ভয়েস অব আমেরিকার ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত: ১,৩০০-এর বেশি কর্মী ছাঁটাই

- আপডেট সময় ০২:৪২:১০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ মার্চ ২০২৫
- / 22
মার্কিন সরকার অর্থায়নকৃত সংবাদমাধ্যম ভয়েস অব আমেরিকা (ভিওএ)-সহ আরও দুটি গণমাধ্যমের তহবিল বাতিল করেছে ট্রাম্প প্রশাসন। এই সিদ্ধান্তের ফলে ভয়েস অব আমেরিকার কার্যক্রম প্রায় অচল হয়ে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। শনিবার থেকে সংস্থাটির ১,৩০০-এর বেশি সাংবাদিক ও কর্মী বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠানো হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প শুক্রবার এক নির্বাহী আদেশে ভয়েস অব আমেরিকার মূল প্রতিষ্ঠান ইউএস এজেন্সি ফর গ্লোবাল মিডিয়া (ইউএসএজিএম)-সহ ছয়টি ফেডারেল সংস্থাকে কর্মী হ্রাসের নির্দেশ দেন। এর ফলে, কয়েক দশক ধরে চলা এই সম্প্রচারমাধ্যমগুলোর ভবিষ্যৎ এখন অনিশ্চিত।
বার্তা সংস্থা এএফপির বরাত দিয়ে জানা গেছে, ইমেইলের মাধ্যমে ভয়েস অব আমেরিকা, রেডিও ফ্রি এশিয়া এবং অন্যান্য সংবাদমাধ্যমের শত শত সাংবাদিকের বরখাস্তের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। বরখাস্ত হওয়া কর্মীদের কার্ড, মোবাইল ফোন ও অন্যান্য সরঞ্জাম জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ভয়েস অব আমেরিকার পরিচালক মাইকেল আব্রামোভিচ গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, ‘৮৩ বছরের ইতিহাসে এই প্রথম ভয়েস অব আমেরিকার বহু ভাষার সম্প্রচার বন্ধ হতে চলেছে, যা গণতন্ত্র ও স্বাধীনতার পক্ষে এক বড় ধাক্কা।’
সমালোচকদের মতে, ট্রাম্প প্রশাসনের এই সিদ্ধান্ত সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার ওপর বড় ধরনের আঘাত। গণমাধ্যম কর্মীদের ব্যাপক ছাঁটাইয়ের ফলে ভয়েস অব আমেরিকা প্রায় অচল হয়ে পড়ছে, যা ৫০টিরও বেশি ভাষায় সম্প্রচারিত সংবাদ ও বিশ্লেষণমূলক প্রতিবেদন বন্ধ করে দিতে পারে।
১৯৪২ সালে নাৎসি প্রোপাগান্ডার বিরুদ্ধে লড়তে ভয়েস অব আমেরিকা প্রতিষ্ঠিত হয়। বর্তমানেও বিশ্বব্যাপী প্রায় ৩৬ কোটি মানুষ এই সংবাদমাধ্যমের গ্রাহক। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ভয়েস অব আমেরিকাকে নিয়ন্ত্রণে আনতে ট্রাম্প প্রশাসন এই পদক্ষেপ নিয়েছে। বিশেষ করে ক্যারি লেককে প্রতিষ্ঠানটির নতুন পরিচালক হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার সিদ্ধান্তকে রাজনৈতিক বলে মনে করছেন অনেকে। ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ এই উপস্থাপক অতীতে কট্টরপন্থী অবস্থানের জন্য পরিচিত ছিলেন।
এই সিদ্ধান্তের ফলে যুক্তরাষ্ট্রের গণমাধ্যমের স্বাধীনতা, বৈচিত্র্য এবং নিরপেক্ষ সাংবাদিকতা নতুন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।