ঢাকা ০৩:৫০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৪ মে ২০২৫, ৩১ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
ক্ষমতার সময় ফুরিয়ে এসেছে: হুঁশিয়ারি শাজাহান খান চাঁপাইনবাবগঞ্জে ৮ দফা দাবিতে রেলপথ অবরোধ ও মানববন্ধন মানিকগঞ্জে অসময়ের যমুনার ভাঙন: হুমকির মুখে শতাধিক ঘরবাড়ি শীর্ষ আদালতে জামায়াতের নিবন্ধন ও প্রতীক ফেরতের রায় ১ জুন ইসরায়েলি হামলায় গাজায় এক দিনে নিহত আরও ৫৬ জন দুর্নীতির মামলায় হাইকোর্ট থেকে জামিন পেলেন ডা. জুবাইদা রহমান তারেক রহমানের ৩১ দফা কর্মসূচি নিয়ে মালয়েশিয়ায় বিএনপির কর্মশালা ঢাবি ভিসিকে দোষী দেখিয়ে মূল সত্য আড়াল করার পাঁয়তারা: সারজিসের অভিযোগ চট্টগ্রাম বন্দর ছাড়া অর্থনীতির নতুন দিগন্ত সম্ভব নয়: ড. ইউনূস শাহরিয়ার সাম্য হত্যাকাণ্ড: সোহরাওয়ার্দী উদ্যান এখন ‘অপরাধের স্বর্গরাজ্য’: হাসনাত আব্দুল্লাহ

গাজায় খাদ্য, বিদ্যুৎ সংকট: ইসরায়েলের পদক্ষেপে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৩:৩৪:৪২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ মার্চ ২০২৫
  • / 20

ছবি সংগৃহীত

 

গাজার পরিস্থিতি দিন দিন আরও কঠিন হয়ে উঠেছে। ইসরায়েল সম্প্রতি গাজায় পণ্য প্রবেশে বাধা দেওয়ার ফলে, ফিলিস্তিনিরা এক নতুন সংকটে পড়েছে। পণ্য সরবরাহ বন্ধ হওয়ায়, এখানকার অনেক বেকারি বন্ধ হয়ে গেছে, যার ফলে খাবারের দাম হু হু করে বাড়ছে। তাছাড়া, বিদ্যুৎ সরবরাহও বন্ধ হয়ে যাওয়ায় গাজার বাসিন্দারা পানীয় জল থেকেও বঞ্চিত হচ্ছে। এই ভয়াবহ পরিস্থিতি সম্পর্কে ফিলিস্তিনের কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।

ইসরায়েল দাবি করেছে, হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধবিরতির চাপ তৈরি করতে এবং তাদের শক্তি কমাতে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এতে খাবার, ওষুধ এবং জ্বালানি তেলের সরবরাহে ব্যাপকভাবে প্রভাব পড়েছে, যা গাজার মানুষের দৈনন্দিন জীবনযাত্রাকে আরও কঠিন করেছে।

জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ জানিয়েছে, গত ১৭ দিন ধরে চলা যুদ্ধের কারণে গাজায় মানবিক সহায়তার প্রবাহ বন্ধ হয়ে গেছে। এর ফলে, গাজার ২৩ লাখেরও বেশি বাসিন্দা, যারা মানবিক সহায়তার ওপর নির্ভরশীল, আরও কঠিন পরিস্থিতির মুখে পড়েছে।

এদিকে, হামাস ইসরায়েলের এই পদক্ষেপকে ‘সমষ্টিগত শাস্তি’ হিসেবে আখ্যা দিয়ে, আলোচনা বা আলোচনার ক্ষেত্রে কোনো ছাড় দেয়ার ইচ্ছা নেই বলে জানিয়েছে। তাদের মতে, এই পদক্ষেপ শুধু সাধারণ মানুষের ওপর অত্যাচারের সৃষ্টি করছে।

গাজা বেকারি ইউনিয়নের প্রধান আবদেল-নাসের আল-আজরামি জানান, গ্যাসের অভাবে গাজায় চলমান ২২টি বেকারির মধ্যে ছয়টি ইতিমধ্যেই বন্ধ হয়ে গেছে। তিনি আরও বলেন, অবশিষ্ট বেকারিগুলোও সংকটে পড়েছে এবং এক সপ্তাহের মধ্যে তারা যদি ডিজেল বা আটা না পায়, তাহলে সেগুলোও বন্ধ হয়ে যাবে। এর মধ্যে যদি গাজার সীমান্ত খোলা না হয় এবং পণ্য প্রবাহ শুরু না হয়, পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে।

তিনি জানান, ২২টি বেকারিও গাজার বাসিন্দাদের চাহিদা পূরণের জন্য যথেষ্ট ছিল না, এখন বেকারি বন্ধ হওয়ার কারণে রুটির চাহিদা আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। এই সংকট মোকাবিলা করতে গাজার জনগণের সহায়তার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের জরুরি পদক্ষেপ প্রয়োজন।

নিউজটি শেয়ার করুন

গাজায় খাদ্য, বিদ্যুৎ সংকট: ইসরায়েলের পদক্ষেপে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ

আপডেট সময় ০৩:৩৪:৪২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ মার্চ ২০২৫

 

গাজার পরিস্থিতি দিন দিন আরও কঠিন হয়ে উঠেছে। ইসরায়েল সম্প্রতি গাজায় পণ্য প্রবেশে বাধা দেওয়ার ফলে, ফিলিস্তিনিরা এক নতুন সংকটে পড়েছে। পণ্য সরবরাহ বন্ধ হওয়ায়, এখানকার অনেক বেকারি বন্ধ হয়ে গেছে, যার ফলে খাবারের দাম হু হু করে বাড়ছে। তাছাড়া, বিদ্যুৎ সরবরাহও বন্ধ হয়ে যাওয়ায় গাজার বাসিন্দারা পানীয় জল থেকেও বঞ্চিত হচ্ছে। এই ভয়াবহ পরিস্থিতি সম্পর্কে ফিলিস্তিনের কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।

ইসরায়েল দাবি করেছে, হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধবিরতির চাপ তৈরি করতে এবং তাদের শক্তি কমাতে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এতে খাবার, ওষুধ এবং জ্বালানি তেলের সরবরাহে ব্যাপকভাবে প্রভাব পড়েছে, যা গাজার মানুষের দৈনন্দিন জীবনযাত্রাকে আরও কঠিন করেছে।

জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ জানিয়েছে, গত ১৭ দিন ধরে চলা যুদ্ধের কারণে গাজায় মানবিক সহায়তার প্রবাহ বন্ধ হয়ে গেছে। এর ফলে, গাজার ২৩ লাখেরও বেশি বাসিন্দা, যারা মানবিক সহায়তার ওপর নির্ভরশীল, আরও কঠিন পরিস্থিতির মুখে পড়েছে।

এদিকে, হামাস ইসরায়েলের এই পদক্ষেপকে ‘সমষ্টিগত শাস্তি’ হিসেবে আখ্যা দিয়ে, আলোচনা বা আলোচনার ক্ষেত্রে কোনো ছাড় দেয়ার ইচ্ছা নেই বলে জানিয়েছে। তাদের মতে, এই পদক্ষেপ শুধু সাধারণ মানুষের ওপর অত্যাচারের সৃষ্টি করছে।

গাজা বেকারি ইউনিয়নের প্রধান আবদেল-নাসের আল-আজরামি জানান, গ্যাসের অভাবে গাজায় চলমান ২২টি বেকারির মধ্যে ছয়টি ইতিমধ্যেই বন্ধ হয়ে গেছে। তিনি আরও বলেন, অবশিষ্ট বেকারিগুলোও সংকটে পড়েছে এবং এক সপ্তাহের মধ্যে তারা যদি ডিজেল বা আটা না পায়, তাহলে সেগুলোও বন্ধ হয়ে যাবে। এর মধ্যে যদি গাজার সীমান্ত খোলা না হয় এবং পণ্য প্রবাহ শুরু না হয়, পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে।

তিনি জানান, ২২টি বেকারিও গাজার বাসিন্দাদের চাহিদা পূরণের জন্য যথেষ্ট ছিল না, এখন বেকারি বন্ধ হওয়ার কারণে রুটির চাহিদা আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। এই সংকট মোকাবিলা করতে গাজার জনগণের সহায়তার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের জরুরি পদক্ষেপ প্রয়োজন।