের সবচেয়ে বড় সামরিক হামলা। সোমবার থেকে শুরু হওয়া বিমান হামলায় গাজার বহু আবাসিক ভবন ও অবকাঠামো ধ্বংস হয়ে গেছে। ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনও বহু মানুষ আটকা পড়ে আছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। হামলায় আহতদের সংখ্যা হাজার ছাড়িয়ে গেছে।
গাজার স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে, ‘হামলায় চিকিৎসা ব্যবস্থা বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে, হাসপাতালে ওষুধ ও জরুরি চিকিৎসাসামগ্রীর ঘাটতি দেখা দিয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে মানবিক বিপর্যয় এড়াতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের হস্তক্ষেপ জরুরি।’
বিশ্লেষকদের মতে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রত্যক্ষ সমর্থন পাওয়ার কারণে ইসরায়েল হামলা অব্যাহত রেখেছে। এতে মধ্যপ্রাচ্যে নতুন করে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলোও এ হামলার নিন্দা জানিয়ে দ্রুত যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছে।