ঢাকা ০৫:৪২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ মার্চ ২০২৫, ২৬ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
নেপালের কাঠমান্ডুতে রাজতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার দাবিতে বিশাল মিছিল, রাজনীতির প্রতি হতাশ জনতা শিরোপা দৌড়ে পিছিয়ে পড়েও আশা ছাড়ছে না আর্সেনাল কোচ মিকেল আর্তেতা দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে ধর্ষণ মামলার নিষ্পত্তির দাবি, ন্যায়বিচারের দাবিতে তীব্র প্রতিবাদ কারা অধিদপ্তরে শৃঙ্খলা ভঙ্গের কঠোর শাস্তি: চাকরিচ্যুত ১২, বরখাস্ত ৮৪ কর্মকর্তা পাচার হওয়া টাকা ফেরাতে নতুন আইন আসছে শিগগিরই: প্রেস সচিব দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বেড়ে ২১.৪০ বিলিয়ন ডলার- রেমিট্যান্স প্রবাহ অব্যাহত, অর্থনীতিতে স্বস্তি মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে আগুন: ফায়ার সার্ভিসের তড়িৎ অভিযানে নিয়ন্ত্রণ রাঙামাটিতে মেডিকেল শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ: ৫ দফা দাবিতে উত্তাল প্রতিবাদ সমাবেশ ডিসেম্বরে জাতীয় নির্বাচন: প্রস্তুতিতে ব্যস্ত, নির্বাচনী সূচি অটল রাখতে বদ্ধপরিকর নির্বাচন কমিশন মার্কিন বাণিজ্য যুদ্ধে জয়ের অঙ্গীকার কানাডার নতুন প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নির

মার্কিন বাণিজ্য যুদ্ধে জয়ের অঙ্গীকার কানাডার নতুন প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নির

খবরের কথা ডেস্ক

ছবি: সংগৃহীত

 

ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে বাণিজ্য যুদ্ধে জয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে কানাডার নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নিতে যাচ্ছেন মার্ক কার্নি। সোমবার (১০ মার্চ) বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়।

প্রাক্তন কেন্দ্রীয় ব্যাংকার এবং ‘সংকট মোকাবেলার যোদ্ধা’ হিসেবে পরিচিত কার্নি লিবারেল পার্টির নেতৃত্বের দৌড়ে সহজেই বিজয়ী হয়েছেন। দলের সদস্যদের ভোটে তিনি ৮৬% সমর্থন পেয়ে জাস্টিন ট্রুডোর উত্তরসূরি হিসেবে মনোনীত হন।

ট্রুডো নয় বছর প্রধানমন্ত্রী থাকার পর চলতি বছরের জানুয়ারিতে পদত্যাগ করেন। তার উত্তরসূরি হিসেবে কার্নির রাজনৈতিক অভিজ্ঞতার অভাব একটি বড় প্রশ্ন ছিল, তবে তার উচ্চ-প্রোফাইল ব্যাংকিং ক্যারিয়ার ও অর্থনৈতিক বিশ্লেষণের দক্ষতা তাকে শক্তিশালী অবস্থানে এনেছে।

প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার আগেই মার্কিন শুল্ক নীতির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছেন কার্নি। তিনি বলেন, ‘হকির মতো বাণিজ্যেও কানাডা জিতবে।’ তার মতে, কানাডাকে বাণিজ্যিক প্রতিশোধমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে এবং ট্রাম্পের শুল্কের জবাবে মার্কিন পণ্যের ওপর নতুন শুল্ক আরোপ করা হবে।

কার্নি আরও বলেন, ‘আমি জানি কিভাবে সংকট মোকাবিলা করতে হয়… সংকট ব্যবস্থাপনার জন্য অভিজ্ঞতা এবং দক্ষতা অপরিহার্য।’ তিনি যুক্তি দেন, ট্রাম্পের অর্থনৈতিক নীতির বিরুদ্ধে কানাডাকে কৌশলী হতে হবে এবং মধ্যমেয়াদে বাণিজ্য সম্পর্ককে বৈচিত্র্যময় করতে হবে।

আগামী ২০ অক্টোবরের আগে কানাডার সাধারণ নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে। সে পর্যন্ত কার্নি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। তবে তার জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হবে ট্রাম্পের সম্ভাব্য পুনঃনির্বাচনের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া এবং কানাডার অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখা।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, কার্নির নেতৃত্ব দক্ষতা এবং অর্থনৈতিক অভিজ্ঞতা কানাডার জন্য নতুন সম্ভাবনা তৈরি করতে পারে। তবে, আসন্ন নির্বাচনে তার জনপ্রিয়তা এবং বাণিজ্য কৌশল কতটা কার্যকর হয়, তা দেখার অপেক্ষায় থাকবে কানাডার জনগণ।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০৫:০৮:৪৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ মার্চ ২০২৫
৫০৮ বার পড়া হয়েছে

মার্কিন বাণিজ্য যুদ্ধে জয়ের অঙ্গীকার কানাডার নতুন প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নির

আপডেট সময় ০৫:০৮:৪৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ মার্চ ২০২৫

 

ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে বাণিজ্য যুদ্ধে জয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে কানাডার নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নিতে যাচ্ছেন মার্ক কার্নি। সোমবার (১০ মার্চ) বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়।

প্রাক্তন কেন্দ্রীয় ব্যাংকার এবং ‘সংকট মোকাবেলার যোদ্ধা’ হিসেবে পরিচিত কার্নি লিবারেল পার্টির নেতৃত্বের দৌড়ে সহজেই বিজয়ী হয়েছেন। দলের সদস্যদের ভোটে তিনি ৮৬% সমর্থন পেয়ে জাস্টিন ট্রুডোর উত্তরসূরি হিসেবে মনোনীত হন।

ট্রুডো নয় বছর প্রধানমন্ত্রী থাকার পর চলতি বছরের জানুয়ারিতে পদত্যাগ করেন। তার উত্তরসূরি হিসেবে কার্নির রাজনৈতিক অভিজ্ঞতার অভাব একটি বড় প্রশ্ন ছিল, তবে তার উচ্চ-প্রোফাইল ব্যাংকিং ক্যারিয়ার ও অর্থনৈতিক বিশ্লেষণের দক্ষতা তাকে শক্তিশালী অবস্থানে এনেছে।

প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার আগেই মার্কিন শুল্ক নীতির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছেন কার্নি। তিনি বলেন, ‘হকির মতো বাণিজ্যেও কানাডা জিতবে।’ তার মতে, কানাডাকে বাণিজ্যিক প্রতিশোধমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে এবং ট্রাম্পের শুল্কের জবাবে মার্কিন পণ্যের ওপর নতুন শুল্ক আরোপ করা হবে।

কার্নি আরও বলেন, ‘আমি জানি কিভাবে সংকট মোকাবিলা করতে হয়… সংকট ব্যবস্থাপনার জন্য অভিজ্ঞতা এবং দক্ষতা অপরিহার্য।’ তিনি যুক্তি দেন, ট্রাম্পের অর্থনৈতিক নীতির বিরুদ্ধে কানাডাকে কৌশলী হতে হবে এবং মধ্যমেয়াদে বাণিজ্য সম্পর্ককে বৈচিত্র্যময় করতে হবে।

আগামী ২০ অক্টোবরের আগে কানাডার সাধারণ নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে। সে পর্যন্ত কার্নি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। তবে তার জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হবে ট্রাম্পের সম্ভাব্য পুনঃনির্বাচনের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া এবং কানাডার অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখা।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, কার্নির নেতৃত্ব দক্ষতা এবং অর্থনৈতিক অভিজ্ঞতা কানাডার জন্য নতুন সম্ভাবনা তৈরি করতে পারে। তবে, আসন্ন নির্বাচনে তার জনপ্রিয়তা এবং বাণিজ্য কৌশল কতটা কার্যকর হয়, তা দেখার অপেক্ষায় থাকবে কানাডার জনগণ।