ঢাকা ১০:৪১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ অগাস্ট ২০২৫, ৩১ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
নির্বাচন করলে তফসিলের আগেই উপদেষ্টার পদ ছেড়ে দেব: আসিফ মাহমুদ রাজনীতি থেকে মাইনাস হবে, যারা নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করবে: সালাহউদ্দিন ইউক্রেন যুদ্ধ সমাধানে ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীর মডেলের প্রস্তাব ডিএমপি আবারো রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করেছে যান চলাচল বন্ধ, যমুনা সেতুতে শিক্ষার্থীদের ব্লকেড ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ৩ ইউক্রেনের ক্ষেপণাস্ত্র কারখানায় রাশিয়ার হামলা নির্বাচন ফেব্রুয়ারি মাস যেন ক্রস না করে : শামসুজ্জামান দুদু ভোলাগঞ্জে সাদা পাথর লুট: দায়ীদের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিট, শুনানি ১৭ আগস্ট ত্রিদেশীয় জয় শেষে ইংল্যান্ড সফরে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব–১৯ দল

মার্কিন প্রতিরক্ষা শিল্পে ইসরাইলি স্টার্টআপের প্রভাব: সিলিকন ভ্যালির নতুন বিনিয়োগ প্রবণতা

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১১:১০:১৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ ২০২৫
  • / 50

ছবি: সংগৃহীত

 

মার্কিন প্রতিরক্ষা খাতের অস্ত্র উৎপাদন ও উন্নয়নকে চাঙা রাখতে বড় প্রযুক্তি কোম্পানিগুলো এখন ইসরাইলি স্টার্টআপগুলোর দিকে ঝুঁকছে। আগে যেখানে সিলিকন ভ্যালির বিনিয়োগ মূলত যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক প্রতিরক্ষা স্টার্টআপের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল, সেখানে সাম্প্রতিক গাজা ও লেবাননের সংঘাতের পর ইসরাইলি প্রতিরক্ষা প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোর প্রতি বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।

বিশ্লেষকদের মতে, পশ্চিমা প্রতিরক্ষা খাতে ইসরাইলি স্টার্টআপগুলোর শক্ত অবস্থান ভবিষ্যতে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের অস্ত্র চুক্তির বাজারে গুরুত্বপূর্ণ প্রতিদ্বন্দ্বিতা সৃষ্টি করবে। এই প্রবণতা প্রযুক্তি এবং প্রতিরক্ষা খাতের নতুন কৌশলগত পরিবর্তনের ইঙ্গিত বহন করে।

নতুন প্রতিরক্ষা প্রযুক্তির উন্নয়নে ইসরাইলি স্টার্টআপগুলোর অগ্রগতি ইতোমধ্যে পশ্চিমা বিশ্বে প্রভাব ফেলতে শুরু করেছে। উদাহরণস্বরূপ, ‘কেলা’ নামের একটি ইসরাইলি স্টার্টআপ ইতোমধ্যে মার্কিন প্রতিরক্ষা বিনিয়োগ সংস্থা এবং সিআইএ’র বিনিয়োগ শাখার সহায়তা পেয়েছে। বর্তমানে তারা সরাসরি পেন্টাগনে অস্ত্র বিক্রির লক্ষ্যে কাজ করছে।

‘কেলা’র সহ-প্রতিষ্ঠাতা বলেন, ‘আমরা ইসরাইলের সীমানা ছাড়িয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের বৃহৎ প্রতিরক্ষা প্রোগ্রামগুলোর দিকে নজর দিচ্ছি।’ এর মাধ্যমে বোঝা যাচ্ছে যে, ইসরাইলি কোম্পানিগুলো এখন আন্তর্জাতিক প্রতিরক্ষা বাজারে নিজেদের অবস্থান শক্তিশালী করতে চায়।

ইসরাইলি প্রতিরক্ষা প্রযুক্তিতে বিনিয়োগ আরও বাড়ানোর লক্ষ্যে ‘Texas Venture Partners’ গত বছর ৫০ মিলিয়ন ডলারের একটি বিশেষ ফান্ড চালু করেছে। সংস্থাটির কর্মকর্তা লর্ন এবনি বলেন, ‘ইসরাইলি প্রতিরক্ষা ইকোসিস্টেমের সাথে তাল মিলিয়ে নতুন যুগের প্রতিরক্ষা প্রযুক্তির পুনরুত্থান ঘটছে।’

এই বিনিয়োগপ্রবণতা ইঙ্গিত দেয় যে, আগামী দিনে ইসরাইলি স্টার্টআপগুলো কেবল যুদ্ধক্ষেত্রের প্রযুক্তি নয়, বরং পশ্চিমা প্রতিরক্ষা চুক্তির ক্ষেত্রেও বড় ভূমিকা রাখবে। এমন পরিস্থিতিতে মার্কিন প্রতিরক্ষা শিল্পের সঙ্গে ইসরাইলের ক্রমবর্ধমান সংযোগ আন্তর্জাতিক প্রতিরক্ষা কৌশলে নতুন মাত্রা যোগ করতে পারে।

নিউজটি শেয়ার করুন

মার্কিন প্রতিরক্ষা শিল্পে ইসরাইলি স্টার্টআপের প্রভাব: সিলিকন ভ্যালির নতুন বিনিয়োগ প্রবণতা

আপডেট সময় ১১:১০:১৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ ২০২৫

 

মার্কিন প্রতিরক্ষা খাতের অস্ত্র উৎপাদন ও উন্নয়নকে চাঙা রাখতে বড় প্রযুক্তি কোম্পানিগুলো এখন ইসরাইলি স্টার্টআপগুলোর দিকে ঝুঁকছে। আগে যেখানে সিলিকন ভ্যালির বিনিয়োগ মূলত যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক প্রতিরক্ষা স্টার্টআপের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল, সেখানে সাম্প্রতিক গাজা ও লেবাননের সংঘাতের পর ইসরাইলি প্রতিরক্ষা প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোর প্রতি বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।

বিশ্লেষকদের মতে, পশ্চিমা প্রতিরক্ষা খাতে ইসরাইলি স্টার্টআপগুলোর শক্ত অবস্থান ভবিষ্যতে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের অস্ত্র চুক্তির বাজারে গুরুত্বপূর্ণ প্রতিদ্বন্দ্বিতা সৃষ্টি করবে। এই প্রবণতা প্রযুক্তি এবং প্রতিরক্ষা খাতের নতুন কৌশলগত পরিবর্তনের ইঙ্গিত বহন করে।

নতুন প্রতিরক্ষা প্রযুক্তির উন্নয়নে ইসরাইলি স্টার্টআপগুলোর অগ্রগতি ইতোমধ্যে পশ্চিমা বিশ্বে প্রভাব ফেলতে শুরু করেছে। উদাহরণস্বরূপ, ‘কেলা’ নামের একটি ইসরাইলি স্টার্টআপ ইতোমধ্যে মার্কিন প্রতিরক্ষা বিনিয়োগ সংস্থা এবং সিআইএ’র বিনিয়োগ শাখার সহায়তা পেয়েছে। বর্তমানে তারা সরাসরি পেন্টাগনে অস্ত্র বিক্রির লক্ষ্যে কাজ করছে।

‘কেলা’র সহ-প্রতিষ্ঠাতা বলেন, ‘আমরা ইসরাইলের সীমানা ছাড়িয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের বৃহৎ প্রতিরক্ষা প্রোগ্রামগুলোর দিকে নজর দিচ্ছি।’ এর মাধ্যমে বোঝা যাচ্ছে যে, ইসরাইলি কোম্পানিগুলো এখন আন্তর্জাতিক প্রতিরক্ষা বাজারে নিজেদের অবস্থান শক্তিশালী করতে চায়।

ইসরাইলি প্রতিরক্ষা প্রযুক্তিতে বিনিয়োগ আরও বাড়ানোর লক্ষ্যে ‘Texas Venture Partners’ গত বছর ৫০ মিলিয়ন ডলারের একটি বিশেষ ফান্ড চালু করেছে। সংস্থাটির কর্মকর্তা লর্ন এবনি বলেন, ‘ইসরাইলি প্রতিরক্ষা ইকোসিস্টেমের সাথে তাল মিলিয়ে নতুন যুগের প্রতিরক্ষা প্রযুক্তির পুনরুত্থান ঘটছে।’

এই বিনিয়োগপ্রবণতা ইঙ্গিত দেয় যে, আগামী দিনে ইসরাইলি স্টার্টআপগুলো কেবল যুদ্ধক্ষেত্রের প্রযুক্তি নয়, বরং পশ্চিমা প্রতিরক্ষা চুক্তির ক্ষেত্রেও বড় ভূমিকা রাখবে। এমন পরিস্থিতিতে মার্কিন প্রতিরক্ষা শিল্পের সঙ্গে ইসরাইলের ক্রমবর্ধমান সংযোগ আন্তর্জাতিক প্রতিরক্ষা কৌশলে নতুন মাত্রা যোগ করতে পারে।