ঢাকা ০৬:৫৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ ২০২৫, ৪ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
সেনাপ্রধানের সঙ্গে মার্কিন সিনেটরের সৌজন্য সাক্ষাৎ: সম্পর্ক জোরদারে গুরুত্ব বিশ্ববাজারে কমলো সয়াবিন-ক্যানোলা তেলের দাম, ঊর্ধ্বমুখী সানফ্লাওয়ার-পাম তেল এনআইডি ইস্যুতে ‘অপারেশনাল হল্ট’ স্থগিত, দাবি আদায়ে কঠোর হুঁশিয়ারি সৌদি কর্তৃপক্ষ ওমরাহ ভিসা বন্ধ করেনি: ধর্ম উপদেষ্টা তুলসি গ্যাবার্ডের বক্তব্য বিভ্রান্তিকর ও গুরুতর: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তুলসী গ্যাবার্ডের বক্তব্য বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক সম্পর্ককে প্রভাবিত করবে না : অর্থ উপদেষ্টা হাইকোর্টের স্থগিতাদেশে আটকে গেল নতুন দলের নিবন্ধন প্রক্রিয়া মোবাইল ব্যাংকিংয়ে নতুন রেকর্ড, ডিজিটাল অর্থনীতিতে বাংলাদেশ ঈদের সিনেমার হাওয়া: প্রশংসায় এগিয়ে ‘জংলি’ ও ‘দাগি’ পটুয়াখালীর নদ-নদীতে নাব্যতা সংকট, চরম ভোগান্তিতে উপকূলবাসী

রাজা চার্লস ও কানাডার প্রধানমন্ত্রী কার্নির সাক্ষাৎ: কূটনৈতিক বার্তার ইঙ্গিত

খবরের কথা ডেস্ক

ছবি: সংগৃহীত

 

ব্রিটেনের রাজা তৃতীয় চার্লসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন কানাডার নতুন প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি। বাকিংহাম প্যালেসে অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে কূটনৈতিক আলাপচারিতার পাশাপাশি কিছু মজার মুহূর্তও ভাগাভাগি করেছেন তারা। তবে এই সাক্ষাৎকে শুধুই সৌজন্যমূলক বৈঠক নয়, বরং কূটনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ বার্তার অংশ হিসেবেই দেখছেন বিশ্লেষকরা।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম স্কাই নিউজ জানায়, সোমবার (১৭ মার্চ) স্থানীয় সময় বাকিংহাম প্যালেসে প্রধানমন্ত্রী কার্নিকে স্বাগত জানান রাজা চার্লস। আলোচনার শুরুতে তিনি কানাডার প্রতি নিজের সমর্থনের কথা পুনর্ব্যক্ত করেন।

রাজা চার্লস কানাডার প্রতি নিজের ভালোবাসা প্রকাশ করতে দেশটির জাতীয় প্রতীকসমৃদ্ধ মেডেল পরা, পতাকার ৬০তম বার্ষিকীতে শুভেচ্ছা বার্তা পাঠানো, এবং বাকিংহাম প্যালেসের বাগানে ম্যাপেল গাছ রোপণের মতো বিষয়গুলো তুলে ধরেন। এসব পদক্ষেপকে কানাডার প্রতি রাজার প্রতীকী সমর্থন হিসেবেই দেখছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।

এই সাক্ষাৎ এমন সময়ে হলো, যখন কানাডার অবস্থান নিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে, বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাম্প্রতিক মন্তব্যের পর। ট্রাম্প কৌতুকের ছলে কানাডাকে যুক্তরাষ্ট্রের ৫১তম অঙ্গরাজ্য বানানোর হুমকি দেন, যা কানাডীয়দের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে।

রাজা চার্লস কূটনৈতিক ভারসাম্য বজায় রাখার কঠিন পরীক্ষার মুখে পড়েছেন। একদিকে তিনি কানাডার প্রতি সমর্থন জানাচ্ছেন, অন্যদিকে ট্রাম্পের সঙ্গে যুক্তরাজ্যের সম্পর্ক নষ্ট না করার কৌশল রক্ষা করতে হচ্ছে।

বহু কানাডীয় নাগরিকই চাইছেন, রাজা চার্লস ট্রাম্পের এই মন্তব্যের বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান নিন। তবে ব্রিটিশ রাজপরিবারের ঐতিহ্য অনুসারে রাজা চার্লস সরাসরি রাজনৈতিক কোনো বিষয়ে হস্তক্ষেপ করবেন না বলেই ধারণা করা হচ্ছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ১১:০৪:০৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ ২০২৫
৫১৩ বার পড়া হয়েছে

রাজা চার্লস ও কানাডার প্রধানমন্ত্রী কার্নির সাক্ষাৎ: কূটনৈতিক বার্তার ইঙ্গিত

আপডেট সময় ১১:০৪:০৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ ২০২৫

 

ব্রিটেনের রাজা তৃতীয় চার্লসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন কানাডার নতুন প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি। বাকিংহাম প্যালেসে অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে কূটনৈতিক আলাপচারিতার পাশাপাশি কিছু মজার মুহূর্তও ভাগাভাগি করেছেন তারা। তবে এই সাক্ষাৎকে শুধুই সৌজন্যমূলক বৈঠক নয়, বরং কূটনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ বার্তার অংশ হিসেবেই দেখছেন বিশ্লেষকরা।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম স্কাই নিউজ জানায়, সোমবার (১৭ মার্চ) স্থানীয় সময় বাকিংহাম প্যালেসে প্রধানমন্ত্রী কার্নিকে স্বাগত জানান রাজা চার্লস। আলোচনার শুরুতে তিনি কানাডার প্রতি নিজের সমর্থনের কথা পুনর্ব্যক্ত করেন।

রাজা চার্লস কানাডার প্রতি নিজের ভালোবাসা প্রকাশ করতে দেশটির জাতীয় প্রতীকসমৃদ্ধ মেডেল পরা, পতাকার ৬০তম বার্ষিকীতে শুভেচ্ছা বার্তা পাঠানো, এবং বাকিংহাম প্যালেসের বাগানে ম্যাপেল গাছ রোপণের মতো বিষয়গুলো তুলে ধরেন। এসব পদক্ষেপকে কানাডার প্রতি রাজার প্রতীকী সমর্থন হিসেবেই দেখছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।

এই সাক্ষাৎ এমন সময়ে হলো, যখন কানাডার অবস্থান নিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে, বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাম্প্রতিক মন্তব্যের পর। ট্রাম্প কৌতুকের ছলে কানাডাকে যুক্তরাষ্ট্রের ৫১তম অঙ্গরাজ্য বানানোর হুমকি দেন, যা কানাডীয়দের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে।

রাজা চার্লস কূটনৈতিক ভারসাম্য বজায় রাখার কঠিন পরীক্ষার মুখে পড়েছেন। একদিকে তিনি কানাডার প্রতি সমর্থন জানাচ্ছেন, অন্যদিকে ট্রাম্পের সঙ্গে যুক্তরাজ্যের সম্পর্ক নষ্ট না করার কৌশল রক্ষা করতে হচ্ছে।

বহু কানাডীয় নাগরিকই চাইছেন, রাজা চার্লস ট্রাম্পের এই মন্তব্যের বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান নিন। তবে ব্রিটিশ রাজপরিবারের ঐতিহ্য অনুসারে রাজা চার্লস সরাসরি রাজনৈতিক কোনো বিষয়ে হস্তক্ষেপ করবেন না বলেই ধারণা করা হচ্ছে।